মাঠে ঢুকে পড়া মহিলা দর্শককে বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। —রয়টার্স
সত্যিই যেন অঘটনের অন্ত নেই রাশিয়া বিশ্বকাপে। ফলাফল নিয়ে তো আছেই, ম্যাচ পরিচালনাতেও অঘটনের সাক্ষী থাকল মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে। ম্যাচ চলাকালীন মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়লেন চার দর্শক। তাঁদের মধ্যে পুরুষ, মহিলা উভয়েই ছিলেন। যদিও তাঁদের পিছনে পিছনেই নিরাপত্তারক্ষীরা ঢুকে তাঁদের বাইরে বের করে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে বিতর্ক যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের পারদ সবে চড়তে শুরু করেছে। ৫২ মিনিটে খেলা চলছে। দুই-এক গোলে এগিয়ে ফ্রান্স। হঠাৎই ছন্দপতন। দৌড়ে মাঠে ঢুকে পড়লেন এক তরুণী এবং এক তরুণ, সঙ্গে আরও দু’জন। তাঁদের পিছনে ছুটছেন কয়েক জন নিরাপত্তারক্ষী। তরুণী ছুটছেন এমবাপের দিকে। আর তরুণ ছুটছেন ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডারের ডেজান লোভ্রেনের দিকে। নিরাপত্তারক্ষীরাও দু’ভাগ।
আর গোটা এই পরিস্থিতিতে হতচকিত দু’দলের খেলোয়াড়রাই। রেফারিও ইঙ্গিত করলেন খেলা থামানোর। ম্যাচের টানটান উত্তেজনা থেমে গেল। অবশেষে ওই তরুণী ‘আততায়ী’ এমবাপের কাছে গিয়ে হাত মিলিয়েও ফেললেন। তারপরই মাঠে শুয়ে পড়লেন। নিরাপত্তারক্ষীরাও পিছন পিছন ছুটছিলেন। তাঁরা গিয়ে জাপটে ধরলেন সাদা শার্ট আর কালো ট্রাউজার পরা ওই তরুণীকে। তারপর টেনে-হিঁচড়ে পাঁজাকোলা করে তিন-চার জন মিলে বের করে আনলেন মাঠ থেকে।
মাঠে ঢুকে পড়া পুরুষ দর্শককে বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। —রয়টার্স
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের গ্যালারিতে ঢেউ তুললেন যে সুন্দরীরা
অন্যদিকে ওই পুরুষ ‘অনুপ্রবেশকারী’ ছুটে চলে গিয়েছেন লোভ্রেনের কাছে। গিয়েই অতর্কিত আক্রমণ। আচমকা আক্রমণে তিনিও কিংকর্তব্যবিমূঢ়। প্রতিহত চেষ্টা করতেই শুরু হল হাতাহাতি। শেষে নিরাপত্তারক্ষীরা গিয়ে তাঁকেও ধরে ফেললেন। তরুণীর মতোই একইভাবে পাঁজাকোলা করে বের করে আনলেন মাঠ থেকে। চার জনকেই মাঠ থেকে বার করে আনেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
মাঠে ঢুকে পড়ার সেই মুহূর্ত। —রয়টার্স
ফুটবলের মাঠে এভাবে দর্শকদের ঢুকে পড়ার ঘটনার নজির নেই এমন নয়। তবে বিশ্বকাপের আসরে এই ধরনের ঘটনার কথা মনে করতে পারছেন না কেউই। আর ফাইনালে তো নয়ই। তাই মস্কোর আয়োজন নিয়ে এতদিন পর্যন্ত বিরাট কোনও অভিযোগ না উঠলেও শেষ মুহূর্তে কার্যত মুখ পুড়ল রাশিয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy