Advertisement
০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
Hidden golden eggs

সমুদ্রের গভীরে আগ্নেয়গিরির পেটে থরে থরে সাজানো সোনালি ডিম! অপ্রত্যাশিত ‘গুপ্তধন’ খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা?

আলাস্কা উপসাগরের গভীরতা সম্পর্কে জানার জন্য এবং সেখানে লুকিয়ে থাকা রহস্যের সন্ধান করতে একদল অভিযাত্রী দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়েছিলেন। সেই অভিযানেই কানাডার ফিশারিজ় অ্যান্ড ওশন্‌সের অনুসন্ধানকারী সংস্থার গবেষকদের চোখে পড়ে লক্ষ লক্ষ সোনালি অজানা বস্তু।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৫ ১৪:২৭
Share: Save:
০১ ১৪
hidden golden eggs

সমুদ্রের গভীরে ঘুমিয়ে রয়েছে আগ্নেয়গিরি। সেই জলতলের নীচে অদ্ভুত বস্তুর সন্ধান পেলেন সমুদ্রবিজ্ঞানীরা। কানাডার সন্নিকটে প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে হদিস মিলেছে লক্ষ লক্ষ রহস্যময় ডিমের। সাধারণ ডিমের তুলনায় একেবারে আলাদা, বিজাতীয়। সোনালি রঙের ডিমগুলি থরে থরে সাজানো ছিল আগ্নেয়গিরির পেটের ভিতর।

০২ ১৪
hidden golden eggs

কানাডার পশ্চিম উপকূলের কাছে পাওয়া লক্ষ লক্ষ জীবন্ত ডিমগুলি গবেষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ২০২৩ সালে প্রথম এই অদ্ভুত ডিমগুলির সন্ধান পান গবেষকেরা। কানাডার ফিশারিজ় অ্যান্ড ওশন্‌সের অনুসন্ধানকারী সংস্থার গবেষকদের চোখে পড়ে এই অজানা বস্তুগুলি। সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষা এবং বিজ্ঞান গবেষণার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে কানাডার এই সরকারি সংস্থাটি।

০৩ ১৪
hidden golden eggs

আলাস্কা উপসাগরের গভীরতা সম্পর্কে জানার জন্য এবং সেখানে লুকিয়ে থাকা রহস্যের সন্ধান করতে একদল অভিযাত্রী দুঃসাহসিক অভিযান চালান। প্রাথমিক ভাবে আগ্নেয়গিরি নিয়ে অনুসন্ধান পর্ব চালাতে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন অভিযাত্রীরা। উপকূল থেকে তাঁদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২৪ দিনের এই অভিযানে সমুদ্রের চার মাইল পর্যন্ত গভীরে পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সমুদ্রবিজ্ঞানীদের।

০৪ ১৪
hidden golden eggs

আগ্নেয়গিরিতে পৌঁছোনোর আগে পর্যন্ত গবেষকেরা জানতেন না যে তাঁদের জন্য বিশাল এক বিস্ময় অপেক্ষা করছে। তাঁদের কেউ জানতেন না জলের নীচে থাকা আগ্নেয়গিরিটি সক্রিয় রয়েছে। এমনকি তা থেকে যে তাপ নির্গত হচ্ছে, তা ছিল কল্পনারও অতীত।

০৫ ১৪
hidden golden eggs

গবেষণাদলের প্রধান গবেষক ডু প্রিজ় জানান, এই ‘হট স্পট’টির বিশাল অংশ সোনালি ডিমে ঢাকা ছিল। তাঁরা মনে করছেন, ওই অঞ্চলে ২৬ লক্ষ ‘সোনার ডিম’ রয়েছে। সেগুলি ফুটতে ১০ বছর পর্যন্ত সময় নেবে বলে ধারণা প্রিজ়ের।

০৬ ১৪
hidden golden eggs

একটি রিমোট কন্ট্রোল যন্ত্রের সাহায্যে অতি সাবধানে ডিমের নমুনা তুলে আনেন গবেষকেরা। প্রতিটি ডিমের দৈর্ঘ্য ২০ ইঞ্চি, ব্যাস চার ইঞ্চি। ডিমের অতি সূক্ষ্ম খোলা ভাঙতেই বেরিয়ে আসে রেশমের মতো টিস্যু। নমুনাগুলি সাবধানে টিউবে সংগ্রহ করা হয়েছে। গবেষণাগারে আরও খুঁটিয়ে বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে।

০৭ ১৪
hidden golden eggs

প্রাথমিক ভাবে পর্যবেক্ষণের পর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ডিম্বাকার বস্তুটি কোনও ত্বকের টিস্যুর মতো পদার্থ দিয়ে তৈরি। অন্তত বাইরে থেকে দেখে তা-ই অনুমান গবেষকদলের। আরও বিস্তারিত গবেষণার ফলাফল শীঘ্রই কানাডিয়ান সরকারের একটি বিজ্ঞান প্রতিবেদনে প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রিজ়।

০৮ ১৪
hidden golden eggs

ডিম্বাকার ওই বস্তুর একটি অংশে একটি মাত্র ফুটো দেখা গিয়েছে। তা থেকেই তাঁদের ধারণা হয়েছে, এটি অচেনা কোনও সামুদ্রিক প্রাণী হতে পারে, বাইরে থেকে যার শক্ত খোলস দেখা যাচ্ছে।

০৯ ১৪
hidden golden eggs

প্রথমে ডিমগুলির সঙ্গে চেনা কোনও প্রাণীর শ্রেণিগত বৈশিষ্ট্যের মিল পাননি গবেষকেরা। অনেকেই বলতে শুরু করছিলেন যে নতুন প্রাণী আবিষ্কৃত হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে। দু’বছর পর গবেষকেরা মনে করছেন, ডিমগুলি প্রশান্ত মহাসাগরীয় একটি প্রাণীর হতে পারে।

১০ ১৪
hidden golden eggs

বিজ্ঞানীদের দাবি, অভিযাত্রীদের ডুবোযানের আলো প্রতিফলিত হওয়ার কারণে বস্তুটিকে সোনালি রঙের দেখাচ্ছিল। অন্য বিভিন্ন ছবি খুঁটিয়ে দেখে বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত, বস্তুটি আসলে হলদে-বাদামি রঙের। এই ডিমগুলি প্রশান্ত মহাসাগরীয় সাদা স্কেটের। এই প্রাণীটি সমুদ্রের ৯ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে ঠান্ডা জলে বাস করে এবং দৈর্ঘ্যে ছয় ফুটেরও বেশি হতে পারে।

১১ ১৪
hidden golden eggs

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার জন্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় সাদা স্কেটের ডিমের আকৃতি বিশাল হয়। ভ্রুণগুলি যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় তাই বড় বড় ডিম পাড়ে ক্রেটরা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় সাদা স্কেটের ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোনোর স্বাভাবিক সময়কাল চার থেকে ১০ বছর। কিন্তু আগ্নেয়গিরির উষ্ণ পরিবেশ সেই সময়কালকে ত্বরান্বিত করে।

১২ ১৪
hidden golden eggs

আগ্নেয়গিরি থেকে উৎপন্ন ভূ-তাপীয় শক্তি প্রাকৃতিক ইনকিউবেটরের কাজ করে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, আগ্নেয়গিরির তাপ সেই ডিম ফোটার সময়কে উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করতে সাহায্য করে। গরম, খনিজ সমৃদ্ধ এই তরল পদার্থ আশপাশের জলকে উত্তপ্ত রাখে, যা কিছু সামুদ্রিক প্রাণীর গভীর সমুদ্রে বেঁচে থাকার জন্য আদর্শ পরিস্থিতি তৈরি করে।

১৩ ১৪
hidden golden eggs

প্রাথমিক বিশ্লেষণে বেশির ভাগ বিজ্ঞানী এই লক্ষ লক্ষ ডিমের উৎস হিসাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সাদা স্কেটকেই বেছে নিয়েছেন। তবুও রয়ে গিয়েছে প্রশ্ন। ডিমের আকার এবং অস্বাভাবিক সংখ্যা এই সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে যে একাধিক সামুদ্রিক প্রাণীর প্রজাতিও আগ্নেয়গিরির চূড়াকে প্রজননক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। আগ্নেয়গিরির শিখরটি একটি অগভীর, তুলনামূলক ভাবে সুরক্ষিত স্থান। গভীর সমুদ্রে এই ঘটনা বিরল বলে মনে করছেন তাঁরা।

১৪ ১৪
hidden golden eggs

প্রশান্ত মহাসাগরে সোনালি ডিমের রহস্যের সমাধান করতে নানা মহলের বিজ্ঞানী এবং সমুদ্রবিজ্ঞানীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করার পরিকল্পনা করছে ফিশারিজ় অ্যান্ড ওশন্‌স। শীঘ্রই রহস্যের সমাধান হবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy