দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে বল-বিকৃতির অভিযোগে নির্বাসিত হয়েছেন তিন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। কী ভাবে মাঠের মধ্যে এ রকম ঘটনা দলের সবাইকে এড়িয়ে ঘটে গেল, সেটাই বিস্ময়ের কারণ প্রাক্তন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডারের। তিনি অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফ।
গত সপ্তাহেই নিজেদের দোষ স্বীকার করেন বল-বিকৃতি কাণ্ডে অভিযুক্ত তিন ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ীয় ক্রিকেট বোর্ডের দেওয়া শাস্তির বিরুদ্ধে কোনও রকম আবেদনও করেননি স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট। ফ্লিন্টফের মতে, স্মিথ-দের পাশাপাশি সমান ভাবে দোষী মিচেল স্টার্ক-সহ দলের প্রত্যেকে। কী ভাবে দলের বোলার এবং উপস্থিত ফিল্ডাররা বল-বিকৃতির ব্যাপারে ওয়াকিবহাল নন, সেটাই তাঁর প্রশ্ন।
ফ্লিন্টফ বলছেন, ‘‘একটা ব্যাপার আমার মেনে নিতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। কী ভাবে এত বড় ঘটনা দলের প্রত্যেককে এড়িয়ে ঘটল?’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘আমি ভুলও হতে পারি। কিন্তু ম্যাচ চলাকালীন বলের কোন দিক চকচকে রাখব সে বিষয়ে দলের প্রত্যেকে আলোচনা করতাম। সাধারণত এই পদ্ধতিতেই কাজ করে প্রত্যেকটি দল।’’
ফ্লিন্টফের মতে, এ বিষয়ে মিচেল স্টার্ক ও বাকি পেসারদের সহমত অবশ্যই ছিল। বল সুইং করানোর জন্যই তো এত কাণ্ড! ফ্লিন্টফ বলছেন, ‘‘বিকৃত বল দিয়ে স্টার্ক দু’দিকেই সুইং করাচ্ছিল, আর নিজেকে হয়তো ‘ওয়াসিম আক্রম’ ভাবছিল। আমাকে অন্তত এটা বোঝানো যাবে না যে দলের পেসাররা এ বিষয়ে কিছু জানত না।’’
ফ্লিন্টফের বক্তব্যে আরও একটা ব্যাপার তিনি স্পষ্ট বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, গোটা দলের দায় স্মিথ নিজের কাঁধে নিয়েছে। একই সঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া নির্বাসনের পক্ষে বিশেষজ্ঞদের মতামতেও ক্ষুব্ধ ‘ফ্রেডি’। বলে দিলেন, ‘‘আমার মনে হয়, যারা দোষ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে লোকজন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দেওয়ার আগে ভুললে চলবে না তারা মাঠে কী করত। স্মিথের কান্না দেখেই আমি টুইট করেছিলাম, আপনারা এ বার নিশ্চই খুব খুশি? এটাই তো চেয়েছিলেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy