Advertisement
১১ মে ২০২৪

অতীতের নায়কই কাঁটা কর্নাটকের

লাঞ্চ বিরতির সময় ৫৮ রানে দু’উইকেট ছিল বিদর্ভের। যা দেখে মনে হয়েছিল তৃতীয় দিনেই হয়তো ইনিংস শেষ হয়ে যাবে বিদর্ভের।

লড়াই: বিদর্ভকে টানছেন সতীশ। মঙ্গলবার ইডেনে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

লড়াই: বিদর্ভকে টানছেন সতীশ। মঙ্গলবার ইডেনে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত
শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:৩৩
Share: Save:

রঞ্জি ট্রফির ২০১৩-১৪ মরসুমের ফাইনালে সেঞ্চুরি করে কর্নাটকের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁরই লড়াকু ব্যাটিং পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে কর্নাটকের। তিনি বিদর্ভের গণেশ সতীশ। প্রথম ইনিংসের ভরাডুবির পরে মঙ্গলবার তাঁর ইনিংসের সুবাদেই কিছুটা প্রত্যাবর্তন বিদর্ভের।

লাঞ্চ বিরতির সময় ৫৮ রানে দু’উইকেট ছিল বিদর্ভের। যা দেখে মনে হয়েছিল তৃতীয় দিনেই হয়তো ইনিংস শেষ হয়ে যাবে বিদর্ভের। দুই নির্ভরযোগ্য ওপেনার আউট হওয়ার পরে ওয়াসিম জাফরের উপরেই ভরসা ছিল দলের। শুরুটা ভাল করলেও ৩৩ রানে শ্রীনাথ অরবিন্দর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাঁকে। তখনই গণেশ সতীশের সঙ্গে ম্যাচের হাল ধরেন অপূর্ব ওয়াংখড়ে। উইকেট কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় হাত খুলে খেলতে শুরু করেন এই দুই ব্যটসম্যান। শ্রীনাথেরই অফস্টাম্পের বাইরের বলে স্ল্যাশ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে কভার অঞ্চলে তালুবন্দি হন ওয়াংখড়ে। কিন্তু দিনের শেষ দিকেও সাবলীল ব্যাটিং করে গেলেন শ্রীনাথের প্রাক্তন সতীর্থ সতীশ। দিনের শেষে ৭১ রানে অপরাজিত তিনি। ১৯ রানে অপরাজিত থেকে তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন অক্ষয় ওয়াডকর। চার উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রানে তৃতীয় দিন শেষ করল বিদর্ভ। বিপক্ষের থেকে ৭৯ রানে এগিয়ে ফজলরা। হাতে ছ’উইকেট।

দিনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর প্রাক্তন সতীর্থের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে শ্রীনাথ বলেন, ‘‘তৃতীয় দিনে উইকেটটি সত্যিই ব্যটিংয়ের জন্য সুবিধেজনক হয়ে গিয়েছে। তবে গণেশ ভাল ব্যট করেছে। মাঠের বাইরে ও আমার বন্ধু ঠিকই কিন্তু ভেতরে ও এখন আমার প্রতিপক্ষ।’’

মঙ্গলবার সকালের প্রথম ওভার থেকেই চেনা ছন্দে দেখা গেল উমেশ যাদবকে। তাই ২৯৪-৮ থেকে সাত রান যোগ করেই ফিরতে হয় করুণ নায়ার ও বিনয় কুমারকে। ব্যক্তিগত দেড়শো রানের গণ্ডি পেরিয়ে ১৫৩ রানে উমেশের বলে খোঁচা মেরে আউট হলেন করুণ। তৃতীয় দিনে ৩.৫ ওভার বল করে দু’রানে দু’উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন ভারতীয় টেস্ট দলের নির্ভরযোগ্য পেসার। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বিনয় কুমারের ইন-সুইং সামলাতে না পেরে এলবিডব্লিউ হন বিদর্ভ অধিনায়ক ফৈয়জ ফজল। যদিও আউটটি হওয়ায় তিনি আম্পায়ার ও দলের সতীর্থদের তাঁর ব্যাট দেখিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে বলটা তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে প্যাডে লেগেছে।

ম্যাচের তৃতীয় দিনে আলো কম থাকায় ৩২ ওভার নষ্ট হয় দু’দলের। এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিট দেরিতে শুরু হয় ম্যাচ। বিকেলেও সাড়ে তিনটের সময় শেষ হয়ে যায় দিনের খেলা। শ্রীনাথ অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, ‘‘আলো কম থাকায় সমস্যা নেই। এখনও হাতে দু’দিন রয়েছে। পরের দিন সকালে ওদের পঞ্চাশ রানের মধ্যে অল-আউট করাই লক্ষ্য।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE