হোক না জওয়ান, রেফারি পেটালে তাঁর বিরুদ্ধেও কড়া শাস্তি দেওয়ার সাহস দেখাল আইএফএ।
কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের এরিয়ান-আর্মি একাদশ ম্যাচে চতুর্থ রেফারি উত্তম সরকারকে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অপরাধে আর্মি কোচ বিবি টক্করকে দু’বছরের জন্য সাসপেন্ড করল আই এফ এ-র শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। যা বেশ কড়া। সোমবার সভার পর সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা সেনা কোচকে দু’বছর সাসপেন্ড করেছি। সেখানে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে তিনি রেফারিকে মারছেন।’’ সভা শেষ হওয়ার আগেই নিজের বক্তব্য জানিয়ে ছাউনিতে ফিরে যান ওই জওয়ান কোচ। তিনি নাকি সভায় বলেন, রেফারি তাঁকেও মেরেছেন। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, আর্মি দলের ম্যানেজার তাঁর দলের কোচের পক্ষে যাননি। সেনাদের পক্ষ থেকে আগেই না কি আইএফএ-র পদাধিকারীদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল সেনা কোচের মাঠের মধ্যের আচরণ তাঁরা সমর্থন করেন না। ফলে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়ে যায় আইএফএ-র।
এ দিন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সভায় মার খাওয়া রেফারি এবং সেনা একাদশের কোচের বক্তব্য শোনা হয়। এসেছিলেন সে দিনের ম্যাচ কমিশনার দীপক দাসও। যিনি গণ্ডগোলের পর এফআইআর করেছিলেন সেনা-কোচের বিরুদ্ধে। সভায় দুই পক্ষের সামনেই ওই ম্যাচের গণ্ডগোলের ভিডিও ক্লিপিংস দেখানো হয়। দেখা যায়, রেফারিকে যেমন মেরে রক্তাক্ত করেছেন সেনা কোচ, তেমনই রেফারিও তাঁকে পাল্টা লাথি মেরেছেন। আইএফএ সচিব বললেন, ‘‘চতুর্থ রেফারিও কিছু খারাপ কাজ করেছেন। সেটা আমরা রেফারি সংস্থাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। ওদের বলেছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।’’ রেফারিকে শাস্তি দেওয়ার এক্তিয়ার তাঁদের নেই বলেই এই চিঠি। তবে উৎপলবাবুর সঙ্গে কথা বলে মনে হল তিনি চতুর্থ রেফারির সে দিনের আচরণে বিরক্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy