নজরে: ভারতের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ডেরেক। ফাইল চিত্র
আসন্ন অনূর্ধ্ব-২৩ এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ডেরেকে পেরেরার কোচিংয়েই ভারতীয় দলের খেলার সম্ভাবনা প্রবল। অঘটন না ঘটলে অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে শীঘ্রই তাঁর নাম ঘোষণা করবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।
বাহরিনের বিরুদ্ধে হেরে এএফসি এশিয়ান কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার রাতেই পদত্যাগ করেন স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। তাঁর বিকল্প হিসেবে বিদেশি কোচই পছন্দ ফেডারেশনের কর্তাদের। কিন্তু নতুন কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া মার্চ মাসের আগে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ, নতুন কোচের জন্য তাড়াহুড়ো করতে চান না ফেডারেশন কর্তারা। কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। আবেদনকারী কোচেদের বায়োডেটা খতিয়ে দেখে প্রাথমিক তালিকা তৈরি করবেন শ্যাম থাপার নেতৃত্বে গঠিত ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটি। তার পরে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত কোচের নাম ফেডারেশনের এগজিকিউটিভ কমিটির কাছে সুপারিশ করবেন শ্যাম থাপারা। এর পরে এগজিকিউটিভ কমিটি সবুজ সঙ্কেত দিলেই নিয়োগ করা হবে নতুন কোচ। ওয়াকিবহাল ফেডারেশন কর্তাদের মতে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে।
প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তা হলে অনূর্ধ্ব-২৩ এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ভারতীয় দলের কোচ কে হবেন। কেউ কেউ চেয়েছিলেন স্টিভনের সহকারী ও জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা সন্মুগম বেঙ্কটেশকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। কিন্তু এএফসি-র নিয়ম অনুযায়ী কোচের প্রো-লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। বেঙ্কটেশের তা নেই। তা হলে? এই মুহূর্তে ভারতে যাঁদের প্রো-লাইসেন্স রয়েছে, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্যাভিয়ো মেদেইরা, ডেরেক পেরেরা, সন্তোষ কাশ্যপ, খালিদ জামিল, নৈশাদ মুসা, বিনো জর্জ, থাংবই সিংথো, সাব্বির পাশা, স্ট্যানলি রোজারিয়ো।
ফেডারেশনের কর্তাদের একাংশ অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে স্যাভিয়োকে চাইছিলেন। কারণ, সিনিয়র ও অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় দলে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। কিন্তু এই মুহূর্তে স্যাভিয়ো ফেডারেশনের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। ফলে তাঁর পক্ষে কোচিং করানো কঠিন। তা ছাড়া বব হাউটনের প্রাক্তন সহকারী কোচ স্বাধীন দায়িত্ব পাওয়ার পরে ২০১১ সালে ভারতকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতিয়েছিলেন। কিন্তু পরের বছর এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে মুখ থুবড়ে পড়ে ভারতীয় দল। টানা তিন ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় ভারত। এর পরেই কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। মোহনবাগানের কোচ এখন খালিদ জামিল। ফলে তাঁকেও পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। একই সমস্যা স্ট্যানলি রোজারিয়োর ক্ষেত্রেও। তিনি আইজল এফসির কোচ। তা ছাড়া ফেডারেশনের একাংশের কর্তারা চাইছেন এমন কাউকে দায়িত্ব দিতে, ফুটবলারদের কাছে যাঁর গ্রহণযোগ্যতা আছে। সে ক্ষেত্রে অধিকাংশ ফেডারেশন কর্তার মতে ডেরেক-ই উপযুক্ত। সালগাওকর, চার্চিল ব্রাদার্স, পুণে এফসি-সহ একাধিক ক্লাবে কোচিং করানো ডেরেকের সঙ্গে ফুটবলারদের সম্পর্কও ভাল। তাই কোচের দলে অনেকটাই এগিয়ে তিনি।
কিন্তু ডেরেক এই মুহূর্তে আইএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি এফসি গোয়ার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। তার পক্ষে কি জাতীয় দলের অন্তর্বর্তী কোচ হওয়া সম্ভব? ফেডারেশনের এক কর্তাও স্বীকার করে নিলেন, জাতীয় দলের অন্তর্বর্তী কোচ হওয়ার দৌড়ে ডেরেক অন্যদের চেয়ে এগিয়ে। তিনি বললেন, ‘‘যদি ডেরেক-কে নির্বাচিত করা হয়, মনে হয় না ভারতীয় ফুটবলের স্বার্থে এফসি গোয়া কোনও আপত্তি জানাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy