দুবাইয়ের গরমে টানা দু'দিন একদিনের ম্যাচ খেলা সম্ভব নয়, বলেছেন সহবাগ। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
এশিয়া কাপের সূচি নিয়ে ক্ষুব্ধ ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯ সেপ্টেম্বর ম্যাচের আগের দিন, ১৮ তারিখও ম্যাচ রয়েছে ভারতের। আর এখানেই উঠছে আপত্তি। প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সহবাগ তো এশিয়া কাপ প্রয়োজনে বয়কট করার দাবিও তুলেছেন।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত এশিয়া কাপে অভিযান শুরু করবে ১৮ সেপ্টেম্বর। যোগ্যতা অর্জনকারী কোনও দলের বিরুদ্ধে খেলবেন বিরাট কোহালিরা। পরের দিনই খেলতে হবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। বোর্ড কর্তারা এই সূচিকে পালটানোর দাবি তুলেছেন। পাকিস্তান ১৬ সেপ্টেম্বর যোগ্যতা অর্জনকারী দলের বিরুদ্ধে খেলার পর দুই দিন সময় পেয়ে যাচ্ছে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে। যা সূচি নিয়ে ক্ষোভ আরও বাড়াচ্ছে।
বোর্ড কর্তারা এই সূচিকে ‘নির্বুদ্ধিতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সহবাগ একধাপ এগিয়ে বলেছেন, “সূচি দেখে আমি তো স্তম্ভিত। এখনকার দিনে বিশ্বের কোন দল টানা দু’দিন ম্যাচ খেলে? ইংল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি ম্যাচেরও আগে দুই দিনের বিরতি ছিল। আর এখানে দুবাইয়ের গরমে ওয়ানডে খেলতে হবে পরপর! সুচি ঠিক নেই, বলতেই হচ্ছে।”
এক বেসরকারি টিভিতে বীরু বলেছেন, “এশিয়া কাপে খেলারই বা এত দরকার কীসের? এশিয়া কাপ না খেললেই তো হয়। এর চেয়ে হোম সিরিজ বা অ্যাওয়ে সিরিজের জন্য দলকে প্রস্তুত করা বরং ভাল। টানা দুটো ম্যাচ খেলা সত্যিই মুশকিল।” তাঁর মতে, “একদিনের ম্যাচ খেলার ক্লান্তির পর অন্তত ৪৮ ঘণ্টা বিশ্রাম প্রয়োজন ক্রিকেটারের। সাড়ে তিন ঘণ্টা ফিল্ডিংয়ের পর কেউ যদি দুই ঘণ্টাও ব্যাট করে, তাহলে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সময় কাটে মাঠে। তাই বিশ্রামের সময় দরকার।”
একশোর বেশি টেস্ট ও আড়াইশোর বেশি একদিনের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সহবাগের মতে, এশিয়া কাপের সূচি পাকিস্তানকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। তিনি বলেছেন, “সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ে মারাত্মক গরম থাকে। এর ফলে ক্রিকেটারদের ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে বেশি সময় লাগবে। ভারতীয় ক্রিকেটাররা ক্লান্ত থাকবে। অন্যদিকে, পাক ক্রিকেটাররা থাকবে তরতাজা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ মানেই আবেগ জড়িয়ে থাকবে। তাই এই ম্যাচে সবাই ভারতের জয় চাই আমরা। ম্যাচ হারলে তাই সমস্যা। কিন্তু, ক্লান্ত ভারতীয়দের তুলনায় পাকিস্তানই এগিয়ে থাকবে।”
আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রামে প্রত্যেক পোস্টের জন্য কোহালি কত পান জানেন?
আরও পড়ুন: ম্যাজিক ফিগার থেকে সামান্য দূরে পিটিআই, দৌড়ে এগিয়ে ইমরানই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy