নজরে: সুস্থ বললেও কবে মাঠে নামবেন সনি অনিশ্চিত। ফাইল চিত্র
নিজেকে একশো শতাংশ সুস্থ জানিয়ে সনি নর্দে বলে দিলেন, ‘‘আরও কয়েক দিন আগে এলে ম্যাচ ফিট হয়ে যেতে পারতাম। কয়েকটা অনুশীলন ম্যাচ খেললে ভাল হত। তবে আমি সুস্থ। সব রকম পরীক্ষা দিয়ে পাশ করব আশা রাখি। অনেকদিন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলিনি। তবে পরিশ্রম করে সব পুষিয়ে দেব। আশা করছি দ্বিতীয় বা তৃতীয় ম্যাচ থেকেই মাঠে নামতে পারব।’’
সনি নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ বলে দাবি করলেও তাঁর কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী কবে তাঁকে ম্যাচে নামাতে পারবেন, তা নিয়ে নিজেই সংশয়ে রয়েছেন। সবুজ-মেরুন কোচ এ দিন বললেন, ‘‘গোকুলম ম্যাচে তো প্রশ্নই নেই, পুরো ফিট না হলে ওকে নামানোর ঝুঁকি নেব না। যে ফুটবলার নয় মাস রি-হ্যাবে আছে, তাঁকে ম্যাচ ফিট না করে নামালে ওর বিপদ হতে পারে। সনির ফুটবল জীবন তো শেষ করে দিতে পারি না।’’
সনি নিয়মিত অনুশীলন করছেন। এবং তাঁকে মাঠের বাইরে রেখে দল নামছে। এরকম দৃশ্য মোহনবাগান সমর্থকরা কত দিন মানবেন, তা নিয়ে অবশ্য সংশয় আছে। এই চাপ কত দিন কলকাতা লিগ জয়ী কোচ সামলাতে পারবেন সেটাও বড় প্রশ্ন। কারণ রবিবার গভীর রাতে যখন হাইতি মিডিও কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন, তখন যা হল তা এক কথায় উদ্দামতা। দুর্গাপুজোর বিসর্জনের আবহে প্রায় হাজার দুয়েক সমর্থক রাত আড়াইটেয় এক জন চোট সারিয়ে ফেরা ফুটবলারের আবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন, কলকাতা ফুটবলে এ রকম দৃশ্য শেষ কবে দেখা গিয়েছে মনে করা যাচ্ছে না। প্রাক্তন সহ সচিব, অর্থ সচিব, ফুটবল সচিবের সঙ্গে সমর্থকরা হাজির হয়েছিলেন পতাকা ফুল, মালা, ব্যান্ড নিয়ে।
মিয়ামিতে সদ্যোজাত কন্যা হান্নি ও স্ত্রী-কে রেখে কলকাতার উদ্দেশে তিনি রওনা দিয়েছিলেন শনিবার দুপুরে। দীর্ঘ বিমানযাত্রায় ক্লান্ত ছিলেন। বাইপাসের ধারের এক হোটেলে সোমবার প্রায় সারা দিন ঘুমিয়েছেন। সন্ধ্যায় মেডিক্যাল পরীক্ষা দিতে যান এক হাসপাতালে। চারটি এম আর আই হয় তাঁর। আজ মঙ্গলবার সকালে মাঠে নামছেন হাইতি মিডিও। মোহনবাগান কোচ বললেন, ‘‘সনির শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা নেব। তারপর বল দেব।’’ আই লিগ শুরুর চার দিন আগে কর্তারা সনিকে শহরে নিয়ে এলেও কোচ যে উৎকন্ঠিত, সেটা বোঝা গিয়েছিল রাতেই। উৎকণ্ঠা নিয়ে রাতে জেগে ছিলেন তাঁর কোচ। হোটেলে পৌছনোর পর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন শঙ্করলাল। তাঁকেও সনি বলেন, ‘‘আমি পুরো সুস্থ। মাঠে নেমে সেটা বুঝিয়ে দেব।’’
সোমবার দুপুরে অ্যাটাকিং মি়ডিও ওমর এলহুসেইনিকে সই করাল মোহনবাগান। মিশরের ওই ফুটবলার কখনও সনিকে দেখেননি। তা সত্ত্বেও সনিকে নিয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত। বলে দিয়েছেন, ‘‘ও তো শুনেছি খুব ভাল ফুটবলার। আমাদের শক্তি বাড়ল।’’ অনুশীলনে মহম্মদ সালাহর দেশের ওমরকে এ দিন খেলিয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ। কথা বলে মনে হল, খেলা দেখে তিনি সন্তুষ্ট। আই লিগের প্রথম ম্যাচে তাঁকে নিয়েও যাচ্ছেন কোঝিকোড়ে।
এ বছর জানুয়ারিতে আই লিগের মাঝপথে হাঁটুর চোটে বিধ্বস্ত সনি দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। তাঁকে ক্লাব লনে কার্যত বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। কেঁদে ভাসিয়েছিলেন প্রচুর সদস্য-সমর্থক। সেই সনিই আবার ফিরবেন এবং এ ভাবে—তা মনে হয় কল্পনা করেননি তিনি নিজেও। তাই কিছুটা আবেগের ঢঙেই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘মোহনবাগান সমর্থকরা আমাকে ভালবাসে। এতদিন পর এরকম ভালবাসা দেখে আমি আপ্লুত। ওরা সব সময়ই আমার অনুপ্রেরণা।’’ সনি কলকাতার খবর নিয়মিত রাখেন এবং জানেন ইস্টবঙ্গলের সব খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy