Advertisement
০১ মে ২০২৪
Burmese Food

বর্ষায় পাতে পড়ুক বার্মার খাবার, নিরামিষ হলেও স্বাদে মন কাড়বে নানা পদ

বার্মার খাবারের রেস্তরাঁ ‘বার্মা বার্মা’-র মেনু সাজল নয়া কিছু পদে। কী কী থাকছে পার্ক স্ট্রিটের এই ঠিকানায়?

image of Burneesee Food.

বার্মার নতুন নতুন খাবারে সেজে উঠেছে রেস্তেরাঁর মেনুকার্ড। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ ২১:৩৪
Share: Save:

কলকাতায় বসে চাইলে বাঘের দুধও পাওয়া যাবে। অনেকেই মজা করে এমনটা বলে থাকেন। তবে বাঘের দুধ যদি না-ও পাওয়া যায়, চাইলে বার্মার খাবার কিন্তু চেখে দেখা সম্ভব। পার্ক স্ট্রিটে আছে মায়ানমারের খাবারের রেস্তরাঁ ‘বার্মা বার্মা’। বয়স নয় নয় করে বেশ কয়েক বছর হল। বাও থেকে শুরু করে খাওসুয়ে, সে দেশের নানা ধরনের খাবার চেখে দেখার অন‍্যতম ঠিকানা এই রেস্তরাঁ। আমিষের ছোঁয়া না থাকলেও প্রতিটি খাবারের আস্বাদ নিলে জিভ অখুশি হবে না। সম্প্রতি কিছু নতুন পদের সঙ্গে পরিচয় পর্ব ঘটালেন রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ। নতুন মেনু তৈরির নেপথ‍্যে অবশ‍্য একটি গল্প রয়েছে। রেস্তরাঁর অন‍্যতম রন্ধনশিল্পী আনসাবকে সঙ্গে নিয়ে কর্তা অঙ্কিত গুপ্ত কয়েক মাস আগেই গিয়েছিলেন বার্মায়। সেখানে রাস্তার ধারের কিছু খাবার চেখে দেখেন তাঁরা। খাবারের স্বাদ মনে ধরে দু’জনেরই। ঠিক করেন কলকাতাকে এই স্বাদ থেকে বঞ্চিত করা ঠিক হবে না। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। বার্মা থেকে ফিরে এসে সেই পদগুলি রেস্তরাঁর হেঁশেলে বানানোর তোড়জোড় শুরু হয়। বার্মার নতুন নতুন খাবারে সেজে ওঠে রেস্তরাঁর মেনুকার্ড।

image of burmeesee food.

মেনকোর্সের মেনুও কিন্তু কম বৈচিত্র্যময় নয়। ছবি: সংগৃহীত।

নতুন তালিকার একেবারে প্রথমে রয়েছে মোহিঙ্গা নুডল স্যুপ। বার্মার জাতীয় খাবার। বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং থোড় দিয়ে তৈরি এই খাবার। স্বাদ আহামরি না হলেও প্রথম বার খেলে মন্দ লাগবে না। রাস্তায় বেরিয়ে পেয়ারা মাখা তো বহু বার খেয়েছেন। বাদাম, লঙ্কাকুচি দিয়ে বানানো তেমনই এক পদের নাম বার্মায় অবশ‍্য ‘গুয়াভা স‍্যালাড’। থাকছে কলকাতার রেস্তরাঁয়। এই দু’টি ছাড়াও স্টার্টার হিসাবে থাকছে ‘ক্রাঞ্চি শিটাটেক ফিঙ্গারস’। শনের বীজ, মাশরুম দিয়ে তৈরি এই খাবার বেশ মুখরোচক। কাজু বাটা আর বন্ডেল চিজ় দিয়ে বানানো থকথকে মিশ্রণে ডুবিয়ে খেতে হয় এটি। এই মিশ্রণটির স্বাদ জিভে লেগে থাকবে আজীবন। সোবা নুডলস, শেডার ব্রকোলি এবং বার্মিজ় চিজ়ও থাকছে প্রথম পাতে।

মেনকোর্সের মেনুও কিন্তু কম বৈচিত্র্যময় নয়। ‘ম্যান্ডেলায় নুডল স্যুপ’ থেকে ‘স্মোকড চিলি রাইস বোল’ নতুন স্বাদের খাবারে দুপুর হোক কিংবা রাত, জমে যাবে ভূরিভোজ। শেষপাতে থাকছে বার্মার বিখ্যাত সব মিষ্টি ‘রঙ্গুন বেকড্ মিল্ক’, ‘ব্ল্যাক ফরেস্ট’। রসগোল্লা, পান্তুয়ার বাইরে গিয়ে এক দিন অন্য স্বাদের মিষ্টি চেখে দেখা যেতে পারে। সঙ্গে খুদে থাকলে তাকে খুশি করতে পারেন বার্মিজ কিছু আইসক্রিম দিয়ে। ‘অ্যাভোকাডো অ্যান্ড হানি আইসক্রিম’, ‘দুরিয়ান আইসক্রিম’, ‘ক্যারামালাইজ়ড চকোলেট অ্যান্ড চিজ় আইসক্রিম’— শুধু নামে নয়, স্বাদেও বাহারি এগুলি। দু’জন খেতে গেলে খরচ পড়বে ১৮০০ টাকার মতো। কোনও এক বৃষ্টির দিনে চাইনিজ় কিংবা বিরিয়ানি ছেড়ে বর্ষা উদ্‌যাপন হতে পারে বার্মার খাবার খেয়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Food Burma
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE