অবিচল: চরম বিপদেও মাঠ ছেড়ে যাননি মিকেল। ফাইল চিত্র
লিয়োনেল মেসিদের বিরুদ্ধে তিনি খেলতে নেমেছিলেন তাঁর বাবাকে অপহরণ করা হয়েছে জেনেও। তিনি নাইজিরিয়ার অধিনায়ক জন ওবাই মিকেল। অপহরণের খবর তাঁর কাছে আসে খেলা শুরুর ঠিক চার ঘণ্টা আগে। কিন্তু অপহরণকারীরা মিকেলকে টেলিফোনে জানায়, কোনও ভাবে এই খবর জানাজানি হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাবাকে গুলি করে হত্যা করা হবে। ভয়ে তাই কাউকে কিছু না জানিয়েই খেলতে নামেন নাইজিরীয় অধিনায়ক। মুক্তিপণ হিসেবে অপহরণকারীরা দাবি করে ভারতীয় মুদ্রায় পায় কুড়ি লক্ষ টাকা।
ওবাই মিকেলের বাবা সিনিয়র ওবি ২৬ জুন তারিখে এক শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফিরছিলেন। নাইজিরিয়ার মাকুরদি-এনুগু এক্সপ্রেস ওয়ে-তে তাঁকে এবং গাড়ির চালককে অপহরণ করা হয়।
মঙ্গলবারই অবশ্য দু’জনকেই পুলিশ উদ্ধার করেছে অপহরণকারীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের পরে। সংঘর্ষে মিকেলের বাবা মারাত্মক জখম হন। এখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মিকেল চেষ্টা করছেন তাঁর বাবাকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে।
আরও পড়ুন: ‘বেলজিয়ামের মনোবল কিন্তু বেড়েই থাকল’
মিকেল বলেছেন, ‘‘খবরটা প্রথম পেয়ে কী করব ভেবেই পাচ্ছিলাম না। অত টাকাও আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিল না।’’ কিন্তু এত বড় একটা ঘটনার পরেও তিনি কী করে মাঠে নামলেন? মিকেলের জবাব, ‘‘ব্যাপারটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা আমার কাছে খোলা ছিল না। কারণ দেশ সবার আগে। কোচের সঙ্গেও এটা নিয়ে কথা বলিনি। এই খবরটা দলের সবাই জেনে গেলে ফুটবল থেকে ওদের মনটা সরে যেত। ওই রকম গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচের আগে দেশের অত বড় ক্ষতি করতে পারিনি।’’
আর্জেন্টিনা ম্যাচের পরেই অবশ্য ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে যায়। মিকেলকে সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয় লন্ডনে। যাতে তিনি পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারেন। প্রসঙ্গত মিকেলের বাবাকে এর আগে ২০১১ সালেও এক বার অপহরণ করা হয়েছিল। দু’বারই পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। তবে এ বার একেবারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে। প্রসঙ্গত মিকেল খেলেন চিনের ক্লাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy