হিউমকে নিয়ে সেলফি। মুম্বইয়ে ফাইনালের আঁচ। শুক্রবার। ছবি: উত্পল সরকার
ফিকরু ফাইনালে নেই তো কী! কিন্তু আইএসএলে তাঁর রেখে যাওয়া সমারসল্ট দেখা থেকে আজ বঞ্চিত হবেন না ফুটবলপ্রেমীরা।
উদ্বোধনের মতোই টুর্নামেন্টের সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও তারকার মেলা। বলিউড, টলিউড, কর্পোরেট জগতের হোমড়াচোমড়ারা তো থাকছেনই। কুড়ি মিনিটের অনুষ্ঠানের যে মহড়া চব্বিশ ঘণ্টা আগে দেখা গেল ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে, তাই চমকে দেওয়ার মতো! চিন থেকে পঞ্চাশ জন অ্যাক্রোব্যাটকে উড়িয়ে আনা হয়েছে। সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও পঞ্চাশ ফ্রিস্টাইল ফুটবল জাগলার। এখানেই শেষ নয়, সম্ভবত এই প্রথম ভারতের কোনও মাঠে রিমোটে স্টেডিয়ামের আকাশে উড়বে বিশাল এক ফুটবল। টুর্নামেন্টের থিম সং‘বাজেগি সিটি, উড়েগা বল...লেটস ফুটবল’-এর সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই পরিকল্পনা।
ফাইনাল শুরুর আগে হবে সমাপ্তি অনুষ্ঠান। টিভি স্পনসরদের নির্দেশে তার আগে দু’দলের ফুটবলারদের আধঘণ্টা প্র্যাক্টিসের সময় থাকছে। সন্ধে ছ’টা দশে দেড়শো ড্রামের সুরেলা বোলে শুরু হবে ছেলে-মেয়েদের নাচ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢুকবেন অ্যাক্রোব্যাটরা। নানা শারীরিক কসরত্ দেখাবেন। সেখানেই দেখা যাবে ফিকরু-খ্যাত সমারসল্ট। একটা নয়, একসঙ্গে পাঁচ-সাতটা। এর পর ফুটবল-জাগলারি। কলকাতায় উত্তম দাস যেমন ফুটবলকে গোটা শরীরে জুড়ে কসরত্ দেখান তার চেয়েও আকর্ষণীয় হবে বিদেশি ফ্রি স্টাইল জাগলারদের ফুটবল-নৃত্য! তাঁরা কসরত্ শেষে সার দিয়ে দাঁড়ানোর সঙ্গে-সঙ্গে আকাশে উড়বে বল। তবে দেল পিয়েরো ছাড়া কোনও সেলিব্রিটিকেই মাঠে নামানো হচ্ছে না বলে খবর। তিনিও থাকবেন বিশেষজ্ঞ ভাষ্যকার হিসাবে।
সচিন বনাম সৌরভ লড়াই দেখতে বাকি সেলিব্রিটিরা থাকবেন গ্যালারিতে। মাস্টার ব্লাস্টারের সঙ্গে যেমন তাঁর বন্ধুরা, প্রিন্স অব ক্যালকাটা-র সঙ্গে নাকি আসার কথা অনেক টলিউড তারকার। সে রকম জানাচ্ছেন সংগঠক আইএমজিআর। পুরস্কার দেবেন নীতা অম্বানি। মোট পনেরো কোটি টাকা পুরস্কার অর্থ। চ্যাম্পিয়ন আট কোটি, রানার্স চার কোটি। কেরল ব্লাস্টার্সের মালিকরা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, পুরস্কার অর্থের অর্ধেক তাঁরা দেবেন তাঁদের ফুটবলারদের। আটলেটিকো দে কলকাতার পক্ষে সে রকম কোনও ঘোষণা হয়নি এখনও। উল্টে তাদের এক ফুটবলার বললেন, “আমাদের সেমিফাইনালে ওঠার জন্য যে প্রত্যেক ফুটবলারের আড়াই হাজার ডলার ইনসেনটিভ পাওয়ার কথা তা এখনও পাইনি আমরা।” টিম সূত্রের খবর, কাল ফাইনালের আগে কিছু ঘোষণা হতে পারে।
ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামের ভিতরে অন্তত কুড়িটা জায়েন্ট স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। ভাইচুং ভুটিয়া থেকে আই এম বিজয়নদেশের বহু ফুটবল তারকা এসে পড়েছেন মুম্বইতে। কেউ ধারাভাষ্যকার হয়ে, কেউ সিইও হিসাবে। সুনীল গাওস্কর, অনিল কুম্বলেরা যেমন জড়িয়ে থাকেন আইপিএলের সময়। প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল-সহ এআইএফএফ কর্তারাও দল বেঁধে আসছেন। কালই এখানে ফেডারেশনের বার্ষিক সভা। কিন্তু তা নিয়ে যেন কারও কোনও আগ্রহ নেই। ফেডারেশনের প্রধান টুর্নামেন্ট আই লিগের জৌলুসই তো শুষে নিয়েছে আইএসএল। ভারত ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে-এ নামতে নামতে ১৭১-এ। স্পনসরদের আইএসএল করতে দিলে ফেডারেশনের পায়ের তলার জমিটাও কেড়ে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy