দারুণ একটা ফাইনালের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু এমসিজিতে অস্ট্রেলিয়া ঘরের মাঠের সমর্থনকে পাশে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে গুড়িয়ে দিল। এটা কিন্তু খারাপ ব্যাপারই হল। যে টুর্নামেন্ট কয়েকটা হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ উপহার দিয়েছে, তার শেষটা নাটকীয় হলে একেবারে মধুরেণ সমাপয়েৎ হত।
আমার কাছে ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ব্রেন্ডন ম্যাকালামের আউটটা। নিউজিল্যান্ডকে প্রায় অলৌকিক নেতৃত্ব দিচ্ছিল ম্যাকালাম। একই সঙ্গে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে গোড়াতেই ম্যাচের দখল নিয়ে মিডল অর্ডারের চাপটা অনেকটা কমিয়ে দিচ্ছিল। তাই ফাইনালের প্রথম ওভারেই ওর আউট হওয়াটা নিউজিল্যান্ডের কাছে বিরাট বড় ধাক্কা। ম্যাকালাম বোল্ড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেকর্ড নব্বই হাজারের বেশি দর্শক যে ভাবে গর্জে উঠেছিল তাতেই পরিষ্কার ওর উইকেটের মূল্য অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঠিক কতটা ছিল। মিচেল স্টার্কের জন্যও দারুণ একটা মুহূর্ত হয়ে রইল সেটা। গোটা টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ভাবে দুরন্ত বোলিং করে গিয়েছে স্টার্ক। তার পর ফাইনালে নতুন বলে ও রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ উইকেটও তুলে নেওয়া অসাধারণ ব্যাপার।
ঠিক সময়ে অস্ট্রেলিয়া জ্বলে উঠল। ওদের বোলিংটা গোটা টুর্নামেন্টেই বড় শক্তি হয়ে উঠেছিল। স্টার্ক আর জনসন স্বাধীন ভাবে আক্রমণের সুযোগ পেয়ে প্রচণ্ড আগ্রাসী বোলিং করল। ওদের মধ্যে যেন অতীতের অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলারদের ছায়া ফুটে উঠছিল। যেটা দারুণ লেগেছে।
ডারেন লেম্যান— মানে সতীর্থ বা বন্ধুদের কাছে বুফ-এর কোচিংয়ে অস্ট্রেলিয়া যে দ্রুত উন্নতি করেছে সেটা পরিষ্কার। আইপিএলে ডেকান চার্জার্স আর সানরাইজার্সে ওঁর কোচিংয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। লেম্যানের কোচিং দক্ষতাকে আমি শ্রদ্ধা করি। প্লেয়ারদের চাপটা কমিয়ে দিয়ে স্বাধীন ভাবে খেলতে লেম্যান খুব উৎসাহ দেন। অস্ট্রেলিয়ান টিমের মধ্যে একটা ভাল সংস্কৃতি তৈরি করতে লেম্যান সফল।
ব্ল্যাক ক্যাপস নিশ্চয়ই খুব হতাশ। গোটা টুর্নামেন্ট একই রকম আবেগ আর হিংস্র ভাবটা বজায় রেখে খেলেছে ওরা। যেটা আমরা সাধারণত নিউজিল্যান্ডের রাগবি টিম অল ব্ল্যাকসের খেলায় দেখেছি। তবে অস্ট্রেলিয়া যোগ্য টিম হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy