সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির সুপার লিগে মনোজ তিওয়ারির ভরসা যেমন দলের তরুণ ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স। তেমনই কোচ অরুণ লালকে ভরসা দিচ্ছে মনোজ তিওয়ারির নেতৃত্ব। গ্রুপ স্তরে শেষ তিন ম্যাচে মনোজ যে ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাতে মুগ্ধ বাংলার নতুন কোচ।
বুধবার সন্ধ্যায় ইনদওর থেকে ফোনে অরুণ বলেন, ‘‘টি-টোয়েন্টিতে সব চেয়ে কঠিন কাজটা হয় একজন অধিনায়কের। খুব কম সময়ের মধ্যে যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যা পাল্টে দিতে পারে ম্যাচের ভাগ্য। গ্রুপ স্তরে শেষ তিন ম্যাচে মনোজ যে ভাবে বোলার ও ফিল্ডারদের ব্যবহার করেছে তার প্রশংসা করতেই হচ্ছে।’’
প্রত্যেক ম্যাচেই ঈশান পোড়েলকে দিয়ে শুরুর দিকের ওভারে বল করিয়ে দিচ্ছেন মনোজ। ওভার বাঁচিয়ে রাখছেন সায়ন ঘোষের। মাঝের ওভারে অয়ন ভট্টাচার্যকে বল করাচ্ছেন। মনোজ নিজেও কয়েক ওভার হাত ঘোরাচ্ছেন। কিন্তু সুপার লিগে প্রয়াস রায়বর্মণ না থাকায় স্পিনার হিসেবে খেলানো হতে পারে প্রদীপ্ত প্রামাণিককে। প্রয়াসের পরিবর্তে আসা আকাশ দীপও বুধবারই বাংলা শিবিরে যোগ দিয়েছেন।
অরুণ জানিয়েছেন, শুধু অধিনায়ক নন, ব্যাটসম্যান হিসেবেও সুপার লিগে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে মনোজকেই। যা করার ক্ষমতা তাঁর পুরোপুরি রয়েছে। ‘‘গ্রুপ স্তরে সে রকম বড় রান হয়তো ওর নেই, কিন্তু কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছে। মূল পর্বে আশা করি ওর ব্যাট থেকে বড় রান আসতে শুরু করবে। ঋদ্ধিমানও রানে ফিরেছে। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ব্যাট কথা বলতে শুরু করলে আমাদের হারানো কঠিন হয়ে যাবে,’’ বার্তা অরুণের।
বাংলার ব্যাটিং অর্ডারে কোনও বদল চান না কোচ অরুণ। ঋদ্ধিমান সাহা ও শ্রীবৎস গোস্বামীকে দিয়েই ওপেন করানো হবে। তিন নম্বরে আসবেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। চারে মনোজ। পাঁচে নামানো হবে অয়নকে। বোলার হিসেবে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন অয়ন। ওড়িশার বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। এ বার ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি সফল হতে শুরু করলেই সীমিত ওভারের এক নতুন অলরাউন্ডারকে পাবে বাংলা। অরুণ বলছিলেন, ‘‘মুস্তাক আলির প্রাথমিক শিবিরে অয়নের ব্যাটিংই সব চেয়ে বেশি নজর কেড়েছিল। লক্ষ্মণও প্রশংসা করেছিল এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের। এ বার সুপার লিগে ও রান পেলেই মনে করব, আমরা ক্রিকেটার চিনতে ভুল করিনি।’’
বাংলার প্রথম ম্যাচ বুধবার রেলওয়েজের বিরুদ্ধে। তার আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুশীলন করবে বাংলা শিবির।