Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

দু’শো রান করে কার ম্যাচ হারতে ভাল লাগে: ঋদ্ধিমান

আইপিএল ফাইনালে এই প্রথম সেঞ্চুরি করে রেকর্ড বইয়ে ঢুকে পড়েছেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ট্রফি জেতাতে পারেননি। সেই হতাশা নিয়েই সোমবার শহরে ফিরলেন প্রীতি জিন্টার দলের বঙ্গসন্তান উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা। দুপুর একটা নাগাদ বাড়ি ফিরে ঋদ্ধি বলছিলেন, “টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিপক্ষকে দু’শো রানের টার্গেট দিয়েও ম্যাচ হারতে কার ভাল লাগে বলুন তো?” রবিবার তাঁর ১১৫ রানের মারকাটারি ইনিংসের পর পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন কেকেআর মালিক শাহরুখ খান।

ঘরে ফিরে। সোমবার। —নিজস্ব চিত্র

ঘরে ফিরে। সোমবার। —নিজস্ব চিত্র

দেবাশিস সেন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৪ ০৩:১২
Share: Save:

আইপিএল ফাইনালে এই প্রথম সেঞ্চুরি করে রেকর্ড বইয়ে ঢুকে পড়েছেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ট্রফি জেতাতে পারেননি। সেই হতাশা নিয়েই সোমবার শহরে ফিরলেন প্রীতি জিন্টার দলের বঙ্গসন্তান উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা।

দুপুর একটা নাগাদ বাড়ি ফিরে ঋদ্ধি বলছিলেন, “টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিপক্ষকে দু’শো রানের টার্গেট দিয়েও ম্যাচ হারতে কার ভাল লাগে বলুন তো?” রবিবার তাঁর ১১৫ রানের মারকাটারি ইনিংসের পর পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন কেকেআর মালিক শাহরুখ খান। ম্যাচের পর আগামী দিনে আরও ভাল পারফর্ম করার জন্য উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের মালকিন প্রীতি জিন্টা থেকে সতীর্থ গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ডেভিড মিলাররা। ঋদ্ধিমানের কাছে হতাশার মধ্যে প্রাপ্তি এগুলোই।

ফাইনালের পোস্টমর্টেম করতে বসে ঋদ্ধি বলছিলেন, “ওরা কখনই আস্কিং রেট এগারোর উপরে যেতে দেয়নি। আমরা দু-তিন ওভার ভাল বল করতে পারিনি। সেখানেই ম্যাচটা হাত থেকে বেরিয়ে গেল।” আর নিজের ইনিংস সম্পর্কে তাঁর আত্মমূল্যায়ন, “সানরাইজার্স ম্যাচে আমরা ২০৫ রান তাড়া করে জিতেছিলাম। সে দিনও সঙ্গী ছিল মনন ভোরা। তিরিশ বলে ৫৪ রান করে ম্যাচের সেরাও হয়েছিলাম। যা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। ফাইনালে ব্যাট করার সময় মননকে ওই ম্যাচের কথাই বলছিলাম।”

আর ‘মিস্ট্রি বোলার’ সুনীল নারিনের রহস্যভেদ? ঋদ্ধিমান বলছেন, “প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল স্টেপ আউট না করা। ক্রিজ থেকে না বেরোনোয় ওকে খেলার জন্য কাট এবং পুল করার প্রয়োজনীয় সময় এবং জায়গা পেয়ে যাচ্ছিলাম। নারিনকে খেলার এটাই স্ট্র্যাটেজি।” এখানেই না থেমে আরও বললেন, “শুরু থেকেই আমাদের প্ল্যান ছিল লুজ বল না ছাড়া। ডট বল যেন কোনওমতেই না হয়। আর বেইলি যেহেতু জোরে বলটা ভাল খেলে তাই উমেশকে খেলার জন্য ওকে আগে পাঠানো ছিল ট্যাকটিকাল মুভ।”

শতরানের ইনিংসে দশটা চার, আটটা ছয়। তার মধ্যে উমেশের মাথার উপর দিয়ে মারা ছক্কা এবং নারিনকে পুল করে মাঠের বাইরে পাঠানোটাই সেরা। আর সিএসকে বা কেকেআর প্রসঙ্গ উঠলে বলেই দিচ্ছেন, “ওগুলোই তো আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। এ বার কিংস ইলেভেন-এ যাওয়ার পর থেকেই জানতাম আমার সময় আসছে।”

বাড়ি ফিরেই চলে গিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়িতে থাকা মেয়ে এবং স্ত্রী রোমির সঙ্গে দেখা করতে। সামনে ইংল্যান্ড সফর। তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই ঋদ্ধিমান বলে দিলেন, “আইপিএল ফাইনাল ইংল্যান্ডে খেলার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। জানি ওখানে আবহাওয়া অন্য রকম। সুইং ব্যাটসম্যানদের কাছে সমস্যা। কিন্তু দু’টো প্রস্তুতি ম্যাচ পাব। আশা করি সমস্যা হবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

debashish sen ipl kings eleven punjab wridhiman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE