Advertisement
১৯ মে ২০২৪

দুই দাঁতালে দিনভর নাজেহাল বন দফতর

এলাকায় সমানে শুক্রবার রাতে থেকে বৃষ্টি লেগেই আছে। তারই মধ্যে দুই দাঁতালকে নিয়ে সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাজেহাল হল জেলা বন দফতর। শনিবার বৃষ্টির জেরে ওই দুই দাঁতালকে দূর থেকে লক্ষ্য রাখা ছাড়া আর কোনও কিছু করার সুযোগ পায়নি দফতর। যদিও এ দিন দুই দাঁতালের আসা-যাওয়ার পথে কিছু ধান ও শাক-সব্জি নষ্ট হয়েছে। তবে, সেই অর্থে দুই দাঁতাল কোনও জীবনহানি করেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৫ ০২:৩৩
Share: Save:

এলাকায় সমানে শুক্রবার রাতে থেকে বৃষ্টি লেগেই আছে। তারই মধ্যে দুই দাঁতালকে নিয়ে সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাজেহাল হল জেলা বন দফতর। শনিবার বৃষ্টির জেরে ওই দুই দাঁতালকে দূর থেকে লক্ষ্য রাখা ছাড়া আর কোনও কিছু করার সুযোগ পায়নি দফতর। যদিও এ দিন দুই দাঁতালের আসা-যাওয়ার পথে কিছু ধান ও শাক-সব্জি নষ্ট হয়েছে। তবে, সেই অর্থে দুই দাঁতাল কোনও জীবনহানি করেনি।

বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে দুই দাঁতালকে সিউড়ি লাগোয়া পুরন্দরপুর এলাকায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার ফসল নষ্টের আশঙ্কায় স্থানীয়রা তাদের তাড়া করেন। খবর যায় বন দফতরের বোলপুর রেঞ্জ এবং ইলামবাজার বিট এলাকায়। বোলপুরের বিডিও শমীকল পাণিগ্রাহী বলেন, “বোলপুর ব্লক এলাকায় হাতি ঢোকার খবর পাওযা মাত্রই স্থানীয় পঞ্চায়েত-সহ বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়। যাতে ওই দুই দাঁতালকে কেউ উত্ত্যক্ত না করে। ফলে দিনের শেষে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা জীবনহানির কোনও খবর নেই।’’

দফতর সূত্রের খবর, ওই দুই দাঁতাল পুরন্দরপুর থেকে দেবগ্রাম হয়ে যাদবপুর, বল্লভপুর, মনোহরপুর এলাকায় বন দফতর এবং স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে আসে। তবে, হাতি দু’টি সেই অর্থে কোনও ক্ষয়ক্ষতি করেনি। দিনভর বৃষ্টির কারণে হুলা পার্টি বা পটকা ফাটিয়ে তাদের ধাওয়া করার জো ছিল না বন দফতরের। ফলে দূর থেকে তাদের গতবিধি লক্ষ্য করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না। তবে, এদিন সকাল থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে অবশ্য উৎসাহী জনতাও হাতিদের তেমন বিরক্ত করতে পারেনি। ফলে দুই দাঁতাল তেমনটা চটেনি বলেই বন দফতরের দাবি। লাগোয়া নদীর ধার এবং ময়ূরাক্ষী ক্যানাল ধরে কখনও বল্লভপুরে, আবার কখনও বন দফতরের লোক জনের তাড়া খেয়ে লাগোয়া গাছ-গাছালি ঘেরা এলাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে ছিল দিনভর। ইলামবাজারের বিডিও উৎপল পাতসা বলেন, ‘‘স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দুই দাঁতালকে যাতে কেউ বিরক্ত না করে।”

বীরভূমের ডিএফও সন্তোষা জি আর বলেন, “দুই দাঁতালের উপর আমাদের দফতরের নজর আছে। কর্মীরা সতর্ক নজর রেখে দুই দাঁতালকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ইলামবাজার চৌপাহাড়ি জঙ্গল থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে ওই দুই দাঁতাল রয়েছে। রাতের মধ্যে আমরা তাদের জঙ্গলের মধ্যে ফিরিয়ে দিতে পারব। তবে, এখনও পর্যন্ত দুই দাঁতালের তরফে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। আসা-যাওয়ার পথে কিছু কিছু জায়গায় ধান আর শাক সব্জি নষ্ট হলে হতে পারে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE