Advertisement
E-Paper

ডিন্ডাদের ইয়ো ইয়ো টেস্ট ছয় সপ্তাহ অন্তর

ভারতের সব চেয়ে ফিট দল গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল বাংলা। কোচ হিসেবে মনোজ তিওয়ারিদের শিবিরে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনেই ইয়ো ইয়ো টেস্ট চালু করলেন অরুণ লাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:১১
পর্যবেক্ষণ: ইয়ো ইয়ো টেস্টে ঈশান পোড়েল। অ্যাপে নজর বাংলা দলের ফিজিক্যাল ট্রেনার সঞ্জীব দাসের (বাঁ দিকে)। শনিবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

পর্যবেক্ষণ: ইয়ো ইয়ো টেস্টে ঈশান পোড়েল। অ্যাপে নজর বাংলা দলের ফিজিক্যাল ট্রেনার সঞ্জীব দাসের (বাঁ দিকে)। শনিবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

ভারতের সব চেয়ে ফিট দল গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল বাংলা। কোচ হিসেবে মনোজ তিওয়ারিদের শিবিরে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনেই ইয়ো ইয়ো টেস্ট চালু করলেন অরুণ লাল।

শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে অরুণ জানিয়ে দিলেন, সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি শেষ হওয়ার পরে ছয় সপ্তাহ অন্তর ইয়ো ইয়ো টেস্ট নেওয়া হবে বাংলার ক্রিকেটারদের। ‘অফ সিজ়ন’ শব্দটি তাঁর অভিধান থেকে মুছে ফেলতে চান বাংলার বর্তমান কোচ।

অরুণ বলেন, ‘‘যত দিন কোচ হিসেবে থাকব, ফিটনেসকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেব। জাতীয় স্তরে কোনও প্রতিযোগিতা জিততে গেলে সব চেয়ে ফিট দল হয়ে উঠতে হবে। এ মরসুমে সেটাই আমার লক্ষ্য।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ বার থেকে আমাদের অফ সিজন বলে কিছু থাকবে না। সারা বছর ধরে চলবে কোনও না কোনও শিবির। বর্ষায় নেট করা যাবে না। তখন ফিটনেস বাড়ানোর ওপরে আরও বেশি জোর দেওয়া হবে।’’

এ দিন ঈশান পোড়েল ও প্রদীপ্ত প্রামাণিকের ইয়ো ইয়ো পরীক্ষা নেন দলের ফিটনেস ট্রেনার সঞ্জীব দাস। কিন্তু দু’জনের একজনও এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলেন না। ভারতীয় মাপকাঠি অনুযায়ী ১৬.১ পয়েন্ট তুলতে পারলে পাশ হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু ঈশান ও প্রদীপ্তের পয়েন্ট ১৫-র চেয়ে একটু বেশি। বিরাট কোহালির নেতৃত্বে ভারতীয় দলের কোনও ক্রিকেটার ইয়ো ইয়ো-তে ব্যর্থ হলে প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ার স্বপ্নও দেখবেন না। ঠিক যেমন ভুগতে হয়েছিল মহম্মদ শামি, অম্বাতি রায়ডুদের। কিন্তু বাংলার দুই ক্রিকেটারের ইয়ো ইয়ো টেস্ট পরীক্ষামূলক ভাবে নেওয়া হয়েছে। দেখে নেওয়া হয়েছে চোট থেকে ফিরে তাঁরা কতটা ফিট। প্রদীপ্ত আপাতত বাংলার শিবিরেই অনুশীলন করবেন। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে ওয়ান ডে খেলতে যাবেন ঈশান।

বাংলার ফিটনেস ট্রেনার মনে করছেন, চোট সারিয়ে ফেরার পরে ঈশানদের এই ফল খুব একটা খারাপ নয়। সঞ্জীব বলছেন, ‘‘গত এক মাস অনুশীলনের বাইরে ছিল দু’জন। তার পরেও খুব খারাপ ফল করেনি।’’

শনিবার অনুশীলন শুরু হওয়ার আগে দলের প্রত্যেককে একসঙ্গে বসিয়ে ক্লাস নেন বাংলার কোচ। ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়, আমির গনি, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়দের সতর্ক করে দেন, আগামী মরসুমে একই ভুল যেন তাঁরা না করেন। অরুণ বলছিলেন, ‘‘বাংলার বর্তমান ক্রিকেটারেরা খুবই আবেগপ্রবণ। অল্পেই ভেঙে পড়ে। যার প্রভাব পড়ে ওদের খেলায়। আমি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি, মনোমালিন্য হতেই পারে, কিন্তু মাঠের মধ্যে যেন তার ছাপ না দেখতে পাই। মাঠে নামার পরে শুধু মাথায় রাখবে তুমি বাংলার হয়ে খেলছ। জেতার জন্যই খেলছ।’’

বহু দিন পর চোট সারিয়ে মাঠে ফিরতে চলেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রথম ম্যাচ থেকেই হয়তো তাঁকে পাচ্ছে বাংলা। ১৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতা ফেরার কথা ঋদ্ধির। দিন দুয়েক অনুশীলন করে মনোজদের সঙ্গে উড়ে যাবেন কটকে। বাংলার জার্সিতে ঋদ্ধির ফেরার খবরে উচ্ছ্বসিত অরুণ। বলে গেলেন, ‘‘ঋদ্ধির মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে পেলে অনেকটা এগিয়ে যাব আমরা।’’

Cricket Bengal Yo Yo Test Arun Lal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy