মিচেল মার্শ আর শন মার্শ।
অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্টে সেঞ্চুরিটা আর একটু হলেই ফস্কাচ্ছিলেন মিচেল মার্শ।
শট মেরেই সেঞ্চুরি করার জন্য রান নিতে দৌড়েছিলেন মিচ। উল্টোদিকে ব্যাট করছিলেন ইতিমধ্যে দাদা শন। ইতিমধ্যে তিনি সেঞ্চুরি পুরো করে ফেলেছিলেন। উত্তেজনার বশে রান পুরো করার আগেই দাদার সঙ্গে উৎসবে মাততে যান মিচ।
ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে প্রসঙ্গটা উঠতেই হেসে ফেলেন দু’জন। শন বলেন, ‘‘ভুলটা আমারই। আবেগের বশে আমিই জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিলাম ওকে। তারপরে মিচ বলে ওঠে, আগে তুমি রানটা পুরো করো। ভাগ্যক্রমে শেষ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। আমি ওর জন্য খুব খুশি।’’ মিচ যা শুনে হাসতে হাসতে বলেন, ‘‘আমি তো ‘হাই ফাইভ’ করতে গিয়েছিলাম। শন জড়িয়ে ধরল। আমরা তখন ক্রিজের মাঝামাঝি। সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের জন্য আমরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম।’’ গ্রেগ এবং ইয়ান চ্যাপেল, স্টিভ ও মার্কও-র পরে এই নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এক ইনিংসে দুই ভাইয়ের সেঞ্চুরি করার তৃতীয় নজির গড়লেন শন এবং মিচ। সব মিলিয়ে টেস্টে অষ্টম নজির।
শেষ পর্যন্ত মিচের ১০১ এবং শন মার্শের ১৫৬ রানের সুবাদে অস্ট্রেলিয়া ৬৪৯-৭ তোলার পরে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। জবাবে প্রায় দু’দিন ধরে ফিল্ডিং করে ক্লান্ত ইংল্যান্ড দল দ্বিতীয় ইনিংসে দিনের শেষে ৯৩-৪। ওপেনার মার্ক স্টোনম্যান কোনও রান না করেই মিচেল মার্শের বলে এলবিডব্লিউ হন। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। পরের বলেই অ্যালেস্টেয়ার কুকের ক্যাচ স্লিপে ফস্কান মার্শ। তিনি তখন পাঁচ রানে ব্যাট করছিলেন। তবে কুক সেই সুযোগ নিতে পারেননি। ১০ রানের মাথায় কুককে বোল্ড করে দেন নাথান লায়ন। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ১২ হাজার রান পুরো করা কুক শেষ পর্যন্ত সিরিজ শেষ করলেন মোট ৩৭৬ রান করে। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় চিন্তা এখন অধিনায়ক জো রুটের আঙুলে চোট। শেষ দিন ০-৪ সিরিজ হারের থেকে ইংল্যান্ডকে বাঁচাতে ভরসা তিনিই। অপরাজিত ৪২ রানে ব্যাট করছেন রুট। অন্য প্রান্তে আছেন জনি বেয়ারস্টো (অপরাজিত ১৭)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy