আর্নল্ড পামার।
চলে গেলেন ‘দ্য কিংগ’। বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্ফার আর্নল্ড পামার হৃদপিন্ডে সমস্যার কারণে ৮৭ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন।
গল্ফের ইতিহাসে পামার এক অনন্য জায়গা জু়ড়েই থাকবেন। তাঁর দীর্ঘ ৫২ বছরের কেরিয়ারে নব্বইয়েরও বেশি প্রতিযোগিতা জিতেছেন। যার মধ্যে রয়েছে সাতটি মেজর চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ৬২টি পিজিএ ট্যুর খেতাব।
এক সময়ে শুধু মাত্র অভিজাতদের সময় কাটানোর মাধ্যম এই গল্ফ খেলাকে জনপ্রিয় করার পিছনে সবথেকে বড় কারিগর হলেন এই মার্কিন গল্ফার। যিনি ১৯৫৪ সালে পেশাদার গল্ফার হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যেই সাতটি মেজর জেতেন তিনি, যার মধ্যে চারটিই মাস্টার্স। শুধু তাই নয়, কেরিয়ার শুরু করার ছয় বছরের মধ্যেই ১৯৬০ সালে বছরের সেরা গল্ফারের পুরস্কার জিতে নেন তিনি। ১৯৬২ সালে ফের ওই পুরস্কার পান তিনি। এমনকী এক ক্রীড়া ম্যাগাজিনের বিচারে ১৯৬০ সালের সেরা অ্যাথলিটের তকমাও পান।
তাঁর সবথেকে বড় কৃতিত্ব হল, পঞ্চাশের দশকে টেলিভিশন যুগ শুরু হওয়ার সময় দর্শককে গল্ফের প্রতি আকৃষ্ট করা। এক সাধারণ ঘরের ছেলের অভিজাতদের খেলায় অসাধারণ সাফল্য পাওয়া আম জনতার কাছে এই খেলাকে জনপ্রিয় করে তোলে। ১৯৭৪ সালের হল অব ফেমে জায়গা পাওয়া এই কিংবদন্তির ক্যারিশমার জোরে তাঁর এক বিরাট ফ্যানবেস তৈরি হয় যারা পরবর্তীকালে ‘আর্নি আর্মি’ নামে সারা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে ওঠে।
১৯৯৮ সালে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট জয়ী পামার প্রথম গল্ফার হিসেবে ২০০৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল জিতে নেন। ২০০৬ সালে পেশাদার গল্ফ থেকে অবসর নিলেও তাঁর প্রিয় খেলাকে ছেড়ে যাননি তিনি। আমেরিকায় গল্ফ চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করেন পামার।
তাঁর মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে শুরু করে ১৪টি মেজরজয়ী টাইগার উডস— টুইট করেছেন সকলেই। প্রত্যেকেই একবাক্যে স্বীকার করেছেন, গল্ফের জনপ্রিয়তা কখনওই এই জায়গায় পৌছত না, যদি না আর্নল্ড পামার গল্ফক্লাব হাতে তুলে না নিতেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy