হাতির তাণ্ডবে ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষতি হল গড়বেতা ও গোয়ালতোড়ে। বন দফতর সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই দলমা থেকে আসা ৬৬টি হাতির একটি দল গড়বেতা ও গোয়ালতোড় এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দিন তিনেক আগে ময়ূরঝর্ণা থেকে আসা ১২টি হাতির অপর একটি দল দলমার দলের সঙ্গে এলাকায় তাণ্ডব চালায়। শনিবার রাতে ময়ূরঝর্ণা থেকে আসা হাতির দলটি বাঁকুড়ার দিকে চলে যায়। তবে দলমার দলটি এখনও আমলাগোড়া রেঞ্জের মাগুরাশোলের জঙ্গলে রয়েছে। বন দফতরের ডিএফও (রূপনারায়ণ) রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “এখন জঙ্গলে জল ও খাদ্যের অভাবে হাতির দল গ্রামে ঢুকে পড়ছে। হাতির পালটিকে একেবারে গভীর কোনও জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।” তিনি জানান, হাতির তাণ্ডবে ধান-সহ ২০০ একরের বেশি জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে দশটি বাড়ির। জখম হয়েছেন এক বন কর্মী।
বন দফতর সূত্রে খবর, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দফায় দফায় দলমা থেকে ৬৬টি হাতির পাল গোয়ালতোড়ে ঢোকে। কয়েকদিন আগে ওই দলের এক হস্তিশাবকের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, কোনও জটিল রোগেই মাস ছ’য়েকের ওই হস্তিশাবকটির মৃত্যু হয়েছে। হাতির পালটি প্রথমে গোয়ালতোড়ের মহালিশাই রেঞ্জের বিভিন্ন জঙ্গলে ঘোরার পর এখন গড়বেতার আমলাগোড়ার মাগুরাশোল জঙ্গলে রয়েছে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গলে পর্যাপ্ত পানীয় জল ও খাবার না পাওয়ায় হাতির পালটি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে সপ্তাহ খানেক ধরে ওই দুই ব্লকের দুধপোতরি, কদমডিহা, রুপাঘাগরা, নোহারি, চ্যাংশোল, মাগুরাশোল, হুমগড়-সহ প্রায় কুড়ি-তিরিশটি গ্রামে তাণ্ডব চালায়।
গত শুক্রবার হুমগড় রেঞ্জের চৈতন বিশুই নামে এক বন কর্মী হাতির পালের কাছাকাছি যাওয়ায় একটি হাতি তাঁকে তুলে আছড়ে ফেলে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে পরিবারের লোকেরা চিকিৎসার জন্য তাঁকে কটকে নিয়ে গিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “হাতির তাণ্ডবে বাড়ি ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। দফতরের নিয়ম মেনে সবাইকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy