Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মিতওয়া-র পথ চেয়ে শহর

শহরের মন এখন বড় আনচান। রবিবার মিতওয়ার সঙ্গে দেখা হবে যে!

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২২:৫১
Share: Save:

শহরের মন এখন বড় আনচান। রবিবার মিতওয়ার সঙ্গে দেখা হবে যে!

রবিবার লাইভ কনসার্টে শহরে আসছেন শফকত আমানত আলি খান। আয়োজক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ এবং ‘৯১.৯ ফ্রেন্ডস এফএম’।

নস্টালজিয়ায় সঙ্গীতপ্রেমীরা পিছিয়ে যাচ্ছেন স্রেফ আটটা বছর। ২০০৬ সালের ছবি কভি ‘আলবিদা না কেহনা’। ফুটবল ম্যাচ দেখতে মাঠে ঢুকছেন শাহরুখ খান। সঙ্গে রানি। দু’জনের মনেই ডালপালা ছড়াচ্ছে এক বিপজ্জনক ভালবাসা। অথচ দু’জনের কেউই কাউকে বলতে পারছেন না কিছু। মুহূর্ত এগোয়। খেলাধুলো কখন যেন গৌণ হয়ে গিয়েছে। না-বলা কথাগুলো কেবলই মনের মধ্যে গান হয়ে উঠছে।

শাহরুখের লিপে শফকতের গলা। মিতওয়া আর শফকত তখন থেকেই সমার্থক।

সীমান্ত-পার থেকে নুসরত ফতে আলি, রাহাত ফতে আলিরা যেমন, তেমনই শফকত। যাঁর গান ছাড়া বলিউডের একের পর এক ছবি বর্ণহীন। সে হতে পারে ‘ডোর’-এর ইয়ে হোসলা, সে হতে পারে ‘মাই নেম ইজ খান’-এর তেরে নয়না। হতে পারে ‘রা.ওয়ানে’র দিলদারা। বা ‘আই হেট লভ স্টোরিজ’-এর বিন তেরে। ‘বরফি’র ফির লে আয়া দিল...।

পাটিয়ালা ঘরানার গুরু আমানত আলি খানের পুত্র শফকত। চার বছর বয়স থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে হাতেখড়ি। পরে ঝুঁকলেন সুফি এবং ফিউশনের দিকে। দীর্ঘদিন ‘ফিউজন’ নামে একটি ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন। আঁখিয়ো কে সাগর, খামাজ বা আঁখিয়া-র মতো হিট ওই ব্যান্ড থেকেই। ২০০৬ থেকে শুরু হয় শফকতের একক কেরিয়ার। তাঁর ‘আঁখিয়ো কে সাগর’ গানটি শুনেই ওই বছর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন শঙ্কর-এহসান-লয়। কর্ণ জোহরের ‘কভি আলবিদা না কেহনা’-র সুরকার তাঁরা। তারই ফসল, মিতওয়া...।

ভারতীয় সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদয় জয় করতে ওই একটা গানই ছিল যথেষ্ট। শফকতের জনপ্রিয়তা তার পর থেকে শুধুই বেড়েছে। ‘কভি আলবিদা’-কে ধরে এখনও পর্যন্ত বলিউডের ২৩টি ছবিতে গান গেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ভিনধারার ছবির মধ্যে আছে ‘রামচাঁদ পাকিস্তানি’ এবং বাংলা ছবি ‘চতুরঙ্গ’। এই দু’টি ছবিরই সঙ্গীতকার ছিলেন বাংলার দেবজ্যোতি মিশ্র। সুতরাং শুধু কলকাতার শ্রোতা-দর্শকের সামনে গান গাওয়ার ভালবাসা নয়, কলকাতার সঙ্গে শফকত রীতিমতো সুরের বাঁধনে জড়িত। নিজেও একটি বাংলা ছবির সঙ্গীত পরিচালনায় হাত দিয়েছেন। ছোটবেলায় বেশ কিছুদিন ঢাকায় কাটিয়েছেন। বাংলা গান শোনার অভ্যাসও অনেক দিনের। তাই কলকাতায় এসে গান গাওয়ার ডাক পেলেই ভারী খুশি হয়ে ওঠেন তিনি।

খুশি হয় এ শহরও। মেরে মন ইয়ে বতা দে তু, কিস ওর চলা হ্যায় তু...। শহরের এই মুহূর্তে মন কোন দিকে যাচ্ছে, সেটা আলাদা করে প্রশ্ন করার দরকার নেই।

রবিবারের নেতাজি ইনডোর। মিতওয়ার সঙ্গে পুনর্মিলন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE