E-Paper

উষ্ণায়ন না রুখলে খরার আশঙ্কা হিমালয়ে: রিপোর্ট

প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে উষ্ণায়ন নিয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখতে হবে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৪ ০৭:৫২
Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রকোপ স্পষ্ট। পৃথিবী জুড়ে গরম ক্রমেই বাড়ছে। এর মধ্যে একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হল, বিশ্ব উষ্ণায়ন যদি ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যায়, তা হলে হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলের ৯০ শতাংশ এলাকায় খরা দেখা দেবে। সেই খরা চলবে বছরভর। ‘ক্লাইমেটিক চেঞ্জ’ নামক জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে উষ্ণায়ন নিয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখতে হবে। কিন্তু যে হারে দূষণ এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গরম বাড়ছে, তাতে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেলে কী হবে। ব্রিটেনের ‘ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাঙ্গলিয়া’-র বিশেষজ্ঞেরা গবেষণাটি করেছেন। তাঁরা এই গবেষণায় দেখিয়েছেন, কী ভাবে সাধারণ মানুষের জীবন ও প্রকৃতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে। মোট ৮টি গবেষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের গবেষণাক্ষেত্র ছিল ভারত, ব্রাজ়িল, চিন, মিশর, ইথিওপিয়া এবং ঘানা— এই ছ’টি দেশ। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এ ভাবে গরম বাড়লে খরা ও একই সঙ্গে বন্যার আশঙ্কা বাড়বে, শস্য উৎপাদন কমবে, জীববৈচিত্র কমবে। বিশ্ব উষ্ণায়ন ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে ভারতে যেমন, পরাগ-সংযোগ (পলিনেশন) অর্ধেক হয়ে যাবে। তবে বিশ্ব উষ্ণায়ন যদি ১.৫ ডিগ্রিতে আটকে রাখা যায়, তা হলে চাষের জমি খরার হাত থেকে অনেকটাই বাঁচানো সম্ভব হবে। বন্যা রোখা গেলে নদী-তীরবর্তী অঞ্চলে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি কমানো যাবে। তবে এর জন্য সব দেশকে আরও বেশি করে চেষ্টা করতে হবে। যে ছ’টি দেশে গবেষণা চলেছে, সে সব দেশের বহু জায়গাতেই উষ্ণায়ন অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এর অন্যতম কারণ— জনসংখ্যা বৃদ্ধি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Global Warming Himalayas

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy