Advertisement
৩০ নভেম্বর ২০২৩
galaxy

নীল তারায় ভরা খুব সুন্দর ছায়াপথের হদিশ

ছায়াপথের বেশির ভাগ তারাই নীল আলো বিকিরণ করছে।

সেই সুন্দর নীলাভ গ্যালাক্সি ‘এনজিসি-২৩৩৬’। ছবি- নাসার সৌজন্যে।

সেই সুন্দর নীলাভ গ্যালাক্সি ‘এনজিসি-২৩৩৬’। ছবি- নাসার সৌজন্যে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২১ ১৭:৩১
Share: Save:

একেবারে নীল রঙের খুব সুন্দর একটি গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের হদিশ মিলল এই প্রথম। পৃথিবী থেকে ১০ কোটি আলোকবর্ষ (আলোর গতিতে ছুটলে এক বছরে যতটা দূরত্ব পেরনো যায়, সেটাই ১ আলোকবর্ষ) দূরে।

এই ‘সৌম্যদর্শন’ ছায়াপথের ছবি তুলে পাঠিয়েছে মহাকাশে থাকা নাসার হাব্‌ল টেলিস্কোপ। ছায়াপথটির নাম ‘এনজিসি-২৩৩৬’।

নাসা জানিয়েছে, এই ছায়াপথের বেশির ভাগ তারাই নীল আলো বিকিরণ করছে। তার ফলে, গোটা ছায়াপথেরই রং হয়ে উঠছে নীল। এর আগে আর এমন কোনও নীলরঙা ছায়াপথের হদিশ মেলেনি।

নাসা সূত্রের খবর, এনজিসি-২৩৩৬ ছায়াপথটি রয়েছে ১০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে ‘ক্যামেলোপার্ডালিস’ (যার আর একটি নাম- ‘জিরাফ’) নক্ষত্রপুঞ্জে। ছায়াপথটি বিশাল আকারের। রয়েছে প্রায় ২ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরত্ব জুড়ে। ছায়াপথটির কেন্দ্রের কাছাকাছি রয়েছে বহু তারা, যেগুলি লাল রঙের। বয়সও তাদের অনেক বেশি। কিন্তু ছায়াপথের দু’টি স্পাইরাল আর্ম-এ রয়েছে অনেক অনেক বেশি নীল রঙের তারা। যাদের বয়স খুব বেশি নয়। তাদের জন্যই গোটা ছায়াপথটির রঙ নীল দেখাচ্ছে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা, এনজিসি-২৩৩৬ ছায়াপথের নীল রঙের তারাগুলি পর্যবেক্ষণের জন্য আদর্শ হয়ে উঠতে পারে আগামী দিনে। কারণ, এই তারাগুলি নতুন। তাই তারা কী ভাবে তৈরি হয়, তারাদের জন্মের পর প্রাথমিক দশা কেমন, তা বুঝে ওঠার জন্য বিজ্ঞানীদের সহায়ক হয়ে উঠতে পারে এই ‘সৌম্যদর্শন’ ছায়াপথটি।

১৮৭৬ সালে তাঁর ছোট টেলিস্কোপের মাধ্যমে প্রথম এই ছায়াপথটির সন্ধান পান জার্মানির জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলহেল্‌ম টেম্পল। কিন্তু তার পর এই ছায়াপথটিকে আর বিশদে দেখা সম্ভব হয়নি। প্রায় ২৫০ বছর পর নাসার হাব্‌ল স্পেস টেলিস্কোপ সেই ছায়াপথের রঙ চিনতে পারল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE