প্রতীকী ছবি
অগ্নিগর্ভ লাল-হলুদ শিবিরের অন্দরমহল। নজিরবিহীন ভাবে নির্ধারিত সময়ের আগেই ফুটবলার, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফের চুক্তি বাতিল করে দিল ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট।
ফুটবলার ও দলের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ৩১ মে পর্যন্ত চুক্তি ছিল ইস্টবেঙ্গলের। করোনা অতিমারির জেরে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন আই লিগ বাতিল করে দিয়েছে সপ্তাখানেক আগেই। কিন্তু লকডাউনের কারণে কলকাতাতেই গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন খাইমে সান্তোস কোলাদো, লালরিমদিকা রালতে, মারিয়ো রিভেরা-রা। এই পরিস্থিতিতে চব্বিশ ঘণ্টা আগে ফুটবল দল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বিনিয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে কোচ, ফুটবলার ও অন্যান্য কর্মীদের ই-মেল করে জানানো হয়েছে, জরুরি পরিস্থিতিতে (ফোর্স মেজর) ফেডারেশন আই লিগ বাতিল করে দিয়েছে। আর কোনও খেলা নেই। তাই শুধু এপ্রিল মাস পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে। মে মাসের বেতন দেওয়া সম্ভব নয়।’’ অথচ নিয়ম অনুযায়ী চুক্তি বাতিলের তিরিশ দিন আগে নোটিশ দিতে হয়। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলে তা হয়নি। কেন? বিনিয়োগকারী সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সঞ্জিত সেনের ব্যাখ্যা, “এটা আমাদের কোম্পানির শীর্ষ ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। লিগ শেষ হয়ে গিয়েছে। করোনার জেরে আর্থিক মন্দা চলছে বিশ্বজুড়ে। এই অবস্থায় কোম্পানির পক্ষে আর বেতন দেওয়া সম্ভব নয়।” তিনি যোগ করেন, “যতদিন না বিদেশি ফুটবলাররা দেশে ফিরতে পারছেন ততদিন, তাঁদের বাড়ি ভাড়া-সহ সবকিছু আমরা দেব।’’
ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত জানার পরেই ক্ষুব্ধ ফুটবলারেরা পুরো বিষয়টা জানান ভারতে ফুটবলারদের সংস্থাকে (এফপিএআই)। সংস্থার অন্যতম শীর্ষ কর্তা এখন জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা রেনেডি সিংহ। সংস্থার এক কর্তা সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, ‘‘কিছু দিন আগেই ফিফা ও এএফসির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম আমরা। সেই বৈঠকেই পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, জরুরি পরিস্থিতিতেও ক্লাব ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধানসূত্র খুঁজে বার করবে। চুক্তি বাতিল করে দেওয়া কখনওই সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আমরা চেষ্টা করছি ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার ও তাঁদের এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলার।’’
আরও পড়ুন: ‘আমার কেরিয়ারে ওঁদের বিরাট প্রভাব’, কুলদীপের মুখে পাক পেসার ও জাতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনারের নাম
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy