এমন ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না!
একই মাসে দু’টি পূর্ণিমা। দ্বিতীয় পূর্ণিমায় (ব্লু মুন) চাঁদ ও পৃথিবী সব থেকে কাছাকাছি (সুপারমুন) এবং সেই দিনেই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। এই ত্র্যহস্পর্শকে পশ্চিমী দুনিয়ায় বলে, ‘সুপার ব্লাড ব্লু মুন’। ১৯৮২ সালের ৩০ ডিসেম্বরের পরে ভারত-সহ এশিয়া থেকে এই ঘটনা দেখা গেল এই প্রথম। এ দিনই আফগানিস্তানে ভূমিকম্পও হওয়ায় দুয়ের মধ্যে সম্ভাব্য যোগ নিয়ে নেট দুনিয়ায় আকাশকুসুম জল্পনা শুরু হয়ে যায়!
‘ব্লু মুন’ মানে কিন্তু নীলচে চাঁদ নয়, তবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণে লাল রশ্মির প্রতিসরণে চাঁদকে লালচে দেখায় (ব্লাড মুন)। ‘সুপারমুন’ শব্দটিরও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। পৃথিবীকে পাক খেতে খেতে চাঁদ এক বার কাছে চলে আসে এবং এক বার দূরে চলে যায়। দূরত্বটা যখন সব থেকে কমে যায়, সেটাকে বলে ‘অনুভূ’ অবস্থান। এই সময়ে পূর্ণিমা হলে সেটাই ‘সুপারমুন’। এই শব্দের জনক পশ্চিমী জ্যোতিষী রিচার্ড নোল্লে।