নিউ জ়িল্যান্ড সিরিজ়ের আগে চিন্তায় পড়ে গেলেন তিন ক্রিকেটার। ঘরোয়া ক্রিকেটে শতরান করলেন তিন জনেই। নির্বাচকদের দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করে দিলেন। ফলে নতুন বছরে এক দিনের সিরিজ়ের দল বেছে নিতে হলে নির্বাচকদের যে মাথা চুলকোতে হবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
এই তিন জন হলেন সরফরাজ় খান, রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং দেবদত্ত পাড়িক্কল। রুতুরাজ ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে খেলেছেন। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে শ্রেয়স আয়ার ফিরলে তাঁকে আবার বাদ পড়তে হবে। বাকি তিন জনও মিডল অর্ডারের ব্যাটার। বিকল্প হিসাবে তাঁদের দলে ঠাঁই হতে পারে।
এঁদের মধ্যে সরফরাজ় সবচেয়ে আগ্রাসী ইনিংস খেলেছেন। বুধবার বিজয় হজারে ট্রফিতে তিনি গোয়ার বিরুদ্ধে ৭৫ বলে ১৫৭ রান করেছেন। তিনি যে স্রেফ লাল বলের ক্রিকেটার নন সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন সরফরাজ়। তিনি ১৪টি ছয় এবং ৯টি চার মেরেছেন। মুম্বই ৫০ ওভারে ৪৪৪/৮ তুলেছে। ৫৬ বলে শতরান করেন সরফরাজ়। শেষ ৫৭ রান এসেছে মাত্র ২১ বলে। অর্জুন তেন্ডুলকরের ৬ বলে ১১ রান নিলেও স্পিনারদের বিরুদ্ধে বেশি আগ্রাসী ছিলেন।
উত্তরাখন্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মহারাষ্ট্র। সেই ম্যাচে রুতুরাজ ১১৩ বলে ১২৪ রান করেছেন। তিনি ১২টি চার এবং ৩টি ছয় মেরেছেন। এক সময় ১০০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল মহারাষ্ট্র। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন রুতুরাজ। ৬৬ বলে অর্ধশতরান করেন রুতুরাজ। তিনি রামকৃষ্ণ ঘোষ, রাহুল ত্রিপাঠি এবং সত্যজিৎ বচাবের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেন।
আরও পড়ুন:
শতরান করেছেন দেবদত্তও। পুদুচেরির বিরুদ্ধে ১১৬ বলে ১১৩ রান করেছেন তিনি। এর আগে ঝাড়খন্ডের বিরুদ্ধে ১৪৭ এবং কেরলের বিরুদ্ধে ১২৪ রান করেছিলেন। এটি বিজয় হজারেতে তাঁর তৃতীয় শতরান। অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ২২৮ রানের জুটি গড়েছেন পাড়িক্কল। তিনি ১০টি চার এবং ৪টি ছয় মেরেছেন।