বৃহস্পতির কপাল ভাল। কপাল ভাল শনি, ইউরেনাস, নেপচুনেরও। মঙ্গলও টায়েটুয়ে বেঁচে যেতে পারে বরাতজোরে।
তবে শেষের সে দিন এলে সূর্যের ভয়ঙ্কর রোষ থেকে রেহাই পাওয়ার কোনও আশাই কিন্তু নেই পৃথিবীর। জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যেতেই হবে পৃথিবীকে।
বুধের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম। সূর্যের সবচেয়ে কাছে থাকার মাসুল তাকে এখনই গুনতে হচ্ছে। শেষের সে দিনে তাই তার চেহারাটিই হবে সবচেয়ে ভয়াবহ। পৃথিবীর যমজ গ্রহ, আমাদের রোজকার আকাশের খুব প্রিয় শুকতারা (শুক্রগ্রহ)-টিরও অবস্থা হবে তথৈবচ।
তবে বেঁচে যাবে মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝখানে থাকা গ্রহাণুদের মুলুক গ্রহাণুপুঞ্জ (‘অ্যাস্টারয়েড বেল্ট’)। বেঁচে যাবে নেপচুনের পর বরফের সাম্রাজ্য- ‘কুইপার বেল্ট’ও। যেখান থেকে মাঝেমধ্যেই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে আসে বহু বড়, ছোট, মাঝারি আকারের ধূমকেতু।
সৌরমণ্ডলের শেষের সে দিনের ছবিটা ঠিক কেমন হবে, সূর্যের মৃত্যুর পরেও কোন কোন গ্রহ টিঁকে যাবে আর কাদের যেতে হবে অন্তিম শয্যায় এই প্রথম তার একটা সম্যক ধারণা গড়ে তুলতে পারলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ব্রহ্মাণ্ডে আমাদের ঠিকানা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের প্রায় কেন্দ্রস্থলের দিকে থাকা একটি তারামণ্ডলকে দেখে। যে তারামণ্ডলটি রয়েছে পৃথিবী থেকে সাড়ে ছ’হাজার আলোকবর্ষ দূরে। সংশ্লিষ্ট গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার’-এ।