US may fall like Soviet Union due to war economy and tariff imposition of Donald Trump dgtl
US Downfall
রোগের লক্ষণ একই, দেখা যাচ্ছে বিকারও, সোভিয়েত পতনের ৩৪ বছর পর ‘অসুস্থ’ আমেরিকা, পতনের ঘণ্টা বাজাচ্ছেন ট্রাম্প?
১৯৯১ সালে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। ৩৪ বছর আগে যে ভুল মস্কো করেছিল, সেই একই কাজ করতে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে। তবে কি আমেরিকার পতন আসন্ন? দুনিয়া জুড়ে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৪৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
আর্থিক সাহায্য বন্ধ করা থেকে শুরু করে শুল্কযুদ্ধ। পাশাপাশি পশ্চিম ইউরোপীয় ‘বন্ধু’দের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করা। কিংবা ফের আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানের হুঙ্কার। একের পর এক দুনিয়া কাঁপানো সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর আগ্রাসী মনোভাবে আতঙ্কিত যুক্তরাষ্ট্রেরই একটা বড় অংশ। কেউ কেউ আবার একে আমেরিকার ‘পতনের সূচনা’ বলে উল্লেখ করেছেন। ৩৪ বছর আগে ঠিক যেমনটা হয়েছিল তৎকালীন বিশ্বের অন্যতম ‘সুপার পাওয়ার’ সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে।
০২১৯
ট্রাম্প জমানার দ্বিতীয় দফায় আমেরিকার বিদেশনীতিকে কেন্দ্র করে বিতর্কের অন্ত নেই। তাঁর নেওয়া বহু সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিশ্লেষকদের একাংশ আবার সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের একাধিক পদক্ষেপের মিল খুঁজে পেয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হল আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার এবং পূর্ব ইউরোপে মস্কোর গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলা। ফলস্বরূপ ১৯৯১ সালে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় সোভিয়েত ইউনিয়ন, জন্ম হয় রাশিয়া-সহ ১৫টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের।
০৩১৯
সোভিয়েতের পতনের অন্যতম বড় কারণ হিসাবে বিশ্লেষকেরা মূলত অর্থনীতিকেই দায়ী করে থাকেন। আমেরিকার শরীরেও সেই একই রোগের লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরে জাতীয় ঋণের অঙ্ক বাড়তে বাড়তে ৩৭ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। ফলে শুধুমাত্র সুদবাবদ ওয়াশিংটনের বাৎসরিক খরচ হচ্ছে এক লক্ষ কোটি ডলার। এর সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বিষয়টিকে যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে সতর্ক করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
০৪১৯
গোদের উপর বিষফোড়ার মতো মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে ভয় ধরানো পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার বা আইএমএফ (ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড)। সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির দাবি, ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ‘মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন’ বা জিডিপির (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) ১৪০ শতাংশে গিয়ে পৌঁছোবে। আমেরিকার ঘরোয়া অর্থনীতিতে ইতিমধ্যেই এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীদের নেওয়া শিক্ষা ঋণের পরিমাণ ১.৮ লক্ষ কোটি ডলার। কিন্তু, ৯০ লক্ষ পড়ুয়া ধারের টাকা শোধ করতে পারবেন না বলে জানা গিয়েছে।
০৫১৯
২০২১ সালে পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সি-গ্রেড’ দেয় সেখানকার সমীক্ষক সংস্থা ‘আমেরিকান সোসাইটি ফর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স’। দেশের ৪৩ শতাংশ রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ বলে দাবি করেছে তারা। গত কয়েক বছরে মানবসম্পদের ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যার মুখে পড়েছে ওয়াশিংটন। বিজ্ঞান এবং অঙ্কে বুৎপত্তির নিরিখে সারা বিশ্বে যথাক্রমে ২৫ এবং ৩৭ নম্বর স্থানে নেমে গিয়েছে তারা। দেশে বাড়ছে আত্মহত্যা, কট্টরপন্থী চিন্তাভাবনা এবং অপরাধমূলক কাজকর্ম। এর জন্য মদ, মাদক এবং মানসিক হতাশাকেই দায়ী করেছেন বিশ্লেষকেরা।
০৬১৯
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা অর্থনীতিবিদ উইম নাউড সোভিয়েতের সঙ্গে তুলনা টেনে আমেরিকার সম্ভাব্য পতনের সাতটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ-অর্থনীতি এবং হাতিয়ারের ব্যবসা। বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ফৌজ রয়েছে ওয়াশিংটনের হাতে। এর জন্য জিডিপির ১৫-২০ শতাংশ খরচ করতে হচ্ছে মার্কিন সরকারকে। উপরন্তু গত শতাব্দীর ‘ঠান্ডা যুদ্ধের’ সময় থেকে একের পর এক সংঘর্ষে জড়িয়ে জলের মতো টাকা খরচ করেছে তারা।
০৭১৯
একটি উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বোঝানোর জন্য আফগানিস্তান যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনেছেন উইম। তাঁর কথায়, ‘‘পঠানভূমিতে ২০ বছর লড়তে হয়েছে মার্কিন সৈন্যকে। এর জন্য ৮ লক্ষ কোটি ডলার খরচ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। এ ছাড়া ভিয়েতনাম, কোরীয় উপদ্বীপ, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও পাকিস্তানের মতো দেশে একের পর এক অভিযানে অংশ নিয়েছে আমেরিকার ফৌজ ও গুপ্তচরবাহিনী ‘সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি’ বা সিআইএ। কিন্তু কোনও জায়গা থেকে একটা টাকাও ফেরত আসেনি। ফলে বেড়েছে ঋণ, যার বোঝা বইতে হচ্ছে আমজনতাকে।’’
০৮১৯
২০২২ সাল থেকে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রথম থেকে খোলাখুলি ভাবে কিভের পাশে রয়েছে আমেরিকা। পূর্ব ইউরোপের দেশটিকে বিপুল পরিমাণে হাতিয়ারের জোগান দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। উইমের দাবি, আগামী দিনে ইউক্রেনের পতন হলে বা নতুন সরকার এসে মস্কোর সঙ্গে সন্ধি করলে বিপাকে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। কিভ তখন এখান থেকে সরবরাহ হওয়া অস্ত্রের দাম মেটাতে রাজি না হতেও পারে। সে ক্ষেত্রে হাতিয়ার নির্মাণকারী সংস্থাগুলির লোকসান মেটাতে সরকারি কোষাগার থেকে দিতে হবে টাকা।
০৯১৯
২০০৩ সালে ইরাকে সামরিক অভিযান চালায় আমেরিকা। উইম জানিয়েছেন, ২২ বছর আগের সেই যুদ্ধের ক্ষত থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ২০৫০ সালের মধ্যে শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা খাতে প্রতি বছর ঋণ মেটাতে ৬.৫ লক্ষ কোটি ডলার খরচ হবে ওয়াশিংটনের। এই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে বিপুল পরিমাণে ডলার ছাপতে পারে মার্কিন সরকার। কিন্তু, সেখানে লুকিয়ে আছে অন্য বিপদ। কারণ, বর্তমানে মরিয়া হয়ে ডলারের বিকল্প খোঁজার কাজ চালাচ্ছে বিশ্বের একাধিক দেশ।
১০১৯
মার্কিন মুদ্রা ডলার অপরিশোধিত খনিজ তেলের সঙ্গে যুক্ত। এর জেরে একে অনেকেই পেট্রো-ডলার বলে থাকেন। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশই ডলারে আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করতে আগ্রহী নয়। ইতিমধ্যেই স্থানীয় মুদ্রায় বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে লেনদেন শুরু করেছে ভারত। রাশিয়া আবার চাইছে ১০টি রাষ্ট্রের সংগঠন ‘ব্রিকস’-এর একটি সাধারণ মুদ্রা চালু করতে। সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীটির সদস্যপদ রয়েছে নয়াদিল্লির। অন্য দিকে ডলারে ‘তরল সোনা’ বিক্রির চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছে সৌদি আরব।
১১১৯
উইম মনে করেন, আগামী দিনে বিকল্প কোনও মুদ্রা বাজারে এলে হু হু করে পড়বে ডলারের দাম। তখন ইচ্ছামতো ডলার ছাপিয়ে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে না মার্কিন সরকারের পক্ষে। এই বিপদের আঁচ কিছুটা পেয়েছেন ট্রাম্প। আর তাই জীবাশ্ম জ্বালানি বিক্রি করে সরকারি কোষাগার ভর্তি করার কথা বলতে শোনা যাচ্ছে তাঁকে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে স্রোতের বিপরীত দিকে হাঁটা শুরু করেছেন তিনি। তাঁর নির্দেশেই প্যারিস জলবায়ু সম্মেলন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে আমেরিকা।
১২১৯
বর্তমান বিশ্ব ধীরে ধীর সবুজ শক্তির দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে। তাই সব দেশই কমাচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। উইমের দাবি, বিষয়টি বুঝেও ট্রাম্পের সে দিকে নজর দেওয়ার জো নেই। কারণ, তাঁর মাথার উপরে রয়েছে আর্থিক ঘাটতির চাপ। ফলে সময়ের দাবিকে উপেক্ষা করছেন তিনি। গত শতাব্দীর ৮০-এর দশকে তেমনটাই করেছিল সোভিয়েত প্রশাসন। ওই সময়কালে তাদের মূল নজর ছিল ইস্পাত এবং বাঁধ নির্মাণের দিকে। অন্য দিকে সারা দুনিয়ায় বিদ্যুৎগতিতে বাড়ছিল কম্পিউটারের ব্যবহার।
১৩১৯
১৯৮৬ সালের মধ্যে মাত্র ১০ হাজার কম্পিউটার তৈরি করতে সক্ষম হয় মস্কো। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ছিল ১৩ লক্ষ এই ডিজিটাল ডিভাইস। দ্বিতীয়ত, যুদ্ধ-অর্থনীতির উপর মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরশীলতার কারণে অন্য কোনও শিল্পের দিকে সে ভাবে নজর দেয়নি আমেরিকা। ফলে আইফোন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিন গাড়ি, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের সব কিছু তৈরি হয় চিন বা ভারতে। এতেও সমস্যার মুখে পড়েছে ওয়াশিংটন।
১৪১৯
দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসে এই পরিস্থিতি বদলাতে চাইছেন ট্রাম্প। আর তাই সংশ্লিষ্ট দেশগুলি থেকে আসা পণ্যের উপর মোটা হারে শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি। তাঁর মূল লক্ষ্য হল আমেরিকার মাটিতে শিল্পের বিকাশ। ঘরের মাটিতে যাবতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কারখানা খুলতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উইম মনে করে বর্তমান পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে সেটা করা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। কারণ, কাঁচামাল থেকে শুরু করে দক্ষ শ্রমিক, সব কিছুর অভাব রয়েছে ওয়াশিংটনের।
১৫১৯
বর্তমানে মার্কিন টেক জায়ান্ট সংস্থাগুলির সাফল্যের পিছনে রয়েছে ভারতীয়দের পরিশ্রম ও মস্তিষ্ক। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ বৈদ্যুতিন পণ্য আসে চিন থেকে। উইম বলেছেন, ‘‘ট্রাম্প এই ব্যবস্থা রাতারাতি বন্ধ করতে চাওয়ায় নয়াদিল্লি ও বেজিঙের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে আমেরিকার। ওয়াশিংটনের বহু সংস্থার কাঁচামাল আসে এই সমস্ত দেশ থেকে। ফলে পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে সেগুলি বন্ধ করতে পারে তারা। সেই লড়াইয়ে আমেরিকার পক্ষে এঁটে ওঠা কঠিন।’’
১৬১৯
এ ব্যাপারে উদাহরণ হিসাবে গুগ্লের কথা বলেছেন উইম। তাঁর কথায়, ‘‘এই মার্কিন টেক জায়ান্টের ব্যবসার একটা বড় অংশ ছড়িয়ে আছে ভারতে, যেখানকার জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। কিন্তু, যে ভাবে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন তৈরির দিকে হাঁটতে পারে নয়াদিল্লি। সে ক্ষেত্রে গুগ্লের পক্ষে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই কঠিন হবে। ভারতের বাজার থেকেই সর্বাধিক লাভ করে এই বহুজাতিক টেক জায়ান্ট সংস্থা।’’
১৭১৯
সোভিয়েত জমানার শেষের দিকে পূর্ব ইউরোপের ‘বন্ধু’ রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। আর্থিক ঘাটতি মেটাতে তাদের উপর জোর করে নানা ধরনের বিধিনিষেধ চাপিয়ে দিয়েছিল ক্রেমলিন। বিশ্লেষকদের দাবি, সেই কাজ করছেন ট্রাম্পও। ফলে ভারত, জাপান এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউরোপীয় সামরিক জোট ‘উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা’ বা নেটো (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজ়েশন) ভুক্ত দেশগুলির কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে আমেরিকা।
১৮১৯
সবশেষে অবশ্যই বলতে হবে আফগানিস্তানের কথা। হিন্দুকুশের কোলের দেশটিকে অনেকেই ‘সাম্রাজ্যের সমাধিক্ষেত্র’ বলে মনে করেন। ১৯৭৯ সালে সেখানে সামরিক অভিযান পাঠায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। দেশটিকে দখল করতে গিয়ে গেরিলা যুদ্ধের মুখে পড়ে শেষ হয়ে গিয়েছিল মস্কোর অর্থনীতি। ২০০১-’২১ পর্যন্ত পঠানভূমি দখলে রাখতে একই রকমের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয় আমেরিকাও। এ-হেন পাহাড়ঘেরা দেশে ফের এক বার সৈন্য পাঠানোর কথা বলতে শোনা গিয়েছে ট্রাম্পের গলায়।
১৯১৯
উইম জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান অভিযানের সিদ্ধান্ত নিলে পোঁতা হবে আমেরিকার কফিনে শেষ পেরেক। তবে এ ব্যাপারে উল্টো যুক্তিও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে বিশ্বের সর্বাধিক স্বর্ণভান্ডার। ফলে আর্থিক বিপর্যয় এলেও ওয়াশিংটনের অবস্থা কখনওই সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো হবে না, বলছেন বিশ্লেষকদের অপর অংশ।