ওপেনার নিয়ে চিন্তা কমালেন লোকেশ রাহুল। ছবি: পিটিআই।
কেএল রাহুলের কথা ভাবলে মনে এখন দু’টো প্রতিক্রিয়া একসঙ্গে হচ্ছে। দুঃখ হচ্ছে, আবার ভালও লাগছে!
দুঃখ হচ্ছে ওই একটা রানের জন্য। এমন অসাধারণ ইনিংস খেলার পরেও কি না মাত্র এক রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরিটা হল না! ১৯৯ করে আউট হয়ে গেল কেএল। খারাপ কপাল ছাড়া একে আর কী বলব? কিন্তু তার মধ্যেও একটা ভাল লাগা কাজ করছে ভেতর ভেতর। এর পর ওপেনিংয়ে মুরলী বিজয়ের সঙ্গে কে— প্রশ্নটা আর ওঠা উচিত নয়।
চোটের কারণে বিজয় চেন্নাই টেস্টে ওপেন করেনি। কিন্তু মনে হয়, কেএলের রবিবারের ইনিংসটার পর ওপেনিং স্লট নিয়ে আর কোনও পরীক্ষার কোনও প্রয়োজন নেই। মাঝে একটা সময় ওপেনারদের লাগাতার চোটে অনেকে খেলেছে। গৌতম গম্ভীরকেও আমরা দেখেছি। কিন্তু এখন থেকে দেশে হোক বা বিদেশে, বিজয়-রাহুল জুটিরই টানা ওপেন করতে যাওয়া উচিত। আর কাউকে ভাবার জায়গাই নেই। সে দিক থেকে দেখলে, শিখর ধবনের ভারতীয় টিমে ফিরে আসা আজকের পর প্রায় অসম্ভব হয়ে গেল।
দেশ এবং বিদেশ, দু’জায়গায় কেএলকে খেলানোর কারণে এ বার ঢুকি। কেউ কেউ বলতে পারেন, একটা বছর ধবনের খারাপ গিয়েছে বলে ছুড়ে ফেলছি কেন? উত্তরটা হচ্ছে, টেকনিক। আমার মতে কেএল আর ধবনের টেকনিকে আকাশপাতাল তফাত। গত এক-দেড় বছর ধরে দেখেছি, বাইরের ডেলিভারিতে শিখরের ভাল রকম ঝামেল হচ্ছে। ক্রমাগত খোঁচা দিচ্ছে। সমস্যাটা কেএলেরও ছিল। কিন্তু ও সেটাকে শুধরে নিয়েছে। এর আগে সতেরোটা ইনিংসের মধ্যে তেরোটায় চল্লিশের কমে আউট হয়েছে কেএল। নেমে দ্রুত রান করছিল, কিন্তু আউটও হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু রবিবার দেখলাম, অফস্টাম্পের বাইরের বল অনায়াসে ছেড়ে দিচ্ছে। ক্রিজে নিজেকে সময় দিচ্ছে। সফট হ্যান্ডসে খেলছে প্রয়োজনে, স্পিনারের বিরুদ্ধে ক্রিজকে দুর্দান্ত ব্যবহার করছে। বিজয়ের টেকনিক কেমন, সবাই জানে। দেশে-বিদেশে দেখেছে। আমার মতে, দেশে তো বটেই। বিদেশেও কেএল ওর যোগ্য সঙ্গী হবে। টেকনিক, টেম্পারামেন্ট—দু’টোতেই।
ওপেনিং নিয়ে কথা যখন উঠলই, আরও একটা নাম বলি। পার্থিব পটেল। অনেককে দেখছি বলাবলি করছেন যে, পার্থিব ভাল ব্যাট করে দেওয়ায় ঋদ্ধিমান সাহার চাপ বেড়ে গেল কি না। আমার মতে, না। বাড়েনি। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের মনোভাব যতটুকু যা জানি, ওরা টেস্ট টিমে ভাল একজন উইকেটকিপার চায় যে কি না ব্যাট করতে পারে। এমন কেউ নয়, যার ব্যাটিংটা ভাল, কিপিংটা চলনসই। তা ছাড়া ঋদ্ধিমান তো খারাপ ব্যাটিং করেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সেঞ্চুরি করেছে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইডেনে দু’টো হাফসেঞ্চুরি করেছে। অন্য দিকে, পার্থিবকেও দারুণ দেখাচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাটিংটা। মোহালিতে হাফসেঞ্চুরি করার পর চেন্নাইয়ে ওপেন করে ৭১ করে গেল। আমার তো মনে হচ্ছে, বিদেশ সফরে গেলে এর পর থেকে পার্থিবকে নিয়ে যাওয়া হবে। যে টিমের তৃতীয় ওপেনার আর পরিবর্ত কিপারের দু’টো কাজই করে দিতে পারবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy