ক্ষুব্ধ: পোগবার নিশানায় মোরিনহো। ফাইল চিত্র
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের আকাশ থেকে জোসে মোরিনহো নামক মেঘ সরে যেতেই তিনি আমূল বদলে গিয়েছেন।
মাঠে ফিরে এসেছে পরিচিত আগ্রাসী মেজাজ। নিয়মিত গোল করছেন। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সমর্থকদের আশ্বস্ত করছেন, ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেল দল আবার ঘুরে দাঁড়াবে। বছর শেষে পল পোগবাকে নিয়েই উত্তাল ‘রেড ডেভিলস’ ভক্তরা।
রবিবার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ৪-১ গোলে হারিয়েছে বোর্নমুথকে। জোড়া গোল ফরাসি তারকার। ২০ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে ওলে গানার সোলসারের দল। ম্যাচের পর পোগবা বলেছেন, ‘‘মরসুমের শুরু থেকে যে ফুটবল খেলার প্রয়োজন ছিল, সেটাই এখন আমরা খেলছি।’’ জানিয়ে দিচ্ছেন, ফুটবলাররা এখন মাঠে অনেক বেশি স্বাধীনভাবে খেলছেন বলেই দল ফিরেছে স্বমেজাজে। তবে কি জোসে মোরিনহোর সময়ে সেই ‘স্বাধীনতা’র অভাবই ফুটবলারদের ছন্দ ব্যাহত করেছে? প্রাক্তন ম্যানেজারের নাম না করেই পোগবা বলেছেন, ‘‘প্রাক্তন ম্যানেজারের তত্ত্বাবধানেও আমরা বেশ কিছু ম্যাচ জিতেছি। কিন্তু সোলসার আসার পর খেলার স্টাইলে একটা বড় পরিবর্তন এসেছে।’’ ঘটনা হল, বরখাস্ত ম্যানেজার মোরিনহোকে নিয়ে সোমবার মুখ খুলেছেন প্রাক্তন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কাকা। তিনি বলেছেন, ‘‘বের্নাবাউয়ে তিন বছর আমি মোরিনহোকে খুশি করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তিনি বিষয়টাকে আমলই দিতে চাননি। একটা সময় পরিস্থিতি আমারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।’’
কী পরিবর্তন এনেছেন নতুন গুরু? পোগবার বিশ্লেষণ, ‘‘আগের চেয়ে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক খেলছে দল। ম্যাচে অনেক বেশি সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এই ফুটবলই তো আমরা আগে খেলতে চেয়েছি। সোলসার আমাদের আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার পরামর্শ দিচ্ছেন। আমরা তাই করছি। দারুণ একটা জয় দিয়ে বছর শেষ করার বিশেষ একটা তৃপ্তি রয়েছে। অবশ্য লড়াই এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। অনেকটা পথ অতিক্রম করতে হবে। তাই ছন্দ ধরে রাখতেই হবে।’’
বছর শেষে নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও মুখ খুলেছেন পোগবা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি প্রত্যেক ম্যাচেই নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে এই ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হয় যে, আমি ম্যান ইউ-র মতো একটা দলকে প্রতিনিধিত্ব করি। ফলে দলের স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ফের গোল পাচ্ছি। তাই নিজের খেলাকে আরও উন্নত করার বিশেষ একটা তাগিদ অনুভব করছি। আত্মতুষ্টিকে প্রশ্রয় দিতে চাই না।’’ ম্যানেজার সোলসার তাঁর দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘সকলকেই খোলা মনে খেলতে বলেছি। তা হলেই সেরা ফুটবল বেরিয়ে আসবে। পোগবা সেই বার্তার অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে পেরেছে। ওর জন্য গর্বিত।’’
রবিবারের ম্যাচেই হাতে বিশেষ একটি রিস্ট ব্যান্ড পরে খেলতে নেমেছিলেন ম্যান ইউ তারকা। যেখানে লেখা ছিল ‘নো’। বক্সিং ডে’তে সেরি আ-তে নাপোলির ক্যালিডো কুলিব্যালি বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের শিকার হয়েছিলেন। তারই প্রতিবাদ জানাতে পোগবা ওই বিশেষ রিস্ট ব্যান্ড পরেছিলেন। ইনস্টাগ্রামে সেই প্রসঙ্গে পোগবা লিখেছেন, ‘‘কুলিব্যালির প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। ফুটবলে বর্ণবৈষম্যের কোনও স্থান নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy