সিনিয়রদের কাউকে বাছা গেল না। তাই বাংলার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারের জন্য বাছা হল একজন জুনিয়রকে। তিনি অভিমন্যু ঈশ্বরন। গত মরসুমে বাংলার রঞ্জি ট্রফি দলের সেরা স্কোরারদের তালিকায় যিনি দ্বিতীয়।
গত বছর বাংলার যা পারফরম্যান্স ছিল, তাতে কোন ক্রিকেটারকে সিএবি-র বর্ষসেরার পুরস্কার দেওয়া হবে, তা নিয়েই ছিল প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত একজন জুনিয়রকে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই নাকি দেরাদুনের এই তরুণ ব্যাটসম্যানকে বর্ষসেরা হিসেবে বাছা হল। আরও মজার ব্যাপার হল, তাঁকে অনূর্ধ্ব-১৯-এর সেরা ক্রিকেটার হিসেবেও বাঁছা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অন্যতম যুগ্মসচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে তাঁকে শেষ পর্যন্ত সিনিয়রের বর্ষসেরার জন্যই রাখা হল। সৌরভ নাকি যুক্তি দিয়েছেন, সদ্য উনিশ পেরনো একজন ক্রিকেটারকে সিনিয়রে বর্ষসেরার পুরস্কার দিলে সে আগামী মরসুমে ভাল খেলার জন্য যথেষ্ট উৎসাহ পাবে। ফলে ঐক্য সম্মিলনীর অগ্নিভ পানের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল। সিএবি সূত্রের খবর, তিনি হচ্ছেন জুনিয়রদের বর্ষসেরা।
গত বছর রঞ্জি ট্রফিতে ন’টি ইনিংসে ৫২.৮৭-এর গড়ে ৪২৩ রান করেছিলেন ঈশ্বরন। একটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফ সেঞ্চুরি ছিল তাঁর। সিএবি-র একাংশে প্রশ্ন উঠেছে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের তো গত রঞ্জিতে ১৩ ইনিংসে ৫৮৪ রান, গড় প্রায় ৪৫। তা হলে তাঁকে কেন সেরার সম্মান দেওয়া হবে না? এক নির্বাচকের যুক্তি, সুদীপের চেয়ে ঈশ্বরনের গড় ভাল। তা ছাড়া, ১৯ বছরের ছেলেটি ক্রিজে নেমে যে সাহস দেখিয়েছেন, তাতেও মুগ্ধ তাঁরা এবং সৌরভ। কিন্তু ঈশ্বরন যেখানে শুধু রঞ্জির ছ’টি ম্যাচ খেলেছেন, সেখানে সুদীপ তো রঞ্জি, বিজয় হাজারে ট্রফি ও মুস্তাক আলি ট্রফি সবেতেই বাংলার হয়ে মাঠে নেমেছেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে কেন সেরার পুরস্কার দেওয়া হবে না, সেই প্রশ্নও উঠছে সিএবি-তে। অন্য দিকে সেরা অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেটার হচ্ছেন সুদীপ ঘরামি। বাংলার সেরা বিসিসিআই আম্পায়ারের পুরস্কার পাচ্ছেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য।
এ দিকে এ দিন সিএবি-তে এসে বোর্ড প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়ার সঙ্গে দেখা করে যান বোর্ডের দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান নিরজ কুমার। মূলত ভারতীয় দলের বাংলাদেশ সফর নিয়েই নাকি আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy