Advertisement
২১ মে ২০২৪

পুলিশের বউ

‘পুলিশ? তার মানে ঘুষ খায়, ফাঁকি মারে, কোনও কালচার নেই।’ সক্কলেরই এই মত। তা সয়ে পুলিশের স্ত্রীরা কেমন করে কাটান? লিখছেন বিকাশ মুখোপাধ্যায়ওই গালাগাল আমি মুখে উচ্চারণ করতে পারব না, যা আমাদের গাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটা বাইক থেকে উড়ে এল।’ ‘আপনাদের গাড়িতে তো ‘পুলিশ’ লেখা ছিল।’ ‘হ্যাঁ। সেই জন্যেই তো গালাগালটা দিল।’ বললেন রাণু ঘোষ। ‘জানেন তো, পৃথিবীতে তিন শ্রেণির বউ আছে ভাল লোকেদের বউ, খারাপ লোকেদের বউ আর পুলিশের বউ। পুলিশের বউদের জাত আলাদা। তারা একঘরে। তাদের সর্বংসহা হতে হয়।’

ছবি: সুমন চৌধুরী

ছবি: সুমন চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৪ ০৮:৩০
Share: Save:

ওই গালাগাল আমি মুখে উচ্চারণ করতে পারব না, যা আমাদের গাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটা বাইক থেকে উড়ে এল।’

‘আপনাদের গাড়িতে তো ‘পুলিশ’ লেখা ছিল।’

‘হ্যাঁ। সেই জন্যেই তো গালাগালটা দিল।’ বললেন রাণু ঘোষ। ‘জানেন তো, পৃথিবীতে তিন শ্রেণির বউ আছে ভাল লোকেদের বউ, খারাপ লোকেদের বউ আর পুলিশের বউ। পুলিশের বউদের জাত আলাদা। তারা একঘরে। তাদের সর্বংসহা হতে হয়।’

ওঁর স্বামী অরূপরঞ্জন ঘোষ এক জন অ্যাসিস্টেন্ট পুলিশ কমিশনার। এক বার, ঝুটো গয়না পরে নেমন্তন্নবাড়িতে গেছেন রাণু, বেশির ভাগই সেখানে চেনা-জানা। এক জন গয়নাগুলো নিয়ে দিজ্ঞেস করতে উনি বললেন, এগুলো ঝুটো। একটু পরে কানে এল, ওই মহিলা আর এক জনকে বলছেন, ‘আমাকে নকল গয়না চেনাচ্ছে! আরে বাবা, পুলিশের বউ, তোরা তো দামি জিনিস পরবিই।’ রাণু তার পর আর তাঁর সঙ্গে কখনও কথা বলেননি। কিন্তু, দোষও দেন না। ‘জন্ম ইস্তক সকলেই তো জেনে আসছে, পুলিশ মাত্রই ঘুষখোর, বদমাশ। সিনেমা, থিয়েটার, সিরিয়ালে পুলিশ হয় ভিলেন নয় ভাঁড়। যদি কখনও পুলিশ অফিসারকে নায়ক করে কিছু তৈরি হয়, সেখানে বার বার বলা হয় ‘এক জন সৎ পুলিশের কাহিনি...এক জন সৎ পুলিশ’, যেন আজব কিছু একটা দেখানো হবে এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।’

সাংসারিক জীবনে বেশির ভাগ সিদ্ধান্তই রাণুকে একা নিতে হয়েছে এবং হচ্ছে। ছেলেকে মানুষ করে তার বিয়ে দেওয়া পর্যন্ত। একটাই কারণ, পুলিশের নেই শনিবার, নেই রবিবার, থেকেও নেই পরিবার। জিজ্ঞেস করলাম, ‘বিয়ের পর একা লাগত না?’ ‘একাকিত্ব শব্দটা পুলিশের বউয়ের ডিকশনারিতে নেই। আমার স্বামী তো তবু ভি ভি আই পি-দের দায়িত্বে আছেন। থানায় যাঁরা আছেন, তাঁদের স্ত্রীরা বছরে ক’রাত্তির ঠিকমত ঘুমোতে পারেন?’

মৌ চক্রবর্তীর স্বামী জয়ন্ত চক্রবর্তী গার্ডেনরিচ থানারই এক জন সাব ইন্সপেক্টর। মৌ বললেন, ‘কোনও পুলিশের মৃত্যু বা আহত হওয়ার খবরে ভীষণ ডিসটার্বড হয়ে যাই। আর মিডিয়া তো পুলিশকে ঠিক মানুষ মনে করে না!’

সত্যিই, দুষ্কৃতীদের দলের সঙ্গে যখন পুলিশের সংঘর্ষ হয়, তখন গালকাটা গোপাল, বুলেট মদন, পেটো হরি ইত্যাদিরা আহত-নিহত হলে তাদের শুধু ডাকনাম নয়, ঠিকুজি-কুলজি অবধি, যেমন ওরফে গোপাল বিশ্বাস, মদন মুখোপাধ্যায় ইত্যাদি লেখা থাকে। কেউ কেউ আপনি-আজ্ঞেও করে বসেন। সত্যিই তো, দুষ্কৃতী বলেই কি সম্মান দেওয়া বারণ! আর সেই সংবাদের সঙ্গে ‘এবং ছ’জন পুলিশ আহত’ বলে শেষ করে দেওয়া হয়।

মৌ যখন শোনেন ‘রেড’ করতে গেছেন জয়ন্ত, অসহ্য চিন্তা হয়। আর মাঝরাতে যখন বাড়ি আসেন, কী রকম যেন একটা ভার নেমে গেল মনে হয়, পরের সকাল থেকে আবার একই অবস্থা।

জয়ন্তকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন মৌ। যদি সম্বন্ধ করে বিয়ে হত, তা হলে তাঁর বাবা-মা বিয়ে দিতেন না, মৌ সোজাসুজি বললেন।

‘আত্মীয়-স্বজনের চোখ টাটিয়েছিল তো পুলিশ বিয়ে করায়?’ উত্তরে মৌ বলেন, ‘ধুস, পুরো উলটো। তারা বলাবলি করছিল, আর পাত্র জুটল না প্রেম করার!’

‘প্রেম আছে এখনও?’

‘ওটা তো মরার নয়। তবে ভীষণ নিঃসঙ্গতায় ভুগি। দুটো ছেলেকে নিয়ে সময় কাটানোর চেষ্টা করি। ওরা ঘুমিয়ে পড়লে রাত এগারোটার সময় গান নিয়ে বসি। কবে ছেড়ে দিয়েছিলাম। এই তো ছটপুজোর দিন, গঙ্গার ঘাট থেকে ফিরে স্বামী রাত এগারোটায় বলল, হ্যাপি অ্যানিভার্সারি!’

‘কখনও বেড়াতে যান না?’

‘যাই। একটা ঘটনা বলি শুনুন।’ মৌ আর জয়ন্ত, এক বন্ধু-দম্পতির সঙ্গে ডুয়ার্সের জঙ্গলে বেড়াতে গিয়েছিলেন। জয়ন্ত প্রকৃতি ভালবাসেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু পড়াশুনোও আছে, তাই ঘুরতে গিয়ে মাঝেমাঝেই দু-চার কথা বলছিলেন। মৌয়ের অন্তরঙ্গ বান্ধবীর মন্তব্য: ‘পুলিশ আবার প্রকৃতিপ্রেমিক হয়!’ শুনে কান্না পেয়ে গিয়েছিল মৌয়ের। বহু লোকের কাছ থেকে শুনেছেন, ‘পুলিশের কালচার বলে কিছু নেই।’ তাঁর দুই টিন-এজার ছেলে এক দিন প্রচণ্ড হুল্লোড় করছিল। তিনি তাদের শাসন করতে গিয়ে একটু বেশি চেঁচিয়ে ফেলেছিলেন। পেছনের বাড়ি থেকে এক প্রৌঢ়ার শুনিয়ে শুনিয়ে মন্তব্য: ‘ছেলেরা চেঁচাচ্ছে, মা চেঁচাচ্ছে, কথায় কথায় চিৎকার, পুলিশের বাড়ি যে বোঝা যায়... সভ্যতা শিখবে কোত্থেকে?’

এক বার, অনেকে মিলে পিকনিক যাওয়ার সময়, দেখা গেল রাস্তার পাশে এক জন মারাত্মক আহত অবস্থায় পড়ে। তাকে ঘিরে বহু লোক দাঁড়িয়ে। সবাই বলতে লাগল, ‘লোকটা পড়ে আছে, পুলিশ আসছে না। দরকারের সময় কোনও দিনই পাওয়া যাবে না ওদের।’ পিকনিকে বিকেলের দিকটা গুলতানি করতে বসার সময় আবার এই প্রসঙ্গটা উঠল, আর সবাই মিলে বলল এ সব কাজে পুলিশ আসবে কেন? এখানে তো পয়সার কোনও ব্যাপার নেই। বাঁ হাতের কারবার ছাড়া ওরা এক পা-ও নড়ে না।

একই ধরনের অন্তরটিপুনি কথা সয়েছিলেন রীতা কাবাসি, যাঁর স্বামী অনন্ত কাবাসি বাঁশদ্রোণী থানার ওসি। একটি ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে যখন এক ইস্কুলে ভাঙচুর হয়েছিল, আর একটি টিভি চ্যানেলের ‘অডিশন’-এ ধুন্ধুমার কাণ্ড হয়েছিল, তাঁর বাড়ির কাছাকাছি এক মহিলামহলের আড্ডায় অনেকে মিলে তাঁকেই চেপে ধরেছিলেন, যেন পুলিশের বউ হিসেবে পুলিশ ঝামেলার জায়গায় তক্ষুনি না পৌঁছনোর জন্য তিনিই দায়ী। তিনি বলেছিলেন, ‘পুলিশ কি আগে থাকতে হাত গুনবে, কোথায় কোথায় ভাঙচুর হচ্ছে জানতে? আর এত পুলিশই বা কোথায়?’ তাঁর কথা কেউ শোনেনি, সম্মিলিত বক্তব্য: পুলিশ কক্ষনও কাজ করে না। যেখানে পয়সার গন্ধ নেই, সেখানে তো নয়ই।

পুলিশ অনন্তবাবুকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন রীতা। তাঁর কথায়, ‘ইমার্জেন্সির সঙ্গে সাধ করে ঘর বেঁধেছিলাম। কিন্তু তার মানে কি এই মানুষটা পরিবারকে প্রাপ্যটুকু দিতে পারবে না, চারিদিক থেকে গঞ্জনা শুনতে হবে, যে যা নয় তাই বলে ঘাড়ে দোষ চাপাবে!’ অথচ এই ইমার্জেন্সির দৌলতে স্ত্রী-সন্তানরা ভোগেন প্রায়ই। এক বার, নেপাল যাবেন। অনেক দিন আগে টিকিট কাটা। বাঁধাছাদা শেষ। যে দিন যাবেন, বাড়িতে ফোন এল, অনন্তবাবুর থানায় কী গন্ডগোল হয়েছে। তাঁর বদলি লোক দায়িত্বে আছে, তবুও মুহূর্তে যাওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হল। ছেলেকে জড়িয়ে রীতা হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন।

এক বার ছেলেকে নিয়ে বাসে করে এক জায়গায় যাচ্ছেন। রাস্তায় আর একটা গাড়িকে স্পট ফাইন করেছে পুলিশ, রিসিট দিয়ে টাকা নিচ্ছে। বাসেরই এক জন মন্তব্য করল ‘ও পয়সা মেরে দেবে পুলিশ।’ ছেলে ফ্যালফ্যাল করে রীতার মুখের দিকে দেখছিল, রীতা চোখের জল সামলে বাইরে তাকিয়ে ছিলেন।

রাণু ঘোষ, মৌ চক্রবর্তী আর রীতা কাবাসি, তিন জনেই দিনে-রাতে, কখনও কখনও দু’দিনে এক বার, স্বামীকে চোখের দেখা অন্তত দেখতে পান। কিন্তু যাঁরা দেখতে পান না দিনের পর দিন, তেমন এক জন সীতা হালদার (কল্পিত নাম)। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এক কনস্টেবলের ঘরনি। তাঁর অনুরোধ মতো বানানো নাম দিতে হল, কেননা তাঁর বক্তব্য, ‘উনি এখন এখানে নেই যে ওঁর মত নেব। আর জানেন তো, পুলিশের শত্রুর শেষ নেই। একটু কাছাকাছি আসার কথা হচ্ছে, হয়তো এর জন্যই যাবে কেঁচে।’ তাঁর স্বামী নর্থ বেঙ্গলে আছেন। তাঁর কথায়, ‘ভাব-ভালবাসার কথা ছেড়ে দিন, বাড়ি আমাকে একা সামলাতে হয়। দুটো দামাল ছেলে! বুড়ি শাশুড়ি মা’কে কলঘর অবধি ধরে ধরে নিয়ে যেতে হয়। বছরে দু’বার হয়তো স্বামী আসেন।’

‘পাড়ার লোক কেউ খবর নেন না?’

‘কেউ কেউ নেয়। তবে তাদের অনেকেই আবার ঠেস দিয়ে কথা বলে। কলঘরের দরজাটার অবস্থা খুব খারাপ হয়েছিল। ও এসে নতুন দরজা লাগাল, তাতেও চোখ টাটানো। কত জিজ্ঞাসা। কী বৃত্তান্ত, কত পড়ল, হ্যানাত্যানা। শুনে আমার নতুন দরজার জন্যে যেটুকু আনন্দ হয়েছিল, গাপ মেরে গেল।’

‘আর এ বার, এই ক’দিন আগে এসছিল। শীতের শুরুতে তো আসতে পারবে না, তাই ধুনুরি ডেকে পুরনো লেপ-তোশকগুলো ভেঙে নতুন করাচ্ছিল। উঠোনে কাজ হচ্ছে, দলে দলে আসছে দেখতে। সব খোঁজ নেওয়া চাই। যাওয়ার সময় গুজগুজ করে বলেও যাচ্ছে, তুমি তো করাবেই। আচ্ছা, পুলিশের বউ-বাচ্চা বলে আমরা কি ছেঁড়া কাঁথা গায়ে দিয়ে শোব? এ সব দেখে, আর চারিদিকে পুলিশের ওপর যা হচ্ছে, তাতে ভাবি, মানুষটা কবে রিটায়ার করে বাড়ি আসবে। একটু শান্তিতে ঘুমুব।’

রিটায়ার করলেই কি শান্তি আসে? গায়ত্রী চক্রবর্তীর স্বামী চন্দ্রশেখর তেত্রিশ বছর কনস্টেবলের চাকরি করে এখন অবসর নিয়েছেন। গায়ত্রী পুরোপুরি পুলিশ পরিবারের। তাঁর বাবা-শ্বশুরমশাই দুজনেই পুলিশ ছিলেন, দাদা পুলিশ, খুড়তুতো দেওর পুলিশ...

গায়ত্রী ছেলেকে পুলিশে দিতে চেয়েছিলেন সরাসরি একটু উঁচু পদে। কিন্তু সে পরীক্ষায় বসতেই রাজি হয়নি।

‘কেন?’

‘পুলিশের বড় বদনাম, ঘুষখোর।’

‘আপনারা এই বদনামের সঙ্গে লড়তেন কী করে?’

‘আমার স্বামী কখনও পাড়ায় ড্রেস পরে ঢুকত না। যারা জানে তারা জানে, নতুন কাউকে আমি পুলিশের বউ বলে পরিচয় দিতাম না। ছেলেকে যখন ইস্কুলে ভরতি করতে গেছিলাম, আমি একা, ভাবলাম ওর বাবা কী করেন ফর্মে সেই জায়গাটায় লিখে দিই, ছোট ব্যবসায়ী। কত কষ্ট থেকে এটা ভেবেছিলাম বুঝতে পারছেন তো?’

আরও বললেন, ‘আমার শ্বশুর তখন অসুস্থ। ওর খেলায় ডিউটি পড়েছে। ও আপিসে জানাল, ছুটি চাই। যাঁরা মঞ্জুর করবেন তাঁরা নন, আশপাশ থেকে মন্তব্য উড়ে এসেছিল খেলার ডিউটি তো, তাই বাবার অসুখ হয়ে গেছে। মানুষটা বাড়িতে এসে অঝোরে কেঁদেছিল। আমিও কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলাম, ছেড়ে দাও এই চাকরি, আমরা বাজারে আলু বেচব। আপিস অবশ্য ছুটি দিয়েছিল। ওর বাবা সে বার মারা যান। ছেলের অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশনের সময়ও প্রায় একই ব্যাপার। ননদকে নিয়ে আর জি কর-এ ছেলেকে ভর্তি করালাম। ও যখন এল, ছেলে তখন অপারেশন টেবিলে...।’

‘আর...’

‘দিঘা-পুরীতে যাওয়া তো ছেড়ে দিন। সারা জীবনে কখনও ছেলেমেয়ের হাত ধরে আমার সঙ্গে দুর্গাপুজোও দেখেনি ও।’

‘আর এখন?’

‘এখন স্বস্তিতে আছি। মানুষটা রিটায়ার করে চোখের সামনে রয়েছে। কখনও-সখনও ভুল হয়ে যায়, মাঝরাতে ঘুম ভেঙেও চোখ বুজে ভাবতে থাকি, কী জানি, মানুষটা ডিউটি অফিসারের সঙ্গে রেড করতে বেরোয়নি তো! তার পর পাশটায় হাত বাড়িয়ে নিশ্চিন্ত হই। যখন ছোট ছিলাম, ঘুমন্ত ছেলেমেয়েকে বুকে চেপে ভয়টা ছাড়াতে চাইতাম। কত রাত যে না ঘুমিয়ে কেটেছে...’

আরও দু-এক জন পুলিশের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তাঁদের কথা কোনও কারণে লেখা গেল না, যাঁদের মধ্যে এক জন তিন রাত্তির ঘুমোতে পারেননি, কারণ তাঁর ছেলে বাড়িতে এসে বলেছিল, বাবা যেন কোনও দিন ইউনিফর্ম পরে তাকে ইস্কুলের বাসে তুলতে না যান। কেননা, তার দুই বন্ধু বলেছে, ‘তোর বাবা তো হাবিলদার, শুধু ঘুষ খায় আর লোকেদের মারে।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE