সফল: সেঞ্চুরির পরে হাফিজ। রবিবার। গেটি ইমেজেস
শেষ সেশনে তিন উইকেট গেলেও দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ভাল জায়গায় পাকিস্তান। তার প্রধান কৃতিত্ব ২৬ মাস পরে টেস্ট দলে ফিরে মহম্মদ হাফিজের দুরন্ত সেঞ্চুরি। টেস্টে নিজের ১০ নম্বর এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম শতকের (১২৬) সাহায্যে দিনের শেষে পাকিস্তান দাঁড়িয়ে ২৫৫-৩।
এশিয়া কাপেও পাকিস্তান দলে ছিলেন না হাফিজ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রাথমিক দলেও তাঁর নাম রাখা হয়নি। শেষ মুহূর্তে তিনি দলে আসেন ঘরোয়া ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি করার পরে। এই শেষ মুহূর্তের চাল যে এতটা কার্যকরী হবে সেটা কি পাকিস্তানের নির্বাচকরাও ভেবেছিলেন? হাফিজ নিজেও এক সময় ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। ‘‘সেই সময় শোয়েব আখতার ও আমার স্ত্রী আমার সিদ্ধান্ত বদলাতে খুব সাহায্য করে’’, এ দিন খেলার পরে বলেন হাফিজ।
শুধু হাফিজই নন, ওপেনিংয়ে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন ইমাম উল হকও। মিচেল স্টার্ক, পিটার সিডল, নাথান লায়ন, জন হল্যান্ডদের সামলে দু’জনের জুটিতে ওঠে ২০৫। ইমাম করেন কেরিয়ারের সেরা ৭৬ রান। অবশ্য ৭৪ রানের মাথায় হাফিজ আউট হতে হতে বেঁচে যান। হল্যান্ডের বলে প্রায় ২০ গজ দৌড়ে আসা মিচেল মার্শ বাউন্ডারি লাইনে হাফিজের ক্যাচ ফসকান। কঠিন সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলে পাকিস্তানকে আরও চাপে ফেলে দিত অস্ট্রেলিয়া। ১৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে সেঞ্চুরির পরে হাফিজকে ফেরান পিটার সিডল। চায়ের বিরতির পরে নাথান লায়ন ফেরান ইমামকে। তিনি সাতটি চার এবং হল্যান্ডকে দুটি ছয় মারেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান প্রথম ইনিংস ২৫৫-৩ (মহম্মদ হাফিজ ১২৬, ইমাম উল হক ৭৬, পিটার সিডল ১৫-৭-২৩-১)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy