প্রাপ্তি: সেরা প্রতিভাবানের ট্রফি হাতে শুভমন গিল। টুইটার
তাঁর কানে এখনও বাজে সচিন তেন্ডুলকরের সেই পরামর্শ। প্রিয় নায়ক, কিংবদন্তি ক্রিকেটারের পা ছুঁতে গিয়েছিলেন শুভমন গিল। সেই সময়ে সচিন তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘শুধুমাত্র মা-বাবাকে প্রণাম করো। আরও কারও পায়ে হাত দিতে হবে না।’’
এ বারের আইপিএলে সেরা প্রতিভাবান ক্রিকেটারের সম্মান পেয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ১৯ বছরের ব্যাটসম্যান। শুভমন বলেছেন, ‘‘উনি আমার প্রেরণা। তাই প্রণাম করতে গিয়েছিলাম। সচিন বললেন, বাবা-মা ছাড়া কারও পায়ে হাত দিও না।’’ তাঁর ব্যাটিং দেখে সচিন থেকে ব্রায়ান লারার মতো ব্যক্তিত্বরা মুগ্ধ। তবে তা নিয়ে খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখাতে রাজি নন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম তারকা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি এগুলো নিয়ে খুব একটা চিন্তাভাবনা করি না। যত বার মাঠে নামি, আগে মাথা থেকে এই ব্যাপারগুলোকে বার করে দিই। সেই মুহূর্তে লক্ষ্য থাকে, আমার প্রতিপক্ষ হিসেবে কোন ক্রিকেটার রয়েছে এবং যে কোনও পরিস্থিতিতে আমাকে তার বিরুদ্ধে বড় রান করতেই হবে।’’
১৪ ম্যাচে ২৯৬ রান। সর্বোচ্চ রান ৭৬। কেকেআর তারকা জানাচ্ছেন, এ বারের আইপিএলের মিশ্র অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে আরও তীক্ষ্ণ এবং নিখুঁত করে তুলতে চান। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গিল বলেছেন, ‘‘একটা মিশ্র অভিজ্ঞতা নিয়েই এ বারের আইপিএল শেষ করেছি। প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পরে কয়েকটা ম্যাচে আমি ওপেন করেছি। পরে আমার ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন হয়েছে। শেষের দিকে আবার শুরুতে খেলার সুযোগ পেয়েছি। আমি সেই সমস্ত সুযোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’’
আর সেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেফিরে খেলার সুবাদে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন কেকেআর তারকা, সেটাও তাঁর কাছে এক সেরা প্রাপ্তি। শুভমনের কথায়, ‘‘একটা ব্যাপার অনুভব করেছি যে, যখনও আমি অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করেছি তাতে খুব ভাল ফল পাইনি। কিন্তু যখনই নিজের স্বাভাবিক ক্রিকেটে ফিরে গিয়ে খেলাটাকে উপভোগ করেছি, তখনই কিন্তু উপকার হয়েছে। অনেক সহজ ভাবে রান করতে পেরেছি। ভাল স্ট্রোক নিতে পেরেছি। সেটা আমার মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন এনে দিয়েছে।’’
ভারতের সিনিয়র দলের হয়ে চলতি বছরে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ম্যাচে অভিষেকও করে ফেলেছেন। যদিও খুব সফল হননি। তবে তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করতে চান না শুভমন। এই মুহূর্তে তাঁর লক্ষ্য ভারত ‘এ’ দলের হয়ে ভাল কিছু ইনিংস খেলে বিরাট কোহালিদের দলে জায়গা পাকা করে নেওয়া। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত ‘এ’ দলের সামনে বেশ কয়েকটা সিরিজ রয়েছে। সেখানে বড় রান করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। সেই সুযোগ ঠিক মতো কাজে লাগাতে পারলে ভারতীয় দলে ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy