ছবি: অনির্বাণ সাহা।
নারী মানেই শক্তি। নারী মানেই মা। নারী মানেই শত্রু বিনাশিনী। আসলে এ সবই নারীত্বের কিছু প্রতীক। বিপদ আসন্ন বুঝলেই তাঁর পায়ে ‘রক্ষা কর মাগো’ মন্ত্রে লুটিয়ে পড়ে মানুষ। তখন তারা অবুঝ সন্তান। মনে পড়ে সিমন দ্য বোভোয়ার-এর বিখ্যাত সেই উক্তি-‘নারী হয়ে কেউ জন্মায় না, নারী হয়ে ওঠে’। আসলে সকল মাতৃশক্তি এক ও অভিন্ন। দক্ষকন্যা সতীর দশমহাবিদ্যার রূপ সকলেরই প্রায় জানা। স্বয়ং মহাদেবও তখন বুঝেছিলেন মহামায়া আদ্যাশক্তিকে বাধা দেওয়ার সাধ্যি কারও নেই। আমাদের ভাবনায় দশমহাবিদ্যার মধ্যে তিন মহাবিদ্যাকে লেন্সের মাধ্যমে তুলে ধরার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র।
মহানির্বাণতন্ত্র মতে কালী আদ্যাশক্তি। কারণ মা কালী নিখিল বিশ্বের আদি বীজ। কালের উৎপত্তি যখন হয়নি, তখনও ছিলেন মহাকালী। তিনি দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিনী। যুগ যুগ ধরে মা কালীর সংহারিনী শক্তির মধ্যে ভক্তরা খুঁজে পেয়েছেন জননীকে। রামপ্রসাদ, কমলাকান্ত, ঠাকুর শ্রী শ্রী পরমহংসদেব মায়ের সঙ্গে সেই লীলায় মগ্ন।
দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় মহাবিদ্যা হলেন তারা। তিনি কৈবল্য দায়িনী। তাঁর এক নাম এক জটা। তিনি সকল জীবকে তারণ করেন, তাই তাঁর নাম তারা। তিনি বাক্শক্তি দান করেন তাই তিনি নীল সরস্বতী নামেও খ্যাত। তিনি উগ্র বিপদ থেকে ভক্তদের রক্ষা করেন তাই তিনি উগ্রতারা নামেও পরিচিত। মা তারার মধ্যে আমরা সন্তান বৎসলা মাকে দেখি। তিনি চৈতন্যময়ী। তাঁর কৃপায় ভক্তেরা চৈতন্য লাভ করে।
তৃতীয় মহাবিদ্যা হলেন ষোড়শী বা ত্রিপুরাসুন্দরী। ষোড়শী দেবী ‘শ্রী’ কূলের দেবী। তিনি শান্তা। তাঁর চার হাত। তিনি কমল আসনে সদাশিবের উপর বিরাজমান। তন্ত্রশাস্ত্রে দেবীকে পঞ্চবক্ত্রা বলা হয়েছে। ত্রিপুরাসুন্দরীকে শ্রীবিদ্যাও বলা হয়। জগতের দুঃখ জাল থেকে সন্তানদের তিনি মুক্তি দেন। তাই তিনি চৈতন্যময়ী। তাঁর কৃপায় ভক্তেরা চৈতন্য লাভ করে।
মডেল- শবনম, শ্রেয়সী।
মেকআপ, গয়না- শুভম চক্রবর্তী
স্টাইলিং- দীপ্তরূপ
লোকেশন- স্টুডিয়ো ওয়ান বাই টু
ফুড পার্টনার- দ্য ফুচকা পার্লার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy