Venezuela deploys warships and drones to counter US naval force which may invade Caracas dgtl
US Venezuela Crisis
বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চিও ছাড় নয়, মার্কিন আগ্রাসন থামাতে পাল্টা রণতরী-ড্রোন- কামান-ক্ষেপণাস্ত্রে সমরসজ্জা ভেনেজ়ুয়েলার
মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগর দিয়ে ভেনেজ়ুয়েলার উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে একের পর এক মার্কিন রণতরী। পাল্টা প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতিতে সমরসজ্জায় কারাকাস।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৫ ০৭:৫২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগরে মার্কিন নৌসেনার দাপাদাপি। একগুচ্ছ রণতরী ও পরমাণু ডুবোজাহাজের চক্রব্যূহে ভেনেজ়ুয়েলাকে ঘিরেছে আমেরিকা! অন্য দিকে, বিনা যুদ্ধে আত্মসমর্পণে রাজি নয় কারাকাসও। আর তাই বিস্তীর্ণ উপকূল জুড়ে সমরসজ্জা শুরু করে দিয়েছেন সেখানকার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন কোনও অবস্থাতেই মানা হবে না বলে পাল্টা হুঙ্কার ছেড়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন যুদ্ধের আশঙ্কায় দক্ষিণ আমেরিকা (অন্য নাম ল্যাটিন আমেরিকা) জুড়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
০২২০
চলতি বছরের ২৮ অগস্ট সম্পূর্ণ ফৌজি পোশাকে সৈকত সংলগ্ন সেনাছাউনিগুলি পরিদর্শন করেন ভেনেজ়ুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো। পাশাপাশি, বাহিনীর শীর্ষ অফিসারদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয় তাঁর। সূত্রের খবর, সেখানেই আগ্রাসী মার্কিন জলযোদ্ধাদের ঠেকানোর রণকৌশল ঠিক করেন তাঁরা। এর পর সেই নীলনকশা অনুযায়ী উপকূলের বিভিন্ন অংশে হাতিয়ার সহযোগে ছড়িয়ে পড়ে কারাকাসের ফৌজ। সৈকতে বিপুল পরিমাণে সমরাস্ত্র এবং যুদ্ধের সরঞ্জাম ভেনেজ়ুয়েলার বাহিনী জড়ো করছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
০৩২০
একাধিক মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগরে পাল্টা যুদ্ধজাহাজ নামিয়েছে মাদুরোর বাহিনী। এ ছাড়া উপকূল জুড়ে ১৫ হাজার সৈনিকের বিরাট বাহিনী মোতায়েন রেখেছে কারাকাস। প্রাথমিক ভাবে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রে আমেরিকার রণতরীগুলিকে নিশানা করতে পারে তাঁরা। সূত্রের খবর, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজের অগ্রগতি আটকাতে সৈকত সংলগ্ন সমুদ্রে বারুদের সুড়ঙ্গ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এর জন্য বিপুল সংখ্যায় ‘ওয়াটার মাইন’ জড়ো করেছে ভেনেজ়ুয়েলার নৌবাহিনী।
০৪২০
এই ব্যারিকেড ভেঙে মার্কিন সৈনিকদের পা ল্যাটিন আমেরিকার দেশটিতে পড়লে গেরিলা যুদ্ধে তাঁদের নাস্তানাবুদ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন কারাকাসের ফৌজি জেনারেলরা। এর জন্য উপকূল এলাকায় লুকোনোর জায়গা খুঁজে বার করা হচ্ছে। সেখানেই মোতায়েন থাকবে ভেনেজ়ুয়েলার ট্যাঙ্কবাহিনী। এ ছাড়া ল্যান্ডমাইন, ছোট কামান এবং মর্টারের বিপুল ব্যবহার করতে পারে তাঁরা। পরিস্থিতি দেখে প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, আমেরিকার পক্ষে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে ঢোকা খুব সহজ হবে না।
০৫২০
মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা ‘রয়টার্স’ জানিয়েছে, অন্তত সাতটি যুদ্ধজাহাজ এবং একটি পরমাণু ডুবোজাহাজকে দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগর দিয়ে ভেনেজ়ুয়েলার সৈকতের দিকে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার নৌবাহিনীর পাশাপাশি ‘অপারেশন কারাকাস’-এ অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলরক্ষীদের রণতরীও। মোট ২,২০০ জন মেরিন কমান্ডার-সহ নৌবাহিনীর মোট সাড়ে চার হাজার যোদ্ধাকে এই মিশনে পাঠিয়েছে আমেরিকা।
০৬২০
‘রয়টার্স’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউএসএস সান আন্তোনিও, ইউএসএস ইও জিমা এবং ইউএসএস ফোর্ট লডারডেলের মতো অত্যাধুনিক রণতরীগুলিকে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগরে মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূল অভিযানে নামার আগে তথ্য সংগ্রহ করতে পি-৮ গুপ্তচর বিমান ওড়ানো শুরু করে দিয়েছেন মার্কিন নৌসেনা অফিসারেরা। তবে ভেনেজ়ুয়েলার জলসীমায় এখনও প্রবেশ করেনি আমেরিকার কোনও যুদ্ধজাহাজ।
০৭২০
‘অপারেশন কারাকাস’-এর নেপথ্যে দ্বিমুখী যুক্তি খাড়া করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রথমত, দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে মাদক মাফিয়াদের যথেষ্ট দাপাদাপি রয়েছে। চোরাপথে সেই ড্রাগ অহরহ ঢুকছে যুক্তরাষ্ট্রে। ফলে নেশার কবলে পড়ে নষ্ট হচ্ছে বহু আমেরিকান তরুণ-তরুণীর ভবিষ্যৎ। আর তাই সামরিক অভিযানে সেই মাফিয়া চক্র ভাঙতে চাইছেন তিনি। ভেনেজ়ুয়েলা দখলের মতো কোনও সাম্রাজ্যবাদী উদ্দেশ্য নেই তাঁর।
০৮২০
এই ইস্যুতে গত ২৮ অগস্ট বিবৃতি দেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকায় মাদকের চোরাচালান বন্ধ করতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরকার কখনওই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নষ্ট হতে দিতে পারে না।’’ এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভেনেজ়ুয়েলার ‘টিরেন দে আরাগুয়া’ নামের মাদক চক্রকে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী বলে ঘোষণা করে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রে কোকেনের চোরাচালানের নেপথ্যে মূল পান্ডারা এর সদস্য বলে জানা গিয়েছে।
০৯২০
দ্বিতীয়ত, ২০১৩ সাল থেকে ভেনেজ়ুয়েলার প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন নিকোলাস মাদুরো। যদিও তাঁকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে মানতে নারাজ ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে কারাকাসের কুর্সি দখল করে রেখেছেন তিনি। আর তাই নির্বাচনের নামে ল্যাটিন আমেরিকার দেশটিতে চলছে প্রহসন। মাদুরোর নামে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে মার্কিন সরকার। তাঁকে ধরিয়ে দিলে পাঁচ কোটি টাকা ইনাম দেবে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতীয় মুদ্রায় যেটা প্রায় ৪৪০ কোটি টাকা।
১০২০
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের দাবি, ট্রাম্প-মাদুরো সংঘাত একেবারেই নতুন নয়। ২০১৭-’২১ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় ক্ষমতায় থাকাকালীন ভেনেজ়ুয়েলার কুর্সি থেকে নিকোলাসকে সরানোর কম চেষ্টা করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু নানা কারণে সে বার সফল হননি তিনি। দ্বিতীয় বার শপথ নেওয়ার পর থেকে কারাকাসে সেনা অভিযানের একটি ছুতো খুঁজছিলেন। মাদক-বিরোধী অভিযানের নামে এ বার সেটা চালাতে পারেন ট্রাম্প।
১১২০
দুঁদে কূটনীতিকেরা অবশ্য মনে করেন, ভেনেজ়ুয়েলায় রাজনৈতিক পালাবদলের চেষ্টার নেপথ্যে আমেরিকার অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে। গত কয়েক বছরে রাশিয়া এবং চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করেন নিকোলাস মাদুরো। আর তাতেই প্রমাদ গোনে ওয়াশিংটন। মস্কো এবং বেজিংকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে ঘাঁটি গেড়ে বসতে দিতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। আর তাই কারাকাসের ডানা ছাঁটতে উঠেপড়ে লেগেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
১২২০
সম্প্রতি এই ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও। তাঁর কথায়, ‘‘অত্যন্ত সন্তর্পণে ভেনেজ়ুয়েলার ভিতরে ঘাঁটি গেড়েছে রাশিয়া ও চিন। ওখানে হামলাকারী ড্রোনের কারখানা তৈরি করতে চলেছে ইরান। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লাকে খোলাখুলি ভাবে সমর্থন করছে কারাকাস। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে এগুলি অত্যন্ত বিপজ্জনক।’’
১৩২০
আমেরিকার অভিযোগ, ভেনেজ়ুয়েলায় যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে চিনা গুপ্তচরবাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বড় রকমের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তাঁরা। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের কেউ কেউ অবশ্য মনে করেন, এ সব কিছুই ছেঁদো যুক্তি। আসলে কারাকাসের খনিজ তেলের বিপুল ভান্ডার কব্জা করতে চাইছে ওয়াশিংটন। আর তাই মাদক মাফিয়া থেকে শুরু করে নির্বাচনে প্রহসন এবং মস্কো-বেজিং ষড়যন্ত্রের আষাঢ়ে গল্প সাজাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
১৪২০
গত বছর (পড়ুন ২০২৪) নির্বাচনী প্রচারে নিজের মুখে সে কথা স্বীকারও করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নর্থ ক্যারোলিনার একটি সভায় দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘আমরা (পড়ুন আমেরিকা) ভেনেজ়ুয়েলার থেকে খনিজ তেল কিনছি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। কারণ, আমার প্রথম দফার শাসনকালে পতনের মুখে চলে এসেছিল কারাকাস। তখন বাহিনী পাঠিয়ে দেশটা কব্জা করা উচিত ছিল। তা হলেই ওদের তেলের উপরে সম্পূর্ণ অধিকার থাকত আমাদের।’’
১৫২০
বর্তমানে ভেনেজ়ুয়েলার কাছে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম খনিজ তেলের ভান্ডার। ২০১৯ সালে ‘দুনিয়ার জ্বালানি’ শীর্ষক একটি রিপোর্টে ‘বিপি স্ট্যাটিসটিক্যাল রিভিউ’ নামের সমীক্ষক সংস্থা জানায়, কারাকাসের মাটির গভীরে সঞ্চিত আছে আনুমানিক ৩,০৩৩ কোটি ব্যারেল ‘তরল সোনা’। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সৌদি আরবের কুয়োগুলিতে জমা আছে ২,৯৭৭ কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল। যদিও ‘তরল সোনা’ উত্তোলনের নিরিখে প্রথম স্থানে আছে রিয়াধ।
১৬২০
এ-হেন পরিস্থিতিতে মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন ভেনেজ়ুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। সৈকত সংলগ্ন ছাউনিগুলি পরিদর্শনের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘কোনও অবস্থাতেই যুক্তরাষ্ট্রের সৈনিকদের দেশের ভিতরে প্রবেশ করতে দেব না। এটা আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। গতকালের থেকে আজ আমরা আরও বেশি শক্তিশালী। যে কোনও মূল্যে আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করবে কারাকাস।’’
১৭২০
এর পাশাপাশি কূটনৈতিক চালে আন্তর্জাতিক স্তরে আমেরিকাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মাদুরো। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেজ়ের সঙ্গে দেখা করে মার্কিন আগ্রাসনের অভিযোগ জানিয়েছেন ভেনেজ়ুয়েলার রাষ্ট্রদূত স্যামুয়েল মনকাডা। পরে এই নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন তিনি।
১৮২০
মনকাডা বলেছেন, ‘‘ভেনেজ়ুয়েলাকে নিয়ে বিরাট বড় মিথ্যাচার করছে আমেরিকা। মাদক মাফিয়া চক্রের কোমর ভাঙতে পরমাণু ডুবোজাহাজ ব্যবহারের প্রয়োজন কবে কোথায় হয়েছে? কারাকাস কখনও কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়নি। তা ছাড়া স্বাধীন দেশে কোনও অনুমতি ছাড়া সামরিক অভিযান চালানো রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদবিরোধী। অথচ এ সব কিছুই করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র।’’
১৯২০
আমেরিকার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয়। ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ করে বসে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের যুক্তি ছিল, গণবিধ্বংসী হাতিয়ার রয়েছে সেখানকার প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনের কাছে। কিন্তু, বাগদাদের পতনের পর সেই অস্ত্র খুঁজেই পাওয়া যায়নি। কিছু দিনের মাথায় দেখা যায়, সেখানকার যাবতীয় খনিজ তেলের ভান্ডারের একরকম দখল নিয়ে ফেলেছে একাধিক বহুজাতিক মার্কিন জ্বালানি সংস্থা।
২০২০
আর তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ভেনেজ়ুয়েলার পাশে দাঁড়াতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেখানে সৈন্য মোতায়েন করতে পারেন বলে সূত্র মারফত মিলেছে খবর। এ ছাড়া কারাকাসকে বিপুল সংখ্যায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহ করতে পারে চিন। পাশাপাশি, সামরিক কৃত্রিম উপগ্রহ মারফত যুক্তরাষ্ট্রের হাঁড়ির খবরও মাদুরোর ফৌজি জেনারেলদের কাছে পৌঁছে দিতে পারে বেজিং ও মস্কো। শেষ পর্যন্ত এই সংঘাতের জল কোন দিকে গড়ায় সেটাই এখন দেখার।