Advertisement
E-Paper

ঢাকায় বসে ধর্মশালার অনুশীলন করছেন মাশরফিরা

টি-২০ বিশ্বকাপের সূচিটা এমনই যে, হিমাচল প্রদেশের সুদৃশ্য ক্রিকেট ভেন্যু ধর্মশালায় প্রথম অনুশীলন ম্যাচ খেলারই সুযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠলে ধর্মশালায় আগামী ৫ মার্চ হংকংয়ের বিপক্ষে যে অনুশীলন ম্যাচটি বরাদ্দ আছে, সেই ম্যাচটিও দিতে হবে বাদ। ঢাকা থেকে ৭ তারিখের ফ্লাইট ধরে ধর্মশালায় পৌঁছে অনুশীলন ছাড়াই ৯ তারিখে নেদারল্যান্ডস এর বিরুদ্ধে নামতে হবে মাশরফিদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৩:২১

টি-২০ বিশ্বকাপের সূচিটা এমনই যে, হিমাচল প্রদেশের সুদৃশ্য ক্রিকেট ভেন্যু ধর্মশালায় প্রথম অনুশীলন ম্যাচ খেলারই সুযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠলে ধর্মশালায় আগামী ৫ মার্চ হংকংয়ের বিপক্ষে যে অনুশীলন ম্যাচটি বরাদ্দ আছে, সেই ম্যাচটিও দিতে হবে বাদ। ঢাকা থেকে ৭ তারিখের ফ্লাইট ধরে ধর্মশালায় পৌঁছে অনুশীলন ছাড়াই ৯ তারিখে নেদারল্যান্ডস এর বিরুদ্ধে নামতে হবে মাশরফিদের। এশিয়া কাপের লিগ থেকে বিদায় নিলে অবশ্য একমাত্র অনুশীলন ম্যাচটি পাচ্ছে তারা। টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের আগে সেখানে ৫ দিন থেকে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগটাও পাওয়া যাবে তখন। তবে আপাতত বাংলাদেশ পাখির চোখ করছে এশিয়া কাপকেই। সে কারনেই ধর্মশালার আবহ শের-ই-বাংলায় তৈরি করাকে গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ধর্মশালার আবহাওয়া মার্চেও থাকবে ঠান্ডা। সেখানকার উইকেট হবে পেস সহায়ক। গোয়েন্দাগিরি করে এ তথ্যই জেনেছে বিসিবি। সে কারনেই সনাতনী পিচের পরিবর্তে বিসিবি’র নির্দেশনায় এশিয়া কাপের জন্য সবুজ পিচ তৈরি করেছেন কিউরেটর গামিনি সিলভা। ঢাকায় বসে বিশ্বকাপে ধর্মশালার মতো উইকেট যদি পাওয়া যায়, তা হলে মন্দ কী? ব্যাটিংটা খারাপ হলেও ধর্মশালার অনুশীলনটা কাজে দেবেই। ৮ মাস আগে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে যে পিচ দেখেছেন রোহিত শর্মা, তার একেবারে বিপরীত পিচ দেখে নিজেই হতবাক। তবে ধর্মশালার অনুশীলন শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পেয়ে খুশি মাশরাফিরা। অধিনায়কের মতে, “ভারতে আমাদের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই তেমন। সাকিব আইপিএলের কল্যাণে কিছু ম্যাচ খেলেছে। ধর্মশালাতে একেবারেই কোনও অভিজ্ঞতা নেই। আমি বলছি না, এখানে ওই কারণে উইকেটটা তৈরি হয়েছে। আমি বলতে চাইছি, ওখান এমন উইকেট হলে আমাদের জন্য অনুশীলনটা হয়ে যাবে। এমন উইকেটে খেলা আমাদের জন্য খারাপ হচ্ছে না। বিশ্বকাপে আমাদের যে ম্যাচগুলো আছে, অনেকটা এমন উইকেট হতে পারে।”
এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচে ধর্মশালার অনুশীলন ঠিকই করতে পেরেছে বোলাররা। বিশেষ করে নুতন বলে। ভারতের মতো বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইন আপকে প্রথম ১০ ওভারে বেশ ভালই ধাক্কা দিতে পেরেছে বাংলাদেশের চার পেসার। এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে আমিরশাহিকে পেয়ে মাত্র ৮২ রানে ইনিংস গুটিয়ে দিয়েছে মাশরাফি,মুস্তাফিজ,তাসকিন,আল আমিনরা। তবে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১২১, দ্বিতীয় ম্যাচে আমির শাহির বিপক্ষে ১৩৩। ওয়ানডের চেনা বাংলাদেশকে টি-২০তে বড্ড বেমানানই যে মনে হচ্ছে। সে কারনে আমিরশাহিকে ৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েও দলের ব্যাটিং নিয়ে সন্তুস্ট হতে পারছেন না মাশরাফি। সন্তুস্ট হবেন কী ভাবে? ৪৬ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপের পর, ব্যাটিং পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে স্কোর ১৩৩/৮ এ থেমে গেলে সন্তুস্ট হবেন কেন মাশরাফি? তাঁর মতে,“ গত ম্যাচের উইকেটে ঘাস একটু বেশি ছিল। এই ম্যাচের উইকেটে ঘাস তার চেয়ে একটু কম ছিল। হাইস্কোরিং উইকেট না হলেও, ১৫০-১৬০ করা সম্ভব ছিল। এই দু’টি আন্তর্জাতিক টি-২০ বাদ দিলে আমরা কিন্তু ১৫০ থেকে ১৬০ স্কোর করেছি আগের ম্যাচগুলোতে। যে ভাবে শুরুর পার্টনারশিপ হয়েছে, তাতে ১৫০ থেকে ১৬০ স্কোর হতে পারত।” সামনে শ্রীলঙ্কা,পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। ট্রফির লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে ব্যাটিংয়ে পরিশুদ্ধ হওয়াটা জরুরী, তা মানছেন মাশরাফিÑ‘ সেরা ব্যাটিং করছি, তা বলব না। তবে আমি আশাবাদি, সঠিক সময়ে ব্যাটসম্যানরা ঠিকই জ্বলে উঠবে।”

আরও পড়ুন:
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে হেলায় হারিয়ে জয় বাংলাদেশের

asia cup bangladesh cricket team
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy