প্রতিপক্ষ শিবিরে মহম্মদ আমির, হাসান আলিরা থাকলেও বাংলাদেশের চিন্তা কিন্তু অন্য দুই বোলারকে নিয়ে। যে দুজনের নাম— মাশরফি মর্তুজা এবং শাকিব আল হাসান!
এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে কে খেলবে, সেটা ঠিক হওয়ার অঙ্ক খুব সহজ। আজ, বুধবার, পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশের লড়াইয়ে যে জিতবে, শুক্রবার ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র তাদের। কিন্তু পাকিস্তানকে নিয়ে ভাবতে বসার আগে বাংলাদেশের চিন্তা তাদের নিজের দুই ক্রিকেটারকে নিয়েই। মর্তুজা, শাকিব। দু’জনেই চোট-আঘাতের সমস্যায় ভুগছেন। তবে যা জানা যাচ্ছে, দু’জনেই খেলবেন। আরও জানা গেল, প্রথম জন মাঠে নামবেন ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে। দ্বিতীয় জন, অর্থাৎ শাকিব একেবারে ইঞ্জেকশন নিয়ে।
শাকিবের সমস্যাটা একটু পুরনো। কিছু দিন আগে শেষ হওয়া শ্রীলঙ্কা সিরিজে ফিল্ডিং করার সময় বাঁ হাতের কড়ে আঙুলে চোট পান বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। আঙুলের হাড়ও সরে গিয়েছিল। ব্যান্ডেজ করে খেলে চলেছেন। অস্ত্রোপচার না করলে ঠিক হবে না। এই অবস্থায় ইঞ্জেকশন নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে শাকিবকে। বলও করতে হচ্ছে এই বাঁ হাতি স্পিনারকে। ব্যাটও করছেন অতি সতর্ক ভাবে। যাতে চোটের জায়গায় আরও লেগে না যায়। এই অবস্থাতেই খেলতে নামবেন শাকিব।
মর্তুজা এখন আর আগের মতো ফিট নন। দীর্ঘদিন ধরে পেস বোলিং করার ফলে ছোটখাটো সমস্যা তাঁর লেগেই আছে। এখানে এশিয়া কাপে, এই প্রচণ্ড গরমে টানা খেলে যাওয়ার ছাপ পড়ছে তাঁর শরীরে। চোটের একটা ছবি বাংলাদেশ সাংবাদিকদের দেখিওয়েছেন মর্তুজা। যাতে দেখা যাচ্ছে, ঊরুতে কালশিটে পড়ে গিয়েছে তাঁর। প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে। তবে এই যন্ত্রণা নিয়েই খেলার জন্য তৈরি হচ্ছেন মর্তুজা। অবশ্যই আধুনিক ওষুধের সাহায্যে।
টানা খেলার ধকল কতটা পড়েছে দলের ওপর? জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের কোচের কাছ থেকে। মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকে এসে স্টিভ রোডস বলে গেলেন, ‘‘এই সূচিতে তো সবাইকে খেলতে হচ্ছে। তা হলে আর ওই নিয়ে ভেবে কী হবে। আমরা একটা দিন বিশ্রাম পেয়েছি। সেটাতেই আশা করি সবাই ঠিক হয়ে যাবে।’’ মঙ্গলবার ঐচ্ছিক প্র্যাক্টিস ছিল। যেখানে মর্তুজা বা শাকিব আসেননি।
আগের আফগানিস্তান ম্যাচেই মর্তুজাকে পুরো দশ ওভার বল করতে হয়েছে। কারণ মুস্তাফিজুর রহমান দশ ওভার বল করার ধকল নিতে চাননি। যেটা করতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিজের চোট বাড়িয়ে ফেলেছেন। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিমও পাঁজরের চোটের সমস্যায় ভুগছেন। যদিও সেটা এমন কিছু গুরুতর নয় বলেই জানা যাচ্ছে। তিনি এ দিন প্র্যাক্টিসও করেন।
ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে মাঠে ফিরছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ অন্য দিকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই জিতে আসছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের ফেভারিট বলতে চান না স্টিভ। বাংলাদেশ কোচ বলছেন, ‘‘অবশ্যই আমাদের মনোবল খুব ভাল জায়গায়। কিন্তু তাও বলব, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমরা আন্ডারডগ। ওরাই ফেভারিট।’’ তবে পাকিস্তানের পেস আক্রমণ নিয়ে স্টিভের মন্তব্য, ‘‘আবু ধাবির পিচ কিন্তু একটু মন্থর। ওখানে পাকিস্তানের জোরে বোলারদের বল খেলতে সুবিধে হতে পারে। মন্থর উইকেটে আমিরদের বল হয়তো ভাল মতো ব্যাটে আসবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy