Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Sports News

বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়াম তৈরি

কাতার বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনও বাকি প্রায় ২০০০ দিন, আর তার আগেই বিশ্ব জুড়ে একের পর এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে আয়োজক দেশ কাতার। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের ঢাকে কাঠি পড়ার আগেই ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালের মাঠ সম্পূর্নভাবে সাজিয়ে তুলল কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।

খালিফা স্টেডিয়াম। ছবি: সংগৃহীত।

খালিফা স্টেডিয়াম। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৭ ১৫:৩১
Share: Save:

কাতার বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনও বাকি প্রায় ২০০০ দিন, আর তার আগেই বিশ্ব জুড়ে একের পর এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে আয়োজক দেশ কাতার।

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের ঢাকে কাঠি পড়ার আগেই ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালের মাঠ সম্পূর্নভাবে সাজিয়ে তুলল কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টিডিয়ামকে বিশ্বকাপের জন্য সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়ামে পরিণত করলেন কাতারের ফুটবল কর্তারা।

এটিই বিশ্বের প্রথম ফুটবল স্টেডিয়াম যা সম্পূর্ণ ভাবে শীতনিয়ন্ত্রিত। কার্যত খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টিডিয়াম ফুটবল বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছে।

আরও খবর: বাবা ভ্যানচালক, ছেলের গোলে ইতালির যুব দলকে হারাল ভারত!

আধুনক ও নতুন প্রযুক্তি সঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা, তা দেখার জন্য কাতার ফুটবলের সর্বাধিক জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট দি এমির কাপ-এর ফাইনাল এই স্টেডিয়ামে করানোর ব্যবস্থা করেছেন স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এক ঝটিকা সফরে এই স্টেডিয়ামকে এক কথায় অসাধারণ বলে ব্যাখ্যা করেন বার্সেলোনার অন্যতম তারকা ফুটবলার জাভি হার্নান্ডেজ।

আরও একবার খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যোগ্য আয়োজকদের হাতেই বিশ্বকাপের দায়িত্ব দিয়েছে ফিফা। বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির সিনিয়র অধিকর্তা নাসির আল-কাতের বলেন, ‘‘আমাদের হৃদয়ের বড়ই কাছে এই স্টেডিয়াম। স্বভাবতই আজ আমরা খুশি যে খালিফাকে আমরা তৈরি করতে পেরেছি।’’

১৯৭৬ সালে কাতার সরকার ও কাতার ফুটবল অ্যাসোশিয়েসানের যৌথ উদ্যেগে তৈরি হয় এই স্টেডিয়ামটি। ২০২২ বিশ্বকাপের শুধু ফাইনালই নয়, ৪০ হাজার দর্শকাসন বিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালেরও বেশ কিছু ম্যাচ আয়োজন করা হবে।

খালিফা স্টেডিয়ামের মূল রূপকার কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘানি বলেন, ‘‘এটিই প্রথম কোনও স্টেডিয়াম যেখানে খোলা আকাশের তলায়ও এয়ারকন্ডিশন কাজ করবে।’’

নতুন প্রযুক্তির আমদানি করে এই স্টেডিয়ামটিকে সাজাতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে কাতার। গত ফেব্রুয়ারিতেই কাতারের অর্থমন্ত্রী আলি সারেফ আল ইমাদি জানিয়েছিলেন স্টেডিয়াম কে বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হচ্ছে তাঁদের।

উল্লেখ্য ১৯৯২ সালে কাতারের গাল্ফ কাপ জয়েরও সাক্ষী ছিল এই স্টেডিয়াম।

অন্যদিকে ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফায়ারের রোমহর্ষক ম্যাচে এই মাঠেই ইরানকে ৪-৩ গোলে পরাজিত করে সৌদি আরব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE