শুল্ক ইস্যুতে ফের এক বার ভারতের নাম করে বেলাগাম মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে একটি শব্দও খরচ করছে না কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৫ ১০:২৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২৭
কখনও ‘শুল্ক সম্রাট’ বলে খোঁচা। কখনও আবার ‘পারস্পরিক শুল্ক’ (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) চাপানোর হুমকি। পাশাপাশি, অনুপ্রবেশকারীদের হাতকড়া পরিয়ে ফৌজি বিমানে ভারতে ফেরত পাঠানো। গত আড়াই মাস ধরে নানা ইস্যুতে ক্রমাগত নয়াদিল্লিকে ‘অপমান’ করে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আশ্চর্যজনক ভাবে এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার।
০২২৭
চলতি বছরের ৭ মার্চ আরও এক ধাপ এগিয়ে নয়াদিল্লিকে খোঁচা দেন ট্রাম্প। রাজধানী ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে বসে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের এত দিনের ‘কীর্তি’ ফাঁস করে দিয়েছি। এ বার ওরা শুল্ক কমাতে বাধ্য হবে।’’ তাঁর ওই মন্তব্যের পরও টুঁ শব্দটি করেনি কেন্দ্র। সরকারের এ-হেন নীরবতা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। বিষয়টি সংসদে তোলা হবে বলে ঘোষণা করেছে কংগ্রেস।
০৩২৭
অন্য দিকে এই ইস্যুতে সমাজমাধ্যমেও উঠেছে বিতর্কের ঝড়। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাজকর্মে কি আতঙ্কিত মোদী সরকার? তাই ‘আত্মসম্মান বিসর্জনে গেলেও’ মুখ বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র? না কি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কূটনৈতিক চাল? এই প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত বিশেষজ্ঞ মহল।
০৪২৭
ট্রাম্পকে নিয়ে অবশ্য আতঙ্কিত না হওয়ার কোনও কারণ নেই। নভেম্বরে এই বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেই হু-হু করে বাড়়তে শুরু করে ডলারের দাম। ফলে অবমূল্যায়নের মুখে পড়তে হয়েছে ভারতীয় টাকাকে। শুধু তা-ই নয়, বম্বে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার সূচকও নেমে গিয়েছে অনেকটাই।
০৫২৭
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন ট্রাম্প। কুর্সিতে বসেই একাধিক দেশের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ শুরু করে দেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি রাজধানী ওয়াশিংটনে পৌঁছনোর আগেই ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতি আনার কথা ঘোষণা করে দেন এই বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা।
০৬২৭
গত বছরের নির্বাচনী প্রচারের সময়েও বার বার ভারতের শুল্ক ব্যবস্থাকে নিশানা করেন ট্রাম্প। মার্কিন সামগ্রীর উপর নয়াদিল্লি সবচেয়ে বেশি শুল্ক নিয়ে থাকে বলে অভিযোগ তাঁর। সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ‘শূন্য শুল্ক’ নীতি চালু করার কথাও বলতে শোনা গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে।
০৭২৭
গত ৪ মার্চ মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেখানে এ বছরের ২ এপ্রিল থেকে ‘পারস্পরিক শুল্ক’ চালুর কথা ঘোষণা করেন তিনি। তাঁর এ-হেন আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেয় চিন, কানাডা, মেক্সিকো, ব্রাজ়িল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ান (ইইউ)।
০৮২৭
‘পারস্পরিক শুল্ক’ ইস্যুতে বেজিং তো সরাসরি যুদ্ধেরই হুমকি দিয়েছে আমেরিকাকে। অন্য দিকে কানাডা ও মেক্সিকো আমদানি করা মার্কিন পণ্যের উপর সমহারে শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করে। একই রাস্তায় হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছে ইইউ-ভুক্ত দেশগুলি। এ ব্যাপারে একমাত্র মুখে রা কাড়ছে না ভারত।
০৯২৭
বিরোধীদের অভিযোগ, ট্রাম্পের ‘দাদাগিরি’ সহ্য করার খেসারত দিতে হচ্ছে ভারতের আমজনতাকে। দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি) বৃদ্ধির হারে এর প্রভাব পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে বড়সড় ধাক্কা খাবে নয়াদিল্লির অর্থনীতি। মোদী সরকার কি আদৌ তার দায় নেবে? এই প্রশ্নও ছুড়ে দিয়েছেন তাঁরা।
১০২৭
সমালোচকদের কেউ কেউ আবার কেন্দ্রের অতিরিক্ত ‘মার্কিন প্রেম’কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তাঁদের কথায়, ‘‘ট্রাম্প নির্বাচনে জিততেই এ বছরের বাজেটে কিছু কিছু মার্কিন পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।’’ একে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে নয়াদিল্লির ‘আত্মসমর্পণ’ বলেই মনে করছেন তাঁরা।
১১২৭
কিন্তু, বিশ্লেষকদের বড় অংশই ভারতীয় এই আশ্চর্যজনক নীরবতাকে বড়সড় ‘কূটনৈতিক চাল’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁদের যুক্তি, ২০১৭-’২১ সাল পর্যন্ত প্রথম বার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন এ ভাবেই শুল্কযুদ্ধ লড়েছিলেন ট্রাম্প। তাতে ভারতীয় অর্থনীতিতে কোনও প্রভাবই পড়েনি। উল্টে মুখ বন্ধ রাখায় আখেরে লাভ হয়েছিল নয়াদিল্লির।
১২২৭
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন জনপ্রিয় মার্কিন মোটরবাইক নির্মাণকারী সংস্থা ‘হার্লে ডেভিডসন’-এর বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে তদন্তে নামে নয়াদিল্লি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। ওই সময়ে মার্কিন পণ্যের উপর থেকে শুল্ক কমানোর আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
১৩২৭
ঠিক তার পরের বছর (পড়ুন ২০১৯) এই ইস্যুতে ফের এক বার মুখ খোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সামগ্রীর উপর নয়াদিল্লির ১০০ শতাংশ শুল্কের বিরোধিতা করেন তিনি। ওই সময়েই প্রথম বার ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতির কথা বলেন ট্রাম্প। প্রথম বারের মেয়াদে তাঁকে সোলার প্যানেল, ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের মতো সামগ্রী নিয়ে চিন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধে নামতে দেখা গিয়েছিল।
১৪২৭
বিশ্লেষকদের কথায়, দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প যে ‘পারস্পরিক শুল্ক’ চালু করবেন, তা একরকম প্রত্যাশিতই ছিল। ফলে এ ব্যাপারে সরব হলে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়া ছাড়া কোনও লাভই হত না নয়াদিল্লির। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যাপারে আশ্চর্যজনক নীরবতার কারণ অবশ্য ইতিমধ্যেই ব্যাখ্যা করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
১৫২৭
গত ৫ মার্চ ব্রিটেনে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষণা সংস্থা ‘চ্যাথাম হাউস’ আয়োজিত একটি আলোচনাচক্রে যোগ দেন প্রাক্তন আমলা তথা বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ট্রাম্পের কাজকর্মে সকলে আশ্চর্য হচ্ছেন, এটা দেখে আমরা হতবাক। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলিই এক এক করে পূরণ করছেন।’’
১৬২৭
বিশ্লেষকদের দাবি, এ ব্যাপারে ১০০ শতাংশ ঠিক বলছেন জয়শঙ্কর। প্রেসিডেন্টে নির্বাচনের প্রচারে ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতির ব্যাপক প্রচার করেন ট্রাম্প। চিনের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে নামার কথাও বলেছিলেন তিনি। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলি নিয়ে আগ বাড়িয়ে কথা বলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চাইছে না নয়াদিল্লি।
১৭২৭
উল্টে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতির মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারত। ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন সফর ছিল তার প্রথম পদক্ষেপ। সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ৫০ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
১৮২৭
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অঙ্ক ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি ডলার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। একবারে একে ৫০ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যেতে পারলে পণ্য আমদানি ও রফতানির পরিমাণ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। সে ক্ষেত্রে ‘পারস্পরিক শুল্ক’র ধাক্কা সামলেও লাভের মুখ দেখতে পাবে নয়াদিল্লি।
১৯২৭
সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটন সফর করেছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। সূত্রের খবর, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে একপ্রস্ত আলোচনা সেরেছেন তিনি। এ বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে আসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সময়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত রূপ পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২৭
দ্বিতীয়ত, ট্রাম্প শুল্কযুদ্ধ শুরু করায় বেজায় চটেছে কানাডা, মেক্সিকো, ব্রাজিল, চিন, ইউরোপীয় ইউনিয়ান এবং জাপান-সহ বেশ কয়েকটি দেশ। ফলে ভারতের সামনে নতুন বাজারে প্রবেশ করার সুযোগ খুলে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত করার বার্তা দিয়েছে চিন।
২১২৭
চলতি মাসেই বেলজ়িয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডাকা বাণিজ্য বৈঠকে যোগ দেবে নয়াদিল্লি। তার আগে ভারত সফর করেন ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেন। বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদের একটি বিরাট দল নিয়ে এসেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন উরসুলা। ফলে ব্রাসেলসের বৈঠকে একাধিক বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
২২২৭
বিশেষজ্ঞদের কথায়, ট্রাম্পের শুল্ক নীতির জেরে মূল্যবৃদ্ধির আতঙ্কে ভুগছে গোটা পশ্চিম ইউরোপ। ফলে ভারতের সঙ্গে দ্রুত ‘মুক্ত বাণিজ্য’ চুক্তির পথে হাঁটতে পারে ব্রিটেন, ফ্রান্স বা জার্মানির মতো শিল্পোন্নত দেশ। এই সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তাঁর চক্ষুশূল হলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
২৩২৭
তা ছাড়া ট্রাম্প নিজেই কত দিন এই শুল্কযুদ্ধ চালাতে পারবেন, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারণ, তিনি একের পর এক দেশের উপর শুল্ক-বাণ চালাতেই এক লাফে অনেকটা নেমে গিয়েছে মার্কিন শেয়ার বাজার। ফলে এক রকম বাধ্য হয়েই মেক্সিকো এবং কানাডার উপর চাপানো অতিরিক্ত শুল্ক আপাতত স্থগিত রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
২৪২৭
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সেনা অভিযান’ (স্পেশ্যাল মিলিটারি অপারেশন) চালাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই যুদ্ধের ফলে প্রাথমিক ভাবে খনিজ তেলের দাম হু-হু করে বেড়েছিল। ফলে সস্তায় ‘তরল সোনা’ কিনতে মস্কোর সঙ্গে সমঝোতা করে নয়াদিল্লি।
২৫২৭
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতে না হতেই রাশিয়ার উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয় আমেরিকা। পাশাপাশি, মস্কো থেকে নয়াদিল্লির সস্তা দরে কাঁচা তেল কেনার প্রবল বিরোধিতা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপ। কিন্তু, এ ব্যাপারে ওয়াশিংটন কখনই নয়াদিল্লির উপর নিষেধাজ্ঞার বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার রাস্তায় হাঁটেনি। ট্রাম্পকে চটালে সেই বিপদের ঝুঁকিও রয়েছে।
২৬২৭
সবশেষে অবশ্যই বলতে হবে কেন্দ্রের জোট সরকারের কথা। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মোদী। কিন্তু, ২০২৪ সালের ভোটে ২৪০ আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হয় বিজেপি। ফলে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা’(ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ)-র জোট সরকার।
২৭২৭
বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই অবস্থায় ট্রাম্পের সঙ্গে সম্মুখসমরে না গিয়ে বুদ্ধিমানের কাজ করেছে মোদী প্রশাসন। কারণ, তখন নয়াদিল্লির উপর চাপ তৈরি করতে শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে সরকার ফেলার চেষ্টা করতে পারে আমেরিকা। সেটা ভারতের জন্য মোটেই সুখকর হবে না।