গো-ও-ও-ল: পাশে রোনাল্ডো, উল্লাস কোয়ারেজ়মার। ছবি: গেটি ইমেজেস
ইরান ১ : পর্তুগাল ১
রাশিয়া বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে চার গোল করেছেন। সোনার বুটের জন্য ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ডের হ্যারি কেনের। যিনি এই বিশ্বকাপে ইতিমধ্যেই পাঁচ গোল করে শীর্ষে।
রোনাল্ডো ফের জাদু দেখান কি না, তা উপভোগ করতেই খেলাটা দেখছিলাম। নিরাশ হলাম। এক পয়েন্ট পেলেই পর্তুগাল নক আউটে চলে যেত। তাই কি রোনাল্ডোর মধ্যে মরিয়া তাগিদ দেখা গেল না? বল পায়ে এলে তবে সচল হলেন। আক্রমণ গড়তে নেই বাড়তি তাগিদও। মেসির পরে এই বিশ্বকাপের পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে নষ্ট করলেন পেনাল্টি। দেখলেন হলুদ কার্ডও।
দ্বিতীয়ার্ধে রোনাল্ডোর পেনাল্টি নষ্টের পরেই তেতে যায় কুইরোজ়ের দল। পর্তুগালের সঙ্গে ড্র করে এশিয়ার ফুটবলের মান বাড়িয়ে গেল ইরান। আর এক গোল করলেই শেষ ষোলোয় পৌঁছে যেত তারা।
পর্তুগালের থেকে এই ম্যাচে প্রাপ্তি একমাত্র কোয়ারেজ়মার গোলটা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ইরানের লেফ্ট ব্যাক যেখানে দাঁড়ান, সেখানে ওয়ান-টু খেলে, ভিতরের দিকে ঢুকে এসে ডান পায়ের ‘আউট সাইড’ দিয়ে বল গোলে পাঠালেন, তা অনবদ্য। এগুলোই তফাৎ, এশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের ফুটবলের। কোয়ারেজ়মা দেখে নিয়েছিলেন, শূন্যের বলে প্রথম থেকেই সমস্যা হচ্ছে ইরানের রক্ষণ এবং গোলকিপারের। সেই সুযোগটাই তিনি নিলেন। পর্তুগালের আগের দুই ম্যাচে খেলা জোয়াও মোতিনহো, বের্নার্দো সিলভা, গুয়েদেস-কে এ দিন ইরানের বিরুদ্ধে প্রথম দলে রাখেননি পর্তুগিজ কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোস। আর সেখানেই বোধহয় তালটা কেটে গিয়েছিল। পর্তুগিজদের আক্রমণে বলের জোগান কমেছিল অনেকটাই। সঙ্গে ভুল পাসের ‘বদরোগ’। নোটবুক খুলে দেখতে পাচ্ছি মোট ৬৮টি ‘মিস পাস’ করেছেন রোনাল্ডোরা।
সংযুক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে করিম আনসারিফার্দ গোল করার পরে টিভিতে ইরান কোচের মুখটা দেখাল। হতাশা স্পষ্ট। গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে নকআউটে উরুগুয়ের সামনে রোনাল্ডোরা। সুরায়েসদের বিরুদ্ধে এ রকম গা-ছাড়া মনোভাব দেখালে কিন্তু ভুগতে হবে রোনাল্ডোর পর্তুগালকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy