একশো কুড়ি বছরেরও বেশি পুরনো লজ্জার রেকর্ডকে নিজেদের কাঁধে চাপিয়ে নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্টে নাটকীয় সাত উইকেটে হারল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তোলার পরেও সেই টেস্টে হেরে!
বেসিন রিজার্ভে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে আট উইকেটে ৫৯৫ (ডিঃ) তোলাই শুধু নয়, টেস্টের প্রথম চার দিন শাসন করেছিলেন সাকিব আল হাসানরাই। কিন্তু বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫৮ ওভার টিকে এবং শেষ দিনের সকালে বাউন্সারে আহত অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে হাসপাতালে যেতে হওয়ায় ১৬০-এ অলআউট হয়ে যায়। নিউজিল্যান্ডের সামনে এসে পড়ে জেতার জন্য ওভারপিছু প্রায় ছয় রান তুলে ২১৭ রানের টার্গেট। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (১০৪ নঃআঃ) ও রস টেলর (৬০) ওভারপিছু ছয়েরও বেশি রান তুলে ১৬৩ রানের ঝোড়ো পার্টনারশিপে নিউজিল্যান্ডকে চমকপ্রদ জয় এনে দেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯.৪ ওভারে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ২১৭-৩।
অথচ এই ম্যাচে বাংলাদেশ টেস্টে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের (প্রথম ইনিংসে সাকিবের ২১৭) নজিরও গড়েছিল। এই টেস্টের আগে প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তুলেও ম্যাচ হারার লজ্জার রেকর্ড ছিল ১৮৯৪ অ্যাসেজে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার ৫৮৬। সোমবার দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৬৬-৩ থেকে শুরু করে আগের ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করা সাকিবকে শূন্যতে হারায়। আগের ইনিংসে দেড়শোর বেশি করা মুশফিকুর এ দিন নামতে সাউদি-বোল্ট-ওয়াগনারের বাউন্সার বৃষ্টি শুরু হয়। শেষমেশ সাউদির শর্ট পিচ়়ড ডেলিভারি মুশফিকুরের হেলেমেটের পিছনে লাগলে ব্যাটসম্যান মাটিতে পড়ে যান। দু’দলেরই মেডিক্যাল স্টাফের শুশ্রূষার পরে তেমন উন্নতি না ঘটায় মাঠের ভেতর অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকে বাংলাদেশ অধিনায়ককে নিয়ে সটান হাসপাতাল ভর্তি করতে হয়। তবে তাঁর মাথার স্ক্যান রিপোর্টে খারাপ কিছু ধরা না পড়ায় রাতের দিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মুশফিকুরকে।