পরের দিন চেন্নাইয়ে আদি বাড়িতে হপ্তাখানেক কাটানোর জন্য রওনা হওয়ার তোড়জোড় করছিলেন। দিল্লিতে টিম হোটেলের ঘরে টিভিতে সেই সময় জগমোহন ডালমিয়ার মারা যাওয়ার খবর শোনেন ভারতীয় ডেভিস কাপ দলের নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন আনন্দ অমৃতরাজ। সে দিনই তাঁর টিমের ওয়ার্ল্ড গ্রুপে উঠতে না পারা, দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কয়েক ঘণ্টা আগে আনন্দবাজারকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন হোটেলের লবিতে বসে। পরের দিন চেন্নাইয়ে ফোনে ধরলে জানালেন ডালমিয়াকে চিনতেন। অবাক হয়েছিলেন, ভারতীয় টেনিস নিয়েও তাঁর আগ্রহ দেখে!
প্রশ্ন: এ দেশের শুধু ক্রিকেটের নয়, সব খেলার সর্বকালের অন্যতম সেরা কর্মকর্তা জগমোহন ডালমিয়া রবিবার রাতের দিকে মারা গিয়েছেন। আপনার দল ডেভিস কাপের ওয়ার্ল্ড গ্রুপে উঠতে না পারার কয়েক ঘণ্টা পরে। ওঁনার সঙ্গে পরিচয় ছিল আপনার?
আনন্দ: রবিবার দিল্লির হোটেলেই তো টিভিতে খবরটা শুনি। রাতের দিকে। উনি তো বোধহয় সে দিন রাতের দিকেই মারা যান। ওঁর সঙ্গে পরিচয় ছিল বলাটা ভুল হবে। তবে যত দূর মনে পড়ছে, দু’বার বোধহয় দেখা হয়েছিল ওঁর সঙ্গে। সামান্য কথাবার্তা হয়েছিল। তার মধ্যেই ওঁর সেই সময়ের ভারতীয় টেনিসের খবরাখবর রাখা, আগ্রহ দেখে অবাক হয়েছিলাম।
প্র: কোন সময়ের কথা বলছেন?
আনন্দ: উনিশশো সাতাশি। আমরা যে বার ডেভিস কাপ ফাইনাল খেলি। মিস্টার ডালমিয়ার সঙ্গে অবশ্য ফাইনালে নয়। ফাইনালটা তো সুই়ডেনে হয়েছিল। ওঁর সঙ্গে তার আগে আর্জেন্তিনা আর ইজরায়েল— দু’টো টাই খেলতে গিয়ে দিল্লিতে দেখা হয়েছিল। এত বছর পরে ঠিক মনে নেই, উনি ওই দু’টোর কোনও একটা ম্যাচে এক দিন আমাদের খেলা দেখতে এসেছিলেন। তবে এটা বেশ মনে আছে, ওই বছরই ভারতে বিশ্বকাপ ক্রিকেট হয়েছিল। যার কাজে উনি দিল্লিতে এসেছিলেন। আর দু’বারই সেই সময় ওখানে আমাদের ডেভিস কাপ ম্যাচ ছিল। প্রথম বার সম্ভবত আমাদের হোটেলেই উঠেছিলেন। কিংবা সেখানে কোনও মিটিং ছিল ওঁর। পরের বারের মাসটা মনে আছে। জুলাই। আমাদের কোয়ার্টার ফাইনাল ছিল। বিজয় আর আমাকে বলেছিলেন, ডেভিস কাপ ফাইনাল তো ডিসেম্বরে হয়। আর এ বছর তার আগের মাসেই বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনাল। খুব ভাল হবে যদি পরপর দু’মাসে ভারত ক্রিকেট আর টেনিসে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়! আপনাদের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল।
প্র: দু’বছর আগে আপনি ভারতীয় টেনিস দলের নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হওয়ার পর কোনও শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছিলেন না কি ওঁর কাছ থেকে?
আনন্দ: হ্যাঁ, উনি কার কাছ থেকে নাকি আমার মোবাইল নম্বর নিয়ে আমাকে টেক্সট পাঠিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। শুনেছি, প্রত্যেক খেলার জাতীয় দলের নতুন ক্যাপ্টেন-কোচকে উনি নাকি শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাতেন।