রঞ্জিতে ব্যর্থ করুণ নায়ার।
এক সপ্তাহও হয়নি চেন্নাই টেস্টে রানের পাহাড় গড়েছিলেন তাঁরা। চার-পাঁচ দিনের মাথায় রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে সবুজ উইকেটে নেমে ফ্লপ। তাঁরা— করুণ নায়ার, কে এল রাহুল!
ইংল্যান্ডকে ৪-০ সিরিজ হারিয়ে বিরাট কোহালি বলেছিলেন, ভারতের টেস্ট দল এখন বিদেশে জেতার জন্যও তৈরি। কিন্তু সবুজ উইকেটে, বা গ্রিন টপে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সত্যিই তৈরি কি না, বিশাখাপত্তনমে রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালে এ দিন রাহুল, করুণদের পারফরম্যান্সে সেই প্রশ্নই উঠে গেল।
তামিলনাড়ুর অনভিজ্ঞ পেস জুটির বিরুদ্ধে কর্নাটক ৮৮ রানে অল আউট। চেন্নাই টেস্টে ১৯৯ করা ভারতীয় ওপেনার রাহুল মাত্র চার। জীবনের তৃতীয় টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করা করুণ নায়ারের স্কোর— ১৪।
তামিল পেসার অশ্বিন ক্রিস্ট শুক্রবার বিশাখাপত্তনমে ৩১ রানে নিলেন ছ’উইকেট। তাঁর সঙ্গী হলেন বাঁ হাতি পেসার থঙ্গরাসু নটরাজন (৩-১৮)। ম্যাচের প্রথম সকালেই এই দু’জন সবুজ উইকেটে রীতিমতো আগুন ঝরান ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টের মাঠে। অভিমন্যু মিঠুন (৬), মণীশ পাণ্ডে (২৮), স্টুয়ার্ট বিনিরাও (০) ফ্লপ। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে যদিও শান্তিতে নেই তামিলনাড়ু। প্রথম দিনের শেষে ১১১ তুলে ৩৩ রানের লিড নিলেও চারটে উইকেট খুইয়েছে তারা।
কিন্তু এ সব ছাপিয়ে যে প্রশ্নটা উঠছে তা হল, ভারতীয় টেস্ট ব্যাটসম্যানরা কি গ্রিন টপে খেলার মতো অবস্থায় নেই? না কি এই ব্যর্থতার কারণ টেস্ট সিরিজের ক্লান্তি? অশ্বিন ও নটরাজনদেরই যদি সামলাতে না পারেন রাহুল-করুণরা, তা হলে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটে তাদের পেসারদের সামনে কী হবে?
প্রাক্তন ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটার কিরণ মোরে বলছেন, ‘‘নিয়মিত গ্রিন টপে খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলে হঠাৎ করে এই ধরনের পিচে অসুবিধা হবেই। ক্লান্তির যুক্তিটা মানতে পারছি না। চার দিন বিশ্রাম এই স্তরের ক্রিকেটে যথেষ্ট।’’
ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ অংশুমান গায়কোয়াড় অন্য সমস্যার কথা বললেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘টেস্ট শেষ হওয়ার তিন দিন পরেই আর একটা পাঁচ দিনের ম্যাচ। তার উপর একেবারে উল্টো রকম উইকেটে। এর প্রভাব তো পড়বেই। ওরা বিদেশ সফরের আগে গ্রিনটপে খেলার ভাল প্রস্তুতি নিয়েই যাবে নিশ্চয়ই। শুধু একটা ম্যাচ দেখে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বোধহয়।’’
রঞ্জির অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মুম্বই ২৫০-৫। রায়পুরে তারা ৩৪-৪ হয়ে যাওয়ার পর আদিত্য তারে (৭৩) ও সিদ্ধেশ লাড (১০১ ন.আ.) ১০৫ তোলেন। লাডের সঙ্গে দিনের শেষে অভিষেক নায়ার ৪৬ রানে অপরাজিত।
রঞ্জি নকআউটে পূর্বাঞ্চলের দু’টি দল পৌঁছেছে, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড। জয়পুরে ওড়িশা পার্থিব পটেলের গুজরাতকে ব্যাট করতে পাঠালে তারা ১৯৭-৬ তুলেছে। এই ম্যাচের উইকেট নিয়ে অভিযোগ করেন পার্থিব পটেল। পিচের কিছু কিছু জায়গা ব্যাটসম্যানের পক্ষে বিপজ্জনক বলে অভিযোগ করেন তিনি। ফলে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধও ছিল। পার্থিব নিজেই হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বলে হাতে চোট পান। তবে চিরাগ গাঁধী ৬২ রানে অপরাজিত আছেন। বডোদরায় ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হরিয়ানা ২৫১-৭। পাঁচ উইকেট শাহবাজ নাদিমের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy