ক্রোমা: হয়তো এটা আমার প্রাপ্য ছিল না। কিছু কিছু বিষয়ের কোনও ব্যাখ্যা থাকে না। তবে, আমার প্রয়োজনে বাগান কর্তাদের পাশে বহু বার পেয়েছি। একসঙ্গে আমরা অনেক ভাল সময় কাটিয়েছি। সত্যি বলতে, মোহনবাগান সমর্থকরা যে ভালবাসা এবং সম্মান আমাকে দিয়েছেন, সে অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার যায় না।
প্রশ্ন: মোহনবাগান ডাকলে আবার কি সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চাপাবেন?
ক্রোমা: এখনই এ সব নিয়ে ভাবছি না। আমার একটাই লক্ষ্য, ইস্টবেঙ্গলকে আই লিগ দেওয়া। যদি ইস্টবেঙ্গল আমাকে রাখতে চায় আমি থাকব, নয়তো যে ক্লাব আমায় অফার করবে তাদের হয়েই খেলব।
প্রশ্ন: ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান, দু’টি ড্রেসিংরুমের অভিজ্ঞতাই আছে আপনার। দু’টি ড্রেসিংরুমের মধ্যে পার্থক্য ঠিক কোথায়?
ক্রোমা: (হাসি) আমি এখন ইস্টবেঙ্গলের প্লেয়ার। মোহনবাগান ড্রেসিংরুম সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। আমি সবুজ-মেরুন ড্রেসিংরুমে যে স্বাধীনতা পেতাম, লাল-হলুদেও সেটাই পাই। কিন্তু, আমি আমার সব কিছু দিয়ে এই ক্লাবকে ভালবাসি। ইস্টবেঙ্গল আমার হৃদয়ে রয়েছে।
প্রশ্ন: ১৪ বছর পর আই লিগ জয়ের হাতছানি লাল-হলুদের সামনে। কতটা প্রস্তুত আপনি?
ক্রোমা: শুধু আমি নই, দলের প্রত্যেকেই জানে, যে সুযোগ আমাদের কাছে এসেছে তার গুরুত্ব কতটা! সমর্থকদের আশাপূরণ করতে তৈরি আমি।
প্রশ্ন: লাজং ম্যাচটাই হতে চলেছে লিগের ভার্চুয়াল ফাইনাল? কোনও বিশেষ পরিকল্পনা?
ক্রোমা: বললে বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, তবে আমি যখন ঘুমাই তখনও আই লিগেরই স্বপ্ন দেখি। তবে, ইদানীং বেশি ক্ষণ ঘুমাতে পারছি না। ট্রফি জয়ের জন্য প্রহর গুনছি (হাল্কা হাসি)। আই লিগ জিতলে অনেক কিছুর জবাব দিতে পারব। আমি জানি ঈশ্বরও আমাকে ট্রফি হাতে দেখতে চান, তাই তিনি আমায় ইস্টবেঙ্গলে পাঠিয়েছেন।
প্রশ্ন: চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে অল্পের জন্য গোলের খাতা খুলতে পারেননি। লাজং ম্যাচের জন্যই কি তুলে রেখেছেন গোলগুলো?
ক্রোমা: লাজং ম্যাচে গোল করে দলকে জেতাতে চাই। কারণ ইস্টবেঙ্গল জিতলে আমরা সকলেই খুশি।
প্রশ্ন: লিগ জিতলে কাকে উৎসর্গ করবেন?
ক্রোমা: আমার মাকে উৎসর্গ করতে চাই। প্রতি দিন আমাকে মিস করে মা।
প্রশ্ন: দীর্ঘ ১৪ বছর পর লিগ জেতার স্বপ্নে বিভোর সমর্থকদের কী বার্তা দেবেন?
ক্রোমা: আশা ধরে রাখুন। মন ভাঙবেন না। এটা একটা দল নয়, ইস্টবেঙ্গল একটা পরিবার। আর আপনারাও এই পরিবারের অঙ্গ। ভগবানের আশীর্বাদে এ বার আমরা লিগ পাবই।