Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
দাদাগিরি

আমি এবি হলে খোঁচাটা হজম করে চাকাটা ঘোরাতে নামতাম

বিশ্বকাপ আজ থেকে যে গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে উঠে পড়ছে সেখানে আট দলের প্রত্যেকের এ যাবত টুর্নামেন্টে সমস্ত ভাল-খারাপ কাজ মুছে গিয়ে নতুন করে শুরু হবে স্নায়ুর সঙ্গে সঙ্গে স্কিলেরও পরীক্ষা। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকানদের জন্য। বহু বছর ধরেই ওরা খুব-খুব ভাল একটা ক্রিকেট দেশ। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক কোনও সত্যিকারের বড় খেতাব সব সময় ওদের হাতছাড়া হয়েছে।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৫ ০৪:৫৩
Share: Save:

বিশ্বকাপ আজ থেকে যে গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে উঠে পড়ছে সেখানে আট দলের প্রত্যেকের এ যাবত টুর্নামেন্টে সমস্ত ভাল-খারাপ কাজ মুছে গিয়ে নতুন করে শুরু হবে স্নায়ুর সঙ্গে সঙ্গে স্কিলেরও পরীক্ষা।

বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকানদের জন্য। বহু বছর ধরেই ওরা খুব-খুব ভাল একটা ক্রিকেট দেশ। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক কোনও সত্যিকারের বড় খেতাব সব সময় ওদের হাতছাড়া হয়েছে। এবং একটা অপ্রয়োজনীয় তকমা ওদের গায়ে সেঁটে দেওয়া হয়েছে। আমার মতে এটাই ওদের মনোভাব হওয়া উচিত। আর আমি যদি এবি ডে’ভিলিয়ার্স হতাম তা হলে স্রেফ এটাকে হজম করে নিতাম এবং মনে মনে বলতাম, তো তাতে কী হয়েছে! আজ একটা নতুন দিন এবং আমরা চাকাটা ঘুরিয়ে দিতেই পারি।

জীবনে অনেক সময় কোনও একটা কিছুকে মেনে নিতে পারলে সেটাই বৃহত্তর ক্ষেত্রে ওষুধের কাজ দেয়। মানসিক ভাবে সেটা আপনাকে থিতু হতে সাহায্য করে, যেখান থেকে নিজেকে নতুন রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ফেলার ব্যাপারে ঠেলা দেয়। দক্ষিণ আফ্রিকারও আজ সেই ভাবে শ্রীলঙ্কা কোয়ার্টার ফাইনালটা দেখা উচিত।

সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন

আমার মনে হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকা এ বার একটা স্পেশ্যাল কিছু করতে এসেছে। বারবার দুর্ধর্ষ টিম হওয়া সত্ত্বেও ওদের বিশেষ কিছু প্রাপ্তি ঘটেনি। তবে আমার মতে বিশ্বকাপে এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে শক্তিশালী দল তা কিন্তু নয়। ওদের আগের কয়েকটা টিমে কোনও ফাঁকফোকরই ছিল না। কিন্তু এ বার ওদের দলে ব্যাটিংয়ে সাত নম্বর পজিশন আর পঞ্চম বোলার এই দুটো জায়গা নিয়ে ভাবনার অবকাশ রয়ে গিয়েছে। কালিস অতীতে এই ব্যালান্সটা রাখত। কিন্তু এ বার পার্নেলকে নিয়ে পরীক্ষা ব্যর্থ হওয়ার পর ওরা আবার বেহারদিয়েনে আস্থা রাখছে। কালিস আর বেহারদিয়েনে কোনও তুলনাই হয় না। তবে আজ ম্যাচে বেহারদিয়েনের একটা বড় ভূমিকার প্রয়োজন হতে পারে। শ্রীলঙ্কার উঁচু মানের ব্যাটসম্যানরা বেহারদিয়েনের বোলিংকে টার্গেট করবেই আর সেটা এবি-র জানা আছে বলেই ও এই টুর্নামেন্টে নিজে কিছু ওভার বল করে রেখেছে। আজও নিশ্চয়ই করবে।

অন্য দিকে শ্রীলঙ্কা দলে বড় টুর্নামেন্টের ক্রিকেটারে ভর্তি। ওদের মতো একটা ছোট দ্বীপরাষ্ট্রের কাছে এটা বিরাট সাফল্য যে একাধিক বার ওরা কাপ ফাইনালে উঠেছে এবং একবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। আজও ওরা প্রোটিয়াদের জন্য তৈরি থাকবে এবং সিডনির মাঠের কন্ডিশন ওদের সেই কাজে সাহায্যও করতে পারে। দু’টো দলই এসসিজিতে এই টুর্নামেন্টে আগে খেলেছে এবং বিরাট ইনিংস গড়েছে। ফলে আরও একবার সেই কাজ করতে চাইবে আজ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে শক্তিশালী অস্ট্রেলীয় বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে এই মাঠে বড় রান করার আত্মবিশ্বাসটা থাকবে শ্রীলঙ্কানদের মধ্যে।

শ্রীলঙ্কার অবশ্য রঙ্গনা হেরাথের ফিট হয়ে ওঠাটা ভীষণ ভাবে দরকার। সিডনিতে ম্যাচের বিভিন্ন সময় স্পিনারের দরকার পড়বে এবং হেরাথ খুব ভাল স্পিনার। টসটাও আজ গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ান ডে-তে বড় নকআউট ম্যাচে স্কোরবোর্ডের চাপটা কিন্তু একটা ফ্যাক্টর।

তবে আমার কাছে আজ কেউ ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে না। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ রেকর্ড ভাল। বিশেষ করে নকআউটে। আর সেটাই আজ এবি-দেরকে আগাগোড়া মানসিক ভাবে চ্যালেঞ্জ জানাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE