কাজের চাপে শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছিল সঞ্জয়ের। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় তাঁকে। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় বলেন, ‘‘আমার পেটের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করে আমার পেটের ভিতর থেকে প্রায় ১৫ লিটার পুঁজ বার করেন। বিছানার সঙ্গে মিশে গিয়েছিলাম আমি।’’ সেই সময় মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন তিনি। তবে, নিজের অসুস্থতার কারণে নয়।
বাবাকে হারানোর পর ভেঙে পড়েন সঞ্জয়। কাজ ছেড়ে নিভৃতবাসে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অভিনেতা বলেন, ‘‘আমি আর মুম্বই ফিরতে চাইনি। মাকে বলেছিলাম আমি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসছি। তার পর আর বাড়িতেও ফিরিনি আমি। বাবা চলে যাওয়ার পর ভেবেছিলাম, এ জীবন তো একটাই। ভগবান যে পৃথিবীতে আমাদের পাঠিয়েছেন, তার সৌন্দর্য উপভোগ করব না! তাই আমি গঙ্গোত্রী চলে গিয়েছিলাম।’’
গঙ্গোত্রীতে কোনও পর্যটক যেন সঞ্জয়কে চিনতে না পারেন তাই নিজের দাড়ি-গোঁফ-চুল সব বাড়িয়ে ফেলেছিলেন তিনি। এত কিছু করেও এক পর্যটক তাঁকে চিনে ফেলেন। সঞ্জয়কে ওই পরিস্থিতিতে দেখে অবাক হয়ে যান তিনি। সঞ্জয়কে দেখার পর তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আরে! আপনি গোলমাল ছবিতে ছিলেন না?’’ এই প্রশ্ন ছুড়েই অভিনেতার সঙ্গে ছবি তোলেন তিনি।
অভিনয়ের জন্য বহুল প্রশংসিত সঞ্জয়। কিন্তু তিনি যখন প্রথম ক্যামেরার সামনে কাজ করেছিলেন, তখন তাঁকে একটি দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য আঠাশটি টেক দিতে হয়েছিল। ১৯৯১ সালে ‘চাণক্য’ ধারাবাহিকের সেটে এই ঘটনা ঘটে। ধারাবাহিকের পরিচালক সঞ্জয়কে সহপরিচালকের কাছে রেখে চলে যান। সেখানে বার বার রিহার্সাল করার পর উনত্রিশ নম্বর টেকে সঠিক ভাবে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
কিন্তু নন্দিতার সঙ্গে রঘুবীরের সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। নন্দিতা নাকি অভিনেতাকে ছেড়ে চলে যান। এমনটাই দাবি করেছিলেন পূর্ণিমা। তার পর সঞ্জয় যে বিল্ডিংয়ে থাকতেন, সেখানে চলে যান রঘুবীর। সঞ্জয়ের স্ত্রী রোশনির সঙ্গে বহু দিন সম্পর্কে ছিলেন তিনি। রঘুবীর এবং রোশনির নাকি এক পুত্রসন্তান রয়েছে বলে দাবি করেন পূর্ণিমা।
শেষমেশ আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন পূর্ণিমা। রঘুবীরের কাছে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১০ কোটি টাকা এবং খোরপোশ হিসাবে মাসিক এক লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন পূর্ণিমা। অন্য দিকে সঞ্জয়েরও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ভালবাসা থেকে ভরসা উঠে গিয়েছিল সঞ্জয়ের। পরে অভিনেতার মা তাঁকে জোর করায় দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy