আগে আপনার শরীর বেশ ছিপছিপে, মেদহীন ছিল। নিয়মিত শরীরচর্চা, ডায়েট করে নিজেকে মেনটেনও করতেন। কিন্তু মা হওয়ার পর থেকেই কেমন যেন ঢিলেঢালা হয়ে গিয়েছেন। নিজের দিকে এখন আর নজরই দেন না তেমন। মেদ জমেছে শরীরে। নিজের আগের চেহারা মিস করেন ঠিকই, কিন্তু আগের মতো নিজেরে সুন্দর করে তোলার মোটিভেশনটাই যেন হারিয়ে ফেলেছেন। জেনে নিন ডেলিভারির পরও কী ভাবে আগের চেহারা ফিরে পাবেন।
১। স্তন্যদান- ডেলিভারির পর ওজন কমানোর ভাল উপায় শিশুকে স্তন্যদান করা। এতে ক্যালরি ঝরে পেটের চর্বি কমাতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই শরীর সুস্থ রাখতে, হরমোনের ব্যালান্স ধরে রাখতেই সাহায্য করে ব্রেস্টফিডিং।
২। খাওয়া দাওয়া- ডেলিভারির পর বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে, সারা দিন শিশুর যত্ন নিয়ে অনেকেই অবসাদে ভোগেন। একে বলে পোস্ট ন্যাটাল ডিপ্রেশন। এই ডিপ্রেশনে উল্টোপাল্টা খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ফলে শরীরের ক্ষতি হয়। এই সময় শরীর সারানোর জন্য সঠিক খাওয়া দাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কার্বহাইড্রেট, হোলগ্রেন, ফল, লিন প্রোটিন, সবজি সমৃদ্ধ সুষম ডায়েট শরীর ভালও রাখবে, মেদও
ঝরবে তাড়াতাড়ি।
৩। অ্যালকোহল- যদি আপনার অ্যালকোহল খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে অবশ্যই খাওয়া বন্ধ করুন। সেই সঙ্গে চিনি যুক্ত পানীয় খাওয়াও ছাড়ুন। এই সময় শরীরে সহজে মেদ জমে। তাই সাবধান থাকুন।
৪। এক্সারসাইজ- নরমাল ডেলিভারি হলে কয়েক দিন পর থেকেই শরীরচর্চা শুরু করুন। সি-সেকশনের ক্ষেত্রে অন্তত দু’মাস পর থেকে এক্সারসাইজ করুন। তবে দুই ক্ষেত্রেই চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। পেটের মেদ কমানোর জন্য শুধু পেটের ব্যায়াম করলে চলবে না। গোটা শরীরের ব্যায়াম করলে তবেই মেদ কমবে।
৫। ওয়েট অ্যান্ড স্ট্রেংথ ট্রেনিং- ডেলিভারির পর শরীরচর্চার যেমন প্রয়োজন রয়েছে তেমনই প্রয়োজন রয়েছে দুর্বলতা কাটানোর। ডেলিভারির পরে বিশেষ এক ধরনের ওয়েট অ্যান্ড স্ট্রেংথ ট্রেনিং হয়। কার্ডিওভাসকুলার কিছু এক্সারসাইজের সাহায্যে ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা যায়।
৬। মোটিভেশন- মা হওয়ার পর অনেকের মধ্যেই একটা গা ছাড়া ভাব আসে। শিশুর যত্ন নিতে গিয়ে নিজের জন্য সময় না দিতে পারা, বসে থাকতে থাকতে শরীরে মেদ জমতে থাকে। মোটিভেশন হারিয়ে ফেলবেন না। নিজেকে সব সময় মোটিভেটেড রাখুন। অবসাদ কাটিয়ে উঠুন।
৭। চ্যালেঞ্জ- নিজেকে নিজে চ্যালেঞ্জ করুন। সময়সীমা বেঁধে নিন। তিন মাসের মধ্যে আবার আগের চেহারা ফিরে পেতে হবে। এই চ্যলেঞ্জ নিয়ে নিন। শিশুর যত্নের পাশাপাশি নিজের য়ত্ন নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy