কয়েক দিন আগেই কেরিয়ারের প্রথম সুপার সিরিজ জিতেছিলেন সতীর্থ কিদাম্বি শ্রীকান্তকে হারিয়ে। এ বার তাইল্যান্ডে কেরিয়ারের প্রথম গ্রঁ প্রি খেতাবও মুঠোয় পুরলেন তিনি— বি সাই প্রণীত।
সেমিফাইনালে সাইনা নেহওয়াল ছিটকে যাওয়ায় ভারতীয় সমর্থকদের যাবতীয় আশা টিকে ছিল প্রণীতের উপরে। ভক্তদের তিনি হতাশ করেননি। টুর্নামেন্টের চতুর্থ বাছাই ইন্দোনেশিয়ার জোনাতান ক্রিস্টিকে তিনি ১৭-২১, ২১-১৮, ২১-১৯ হারান।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ২৪ নম্বরে থাকা ভারতীয় তারকার লড়াই অবশ্য সহজ হয়নি। প্রথম গেমের গোড়া থেকেই এগিয়ে ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার খেলোয়াড়। যাঁর বিশ্বর্যাঙ্কিং ২৭। এক ঘণ্টা এগারো মিনিটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত খেতাব নিশ্চত করে প্রণীত বলেন, ‘‘শুধু র্যালিগুলোর উপর ফোকাস করে গিয়েছি। খুব কঠিন ম্যাচ ছিল। র্যালিগুলো দীর্ঘক্ষণ চলছিল। তাড়হুড়ো করিনি। ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরেছি। শেষ পর্যন্ত যে সেই পরিকল্পনা প্রয়োগ করে ম্যাচটা জিততে পেরেছি তাতেই খুশি।’’
বে আর্ন্তজাতিক ব্যাডমিন্টনে ছ’সপ্তাহের মধ্যে দুটো গুরুত্বপূর্ণ ট্রফি জিতলেও আত্মতুষ্ট হয়ে পড়ছেন না প্রণীত। বরং তাঁর লক্ষ্য আরও ধারাবাহিক হয়ে ওঠা। ‘‘জানি ভাল খেলছি এখন। কিন্তু এটা নিয়েই পড়ে থাকলে চলবে না। আমাকে আরও ধারাবাহিত হতে হবে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে আরও ট্রফি জিততে হবে।’’
আরও পড়ুন: সাত মাস পর প্রত্যাবর্তনেই বড় রান রোহিতের
পুল্লেলা গোপীচন্দ অ্যাকাডেমির ছাত্রের দুরন্ত প্রতিভা থাকলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেন না আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে এটা বলাবলি হতো। দৃশ্যটা পাল্টে যায় গত বছর জুলাইয়ে প্রণীতের কানাডা ওপেনে জেতার পরে। এপ্রিলে সিঙ্গাপুর ওপেন খেতাব জেতার আগে জানুয়ারিতে সৈয়দ মোদী গ্রঁ প্রি-তেও ফাইনালে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু চূড়ান্ত যুদ্ধে তিনি হেরে যান সমীর বর্মার কাছে। এ দিন অবশ্য শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে রেখে জয় ছিনিয়ে নেন তিনি। যে সাফল্যের জন্য তিনি কৃতিত্ব দেন কোচ গোপীচন্দ, তাঁর পরিবার এবং যাঁরা তাঁকে অ্যাকাডেমিতে সাহায্য করেছেন তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy