অস্ট্রেলিয়া যে ভাবে এই ত্রিদেশীয় সিরিজটা জিতল, তার জন্য ওদের অভিনন্দন। ওদের অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছে। জেমস ফকনার ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। ওয়াটসন আর ক্লার্ক ফিট হয়ে ফিরলে তো কথাই নেই।
অন্য দিকে ভারত টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে বেশ কিছু মাথাব্যথা নিয়ে। এই সিরেজে ওরা যা খেলল, তার চেয়ে ওরা অনেক ভাল টিম। আশা করছি এক সপ্তাহের বিশ্রামের পরে আরও চাঙ্গা হয়ে ফিরবে। এর আগেও খারাপ সফরের পরপরই বিশ্ব স্তরের টুর্নামেন্টে ভাল খেলেছে ভারত। এখন সবচেয়ে জরুরি হল চোট-ক্লান্তি সারিয়ে তোলা। কাপ স্কোয়াডে থাকা ইশান্ত বক্সিং ডে টেস্টের পরে একটাও ম্যাচ খেলেনি। আশা করি ওর ব্যাপারটা খুব দেরি পর্যন্ত ফেলে রাখা হবে না। শুধু ফিটনেস নয়, ইশান্তের ছন্দে ফেরাটাও খুব জরুরি। ওর কেরিয়ারে ধারাবাহিকতা নেই। আর ও-ই টিমের সবচেয়ে সিনিয়র বোলার! উমেশ আর শামিকেও পুরো বিশ্রাম দিতে হবে।
পেসের বিরুদ্ধে ব্যাটিংও কিছু প্রশ্ন তুলেছে। ধবন, রায়ডু, ধোনিকে ফর্মে ফিরতে হবে। রোহিত শর্মা ফিরলে ওপেনিং-সমস্যা হয়তো মিটবে। তখন ধবনকে নীচের দিকে ঠেলে দেওয়া যায়। তিন নম্বর ব্যাট ভাল খেললে চারে কোহলিকে পাঠানো খারাপ হবে না। কিন্তু তরুণ রায়ডুকে অস্ট্রেলিয়ার পিচে নড়বড়ে দেখাচ্ছে বলে কোহলির উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে যাচ্ছে। তার চেয়ে ধবনকে তিনে পাঠানো যায়। তাতে নতুন বলের বিরুদ্ধে ও বিশ্রাম পাবে। না হলে কোহলিকেই তিনে নামিয়ে বলতে হবে চাপ সামলে দাও। সেক্ষেত্রে রায়ডু আর ধবন পুরনো বল খেলবে। সাতে স্টুয়ার্ট বিনির আরও সুযোগ পাওয়া উচিত। ও টিমে ভারসাম্য আনতে পারবে। তবে ব্যাটিং অর্ডার কিন্তু ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে না। ভারত তো অস্ট্রেলিয়ায় বেশ অনেক দিন কাটিয়ে ফেলল। ওদের সাফল্যের চাবিকাঠি হল নিজেদের দিকে ভাল করে তাকানো, নিজেদের খেলার মান আরও উঁচুতে নিয়ে যাওয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy