Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

সুদীপ রান পাবেন, আশা লক্ষ্মণের

শেষ আট দিনের অনুশীলনে বাংলার সহ-অধিনায়ককে বহু মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন লক্ষ্মণ। সময় দিয়েছেন মনোজ তিওয়ারিকেও। বাংলার ম্যাচ জেতার নেপথ্যে মনোজের অবদান অনস্বীকার্য। লক্ষ্মণ নিজেও তা মানছেন।

\আন্তরিক: ঈশ্বরনকে উৎসাহ দিলেন লক্ষ্মণ। পাশে অরুণ লাল। নিজস্ব চিত্র

\আন্তরিক: ঈশ্বরনকে উৎসাহ দিলেন লক্ষ্মণ। পাশে অরুণ লাল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৮
Share: Save:

রঞ্জি ট্রফির গত মরসুম থেকেই রানের খরা পিছু ছাড়ছে না সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের। যাঁর টেকনিকে মুগ্ধ ছিলেন স্বয়ং রাহুল দ্রাবিড়, সেই সুদীপ কোথায় হারিয়ে যাচ্ছেন? শেষ রঞ্জি ট্রফির পরে এ বারের বিজয় হজারে ট্রফিতে একটিও হাফসেঞ্চুরি আসেনি তাঁর ব্যাট থেকে। কিন্তু রানে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন বাংলার সহ-অধিনায়ক। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি খেলতে বাংলা দল যখন মুম্বইয়ে, তখন প্রত্যেক দিন সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে একা অনুশীলন করেছেন সুদীপ। রানে ফেরার তাগিদ, তাঁর চেষ্টায় ফাঁকি দিতে দেয়নি।

সুদীপের এই পরিশ্রম ও রান পাওয়ার খিদে দেখে মুগ্ধ বাংলার ব্যাটিং পরামর্শদাতা ভিভিএস লক্ষ্মণ। বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে লক্ষ্মণ বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অথবা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অনেক দিন খেলার পরে একটি সময় আসে, যখন চেষ্টা করলেও রান পাওয়া যায় না। প্রত্যেকেই এ ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়ে। সুদীপও একই সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার সঙ্গে মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু আর কোনও সমস্যা নেই।’’ যোগ করেন, ‘‘ওর তাগিদই ওকে রানে ফিরিয়ে দেবে। মুস্তাক আলি না খেলে নিজেকে রঞ্জি ট্রফির জন্য তৈরি করেছে। দল যখন মুম্বইয়ে, সুদীপ তখন প্রত্যেক দিন এই মাঠে একা অনুশীলন করেছে। যে মাত্রায় পরিশ্রম করেছে, সেটাই ওর হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেবে। বাইশ গজে যতটা সময় কাটাবে, ততই দ্রুত রানে ফিরবে সুদীপ।’’

শেষ আট দিনের অনুশীলনে বাংলার সহ-অধিনায়ককে বহু মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন লক্ষ্মণ। সময় দিয়েছেন মনোজ তিওয়ারিকেও। বাংলার ম্যাচ জেতার নেপথ্যে মনোজের অবদান অনস্বীকার্য। লক্ষ্মণ নিজেও তা মানছেন। বললেন, ‘‘মনোজ যে ম্যাচউইনার তা নিশ্চয়ই প্রমাণ করতে হবে না। সব চেয়ে ভাল লাগে, এত দিন খেলার পরেও উন্নতি করার খিদে ওর কমেনি। এই মনোভাবই বাংলার ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমি আশাবাদী, রঞ্জিতে ভালই খেলবে বাংলা।’’

মনোজ, সুদীপদের সঙ্গেই অশোক ডিন্ডার অবদানকেও উল্লেখ করতে ভুললেন না লক্ষ্মণ। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলার বোলিং বিভাগে ডিন্ডার অবদান ভুললে চলবে না। প্রত্যেক বছরে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হওয়া সহজ নয়। পেস বোলার হিসেবে তা আরও কঠিন।’’ যদিও বৃহস্পতিবার বাংলার ম্যাচ প্র্যাক্টিসে সে ভাবে নজর কাড়তে পারেননি বাংলার পেসার। উইকেটে পেসারদের সাহায্য না থাকলেও প্রথম স্পেলে পাঁচ ওভারে ২৪ রান দিয়েছেন বাংলার পেসার। দ্বিতীয় স্পেলে চার ওভার করে তিনি দিয়েছেন ১৯ রান। যা দেখে বাংলার কোচ অরুণ লাল বলছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচ। একটু সময় লাগবে ছন্দে ফিরতে। দেখা যাক।’’

ডিন্ডার সঙ্গে এ দিন বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে বাংলার কোচের। অরুণের কথায়, ‘‘ডিন্ডাকে বলে দেওয়া হয়েছে, আমাকে ভুল প্রমাণ করো। তা হলে আমিই সব চেয়ে বেশি খুশি হব। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দাও পাঁচ উইকেট নিয়ে। তার পর দেখি, কে তোমার বিরুদ্ধে কথা বলে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE